হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (পুরানো নাম: জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) (আইএটিএ: DAC, আইসিএও: VGZR) রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রধান এবং সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি ১৯৮০ সালে এর কার্যক্রম শুরু করার পরে, পূর্বের বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে এর কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়। এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ-সহ বাংলাদেশের সকল এয়ার লাইন্সগুলোর হোম বেস।
জানুন
সম্পাদনা১,৯৮১ একর এলাকা বিস্তৃত এই বিমানবন্দর দিয়ে দেশের প্রায় ৫২ শতাংশ আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীন ফ্লাইট উঠা-নামা করে, যেখানে চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রায় ১৭ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করে। এ বিমানবন্দর দিয়ে বার্ষিক প্রায় ৪০ লক্ষ আন্তর্জাতিক ও ১০ লক্ষ অভ্যন্তরীন যাত্রী এবং ১৫০,০০০ টন ডাক ও মালামাল আসা-যাওয়া করে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশকে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সাথে সংযুক্ত করেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই বিমানবন্দর থেকে ইউরোপ এবং এশিয়ার ১৮টি শহরে চলাচল করে।
গন্তব্যসূচী
সম্পাদনাবিমান সংস্থা | গন্তব্যস্থল |
---|---|
এয়ার আরাবিয়া | শারজাহ |
এয়ার এশিয়া | কুয়ালালামপুর |
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস | কলকাতা |
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স | আবুধাবি, বাহরাইন, ব্যাংকক-সুবর্ণভূমি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, দাম্মাম, দোহা, দুবাই, হংকং, জেদ্দাহ, কাঠমান্ডু, কলকাতা, কুয়ালালামপুর, কুয়েত, লন্ডন-হিথ্রো বিমানবন্দর, মাস্কট, রিয়াদ, সিঙ্গাপুর, সিলেট |
চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস | বেইজিং, দুবাই, কুনমিং |
চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স | গংঝাও |
ড্র্যাগন এয়ার | হংকং, কাঠমান্ডু |
ড্রুক এয়ার | ব্যাংকক-সূবর্ণভূমি, পারো |
এমিরেট্স্ | দুবাই |
এত্তিহাদ এয়ারওয়েজ | আবুধাবি |
গাল্ফ এয়ার | বাহরাইন |
জেট্ এয়ারওয়েজ | দিল্লি, কলকাতা |
কুয়েত এয়ারওয়েজ | কুয়েত |
কিংফিশার এয়ারলাইন্স | কলকাতা |
মালেশিয়া এয়ারলাইন্স | কুয়ালালামপুর |
মালদিভিয়ান এয়ারওয়েজ | মালে, চেন্নাই |
কাতার এয়ারওয়েজ | দোহা |
রাখ এয়ারওয়েজ | রাস আল খাইমাহ |
সৌদি আরাবিয়ান এয়ারলাইন্স | দাম্মাম, জেদ্দাহ, মদিনা, রিয়াদ |
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স | সিঙ্গাপুর |
থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল | ব্যাংকক-সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর |
টার্কিশ এয়ারলাইন্স | ইস্তাম্বুল |
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ | চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, দুবাই, যশোর, কাঠমান্ডু, কলকাতা, কুয়ালালামপুর, লন্ডন-গেটউইক, সিলেট |
ইয়েমেনিয়া | সানা, দুবাই |
পরিবহন ব্যবস্থা
সম্পাদনাযাত্রী পরিবহনের জন্য বিমানবন্দরের নিজস্ব সাটল বাস সার্ভিস আছে। পার্কিংয়ের জন্য সুপ্রস্ত পার্কিং লট আছে। বিমানবন্দরে খুব সহজেই রিকশা ও সিএনজি পাওয়া যায়। ঢাকায় উবার, পাঠাওয়ের মতো জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং সেবাও চালু আছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানের হোটেলগুলো তাদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে যাত্রীদের আনা-নেওয়া করে থাকে।
ঘুরে দেখুন
সম্পাদনাঅপেক্ষা করুন
সম্পাদনাখাওয়াদাওয়া
সম্পাদনাপানীয়
সম্পাদনাকেনাকাটা
সম্পাদনারাত্রি যাপন
সম্পাদনা- হোটেল সারিয়ানা ঢাকা: বিমানবন্দর থেকে দেড় মাইল দূরত্বে অবস্থিত।
- বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার। এটি বিদেশগামী ও প্রবাসফেরত বাংলাদেশি কর্মীদের সাময়িক আবাসন ব্যবস্থা। এটি বিমানবন্দরের কাছেই আছে অবস্থিত। এই সেন্টারে প্রবাসী কর্মীরা দিনে ২০০ টাকা ভাড়ায় বিদেশে যাওয়ার সময় অথবা বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময়ে সাময়িকভাবে অবস্থান করতে পারেন। সাশ্রয়ীমূল্যে খাবারের ব্যবস্থাও আছে। ৪০ জন পুরুষ ও ১০ জন নারীর থাকার ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। ১০০ টাকা দিয়ে বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টারে সরাসরি বা অনলাইনে বুক করার সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে বুকিংয়ের জন্য ০১৩১০৩৫০৫৫৫, ০১৭৫৪৭১৫৭২০ নম্বরে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা যায়। ২০০৳।