ঢাকা বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগ এর একটি উল্লেখযোগ্য শহর। এটি বাংলাদেশের রাজধানী এবং ঢাকা বিভাগের প্রধান শহর। ঢাকা একটি মেগাসিটি এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান শহর। ঢাকার মহানগর এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং সর্বাপেক্ষা জনবহুল শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। মুগল সাম্রাজ্যের সময় ঢাকা একটি বিশ্বজনীন শহর হিসেবে আবির্ভূত হয়। এটি মসজিদের শহর ও ইসলামী স্থাপত্য ও বুড়িগঙ্গা (পুরনো গঙ্গা) সম্মুখীন নদীপ্রবাহ কারণে এটি প্রাচ্যের ভেনিস হিসেবেও পরিচিত। ঢাকা ’বিশ্বের রিকশা রাজধানী ’ নামেও পরিচিত কারণ এই শহরের রাস্তায় প্রায় ৫ লক্ষ রিকশা চলাচল করে। যদিও ঢাকাকে কংক্রিটের জঙ্গল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, তবে ঢাকায় অনেক বাগান ও উদ্যানসহ অনেক পুরানো সবুজের বনায়ন রয়েছে। বর্তমানে, ঢাকা দিল্লির পরেই দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় জনবহুল শহর এবং অর্থনৈতিক দিকে থেকে মুম্বাই এবং করাচির মতই একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর।
অঞ্চলসমূহসম্পাদনা
মধ্য ঢাকা বিশ্বের বৃহত্তম সংসদ ভবন, দেশের আর্থিক কেন্দ্র, সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়, জাদুঘর, থিয়েটার, আর্ট গ্যালারী এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সেইসাথে শহরের বৃহত্তম পার্ক, মার্কেট এবং বাজার। |
উত্তর ঢাকা গুলশান কূটনৈতিক সমৃদ্ধ অঞ্চল, শহরের ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা এবং বোটানিক্যাল গার্ডেন, অভিজাত রেস্তোরাঁ, পাঁচ তারকা হোটেল, বুটিক শপ এবং একটি গলফ কোর্স |
পুরান ঢাকা আধুনিক কাঠামোর মধ্যে মুঘল ও ব্রিটিশ আমলের (প্রায়শই ধ্বংসাবশেষ) ২,০০০টি ভবন, ঐতিহাসিক মসজিদ, সমাধি, একটি দুর্গ, মন্দির, গির্জা, প্রাসাদ এবং গ্রন্থাগার অন্তর্ভুক্ত; নিজস্ব সাম্রাজ্য রন্ধনপ্রণালী সমৃদ্ধ এবং একটি ব্যস্ত নদী বন্দর আছে। পুরান ঢাকা উন্মত্ত, রঙিন এবং বিশৃঙ্খল, সরু গলিপথ যেমন হিন্দু স্ট্রিট, গহনা ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু; এবং সাবেক বিদেশী বণিক এলাকা যেমন ফরাশগঞ্জ (ফরাসি গ্রাম) এবং আরমানিটোলা (আর্মেনিয়ান কোয়ার্টার)। |
বহিঃস্থ উপশহর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এলাকা, স্যাটেলাইট শহর এবং শিল্প এলাকা |
ইতিহাসসম্পাদনা
ধারণা করা হয় কালের পরিক্রমায় ঢাকা প্রথমে সমতট, পরে বঙ্গ ও গৌড় প্রভৃতি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। খ্রিস্টীয় ১৩শ শতাব্দীর শেষের দিকে মুসলমানেরা ঢাকা দখল করে। মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ফরমান অনুযায়ী ১৬ জুলাই ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম জাহাঙ্গীরনগর রাখা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীরের জীবিতকাল পর্যন্ত এ নাম বজায় ছিলো।
এর আগে সম্রাট আকবরের আমলে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো বিহারের রাজমহল। সুবা বাংলায় তখন চলছিলো মোঘলবিরোধী স্বাধীন বারো ভূইঁয়াদের রাজত্ব। বারো ভূইয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে বাংলাকে করতলগত করতে ১৫৭৬ থেকে ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বারবার চেষ্টা চালানো হয়। এরপর সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে ইসলাম খান চিশতীকে রাজমহলের সুবেদার নিযুক্ত করেন। তিনি ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে রাজধানী রাজমহল থেকে সরিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
সুবেদার ইসলাম খান চিশতী দায়িত্ব নেবার মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে বারো ভূঁইয়ার পতন ঘটে ও বর্তমান চট্টগ্রামের কিছু অংশ বাদে পুরো সুবে বাংলা মোগল সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা সুবা বাংলার রাজধানী হলেও সুবা বাংলার রাজধানী বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার শাহ সুজা রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজা'র পতনের পর ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন। এরপর বেশ কিছুকাল ঢাকা নির্বিঘ্নে রাজধানীর মর্যাদা ভোগ করার পর ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন। এরপর ঢাকায় মোঘল শাসনামলে চলতো নায়েবে নাজিমদের শাসন, যা চলেছিল ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশ শাসন শুরু হবার আগে পর্যন্ত। ব্রিটিশরা রাজধানী হিসেবে কলকাতাকে নির্বাচিত করলে ঢাকার গুরুত্ব আবারো কমতে থাকে। এরপর দীর্ঘকাল পর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা আবার তার গুরুত্ব ফিরে পায়। বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে আসাম ও বাংলার রাজধানী করা হয়। কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
কীভাবে যাবেন?সম্পাদনা
স্থলপথেসম্পাদনা
আকাশ পথেসম্পাদনা
- 1 হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ঢাকার কুর্মিটোলায় বাংলাদেশের প্রধান এবং সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবস্থিত। বাংলাদেশকে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সাথে এই বিমানবন্দর সংযুক্ত করেছে। এছাড়াও দেশের অভ্যন্তরীণ সকল বিমানবন্দরের সাথে যোগাযোগ রাখতে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট রয়েছে।
জল পথেসম্পাদনা
দেখুনসম্পাদনা
- 1 স্বাধীনতা জাদুঘর, ৫ সেগুনবাগিচা (সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান), ☎ +৮৮০ ২ ৯৫৫৯০৯১, ইমেইল: mukti@citechco.net। এপ্রিল-অক্টবরঃ ১০AM-৬PM;নভেম্বর-মার্চঃ ১০ AM-৫ PM. রবিবার বন্ধ।
আরও দেখুনসম্পাদনা
- লালবাগ কেল্লা
- আহসান মঞ্জিল
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- জগন্নাথ হল
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
- শাঁখারিবাজার
- হোসেনী দালান
- ছোট কাটরা
- বড় কাটরা
- কার্জন হল
- ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভবন (পুরাতন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবন)
- ঢাকেশ্বরী মন্দির
- তারা মসজিদ
- মীর জুমলা গেট
- পরীবিবির মাজার
- রমনা পার্ক
- বাহাদুর শাহ্ পার্ক- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
- সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান
- জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান
- বোটানিক্যাল গার্ডেন
- ঢাকা শিশু পার্ক
- বুড়িগঙ্গা নদী
- ঢাকা চিড়িয়াখানা
- বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর
- মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর
- বলধা গার্ডেন
- জাতীয় শহীদ মিনার
- শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ (রায়ের বাজার)
- অপরাজেয় বাংলা
- একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভাস্কর্য) আসাদ গেইট
- জাতীয় সংসদ ভবন
- বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন
- ভাসানী নভো থিয়েটার
- বসুন্ধরা সিটি
- যমুনা ফিউচার পার্ক
- মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার
- শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
খাওয়া দাওয়াসম্পাদনা
রাত্রিযাপন করুনসম্পাদনা
ঢাকায় রাত্রিযাপনের জন্য অনেক আবাসিক হোটেল রয়েছে।
দূতাবাস ও কনস্যুলেটসম্পাদনা
- অস্ট্রেলিয়া, ১৮৪ গুলশান এভিনিউ, গুলশান-২, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮১ ৩১০৫, ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৮১ ১১২৫, ইমেইল: ahc.dhaka@dfat.gov.au। রবি-বৃহ: ৮ টা-৪ টা (১২:৩০ - টা খাবারের বিরতি)।
- ব্রাজিল, সড়ক ১৪২, সিম্ফনি টাওয়ার, গুলশান ১, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮৩ ২২৬৬, ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৮১ ৩০০০।
- কানাডা, বাড়ি # ১৬এ, সড়ক # ৪৮, গুলশান ২, ☎ +৮৮০ ২ ৯৮৮ ৭০৯১।
- চীন, প্লট ২ ও ৪, সড়ক ৩, ব্লক-১, বারিধারা, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮২ ৪৮ ৬২, ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৮২৩০০৪, ইমেইল: chinaemb@bdmail.net।
- ডেনমার্ক, সড়ক ৫১, বাড়ি ১, গুলশান ২, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮২ ২৪৯৯, +৮৮০ ২ ৮৮২ ১৭৯৯, ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৮২ ৩৬৩৮, ইমেইল: dacamb@um.dk।
- ফ্রান্স, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮১ ৩৮ ১১, ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৮২ ৩৩ ২০।
- গ্রিস, রিলায়েন্স ইন্সুরেন্স লিমিটেড, ১১ তলা, ৮ রাজউক এভিনিউ, ☎ +৮৮০ ২ ৯৫৫ ৭২২০, ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৯৫৬ ৩২৯৭।
- ভারত (ভারতের হাই কমিশন), প্লট নং ১-৩, পার্ক সড়ক, বারিধারা, ঢাকা-১২১২, ☎ +৮৮০ ২ ৯৮৮ ৯৩ ৩৯, +৮৮০ ২ ৯৮৮৮৭৮৯-৯১ (ঢাকা), ইমেইল: visahelp@hcidhaka.gov.in। ০৯:০০-১৭:০০।
- ইতালি, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮২ ২৭৮১।
- জাপান, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮১ ০০ ৮৭।
- জার্মানি, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮৫ ৩৫ ২১-২৪।
- কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮১ ২০ ৮৮-৯০।
- মালয়েশিয়া, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮২৭৭৫৯।
- নেদারল্যান্ডস, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮২২৭১৫-১৮, ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৮২৩৩২৬।
- রাশিয়া, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮২ ৮১ ৪২।
- সৌদি আরব, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮২ ৯১ ২৪-৩৩।
- 1 তুরস্ক, বাড়ি নং: ৭ সড়ক নং: ২ বারিধারা - ঢাকা -১২১২, ☎ +৮৮০ ২ ৯৮৪ ২১ ৯৮, +৮৮০ ২ ৯৮৪ ৩৫ ৩৬, ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৯৮৪ ৩৮ ৭৩, ইমেইল: embassy.dhaka@mfa.gov.tr। রবি-বৃহঃ ০৯:০০ -১৩:০০, ১৪:০০-১৮:০০।
- যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ সড়ক, বারিধারা, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮২ ২৭০৫, ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৮২ ৩৪৩৭।
- 2 যুক্তরাষ্ট্র, ডিপ্লোমেটিক এনক্লেভ, মাদানি এভিনিউ, বারিধারা, ☎ +৮৮০ ২ ৮৮৫-৫৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৮২-৩৭৪৪।
- সুইডেন, বে'স এজওয়াটার, ৬ষ্ঠ তলা, প্লট নং ১২, উত্তর এভিনিউ, গুলশান ২, ঢাকা-১২১২, ☎ +৮৮০ ২ ৫৫ ৬৬ ৮৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৯৮৫২০৩২, ইমেইল: ambassaden.dhaka@gov.se।