হোসেনী দালান বা ইমামবাড়া বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের পুরানো ঢাকা এলাকায় অবস্থিত একটি শিয়া উপাসনালয় এবং কবরস্থান। বিকল্প উচ্চারণ হুস্নী দালান এবং ইমারতের গায়ে শিলালিপিতে ফারসী ভাষায় লিখিত কবিতা অনুসারে উচ্চারণ হোসায়নি দালান। এটি মোগল শাসনামলে ১৭শ শতকে নির্মিত হয়। ইমারতটি মুহাম্মদের পৌত্র হোসেনের কারবালার প্রান্তরে মৃত্যুবরণ স্মরণে নির্মিত।
অবস্থানসম্পাদনা
হোসেনী দালান ঢাকা শহরের পুরান ঢাকা খ্যাত এলাকায় অবস্থিত।
পর্যটনসম্পাদনা
এই স্থানটি শিয়া মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাসনালয় হিসেবে পরিচিত। এর স্থাপত্যকলা মনোমুগ্ধকর। প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের পুরনো এ স্থাপনা মোগল আমলের ঐতিহ্যের নিদর্শন। মোগল সম্রাট শাহজাহানের আমলে এটি নির্মিত হয়।হোসেনী দালানের দক্ষিণাংশে রয়েছে একটি বর্গাকৃদির পুকুর। এর উত্তরাংশে শিয়া বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের কবরস্থান অবস্থিত। দালানটি সাদা বর্ণের, এবং এর বহিরাংশে নীল বর্ণের ক্যালিগ্রাফি বা লিপিচিত্রের কারূকাজ রয়েছে। একটি উঁচু মঞ্চের ওপর ভবনটি নির্মিত। মসজিদের অভ্যন্তরেও সুদৃশ্য নকশা বিদ্যমান। ইরান সরকারের উদ্যাগে ২০১১ খ্রিস্টাব্দে হোসেনী দালানের ব্যাপক সংস্কার সাধন করা হয়। ইরান সরকার এতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে। ইরানের স্থপতিবিদ ও শিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। ফলে ইরানের ধর্মীয় স্থাপনার বাহ্যিক রূপ ও নান্দনিকতা এ সংস্কার কাজে প্রতিফলিত হয়েছে। মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সংস্কারের আগে ভেতরে রং-বেরঙের নকশা করা কাচের মাধ্যমে যে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল, তা পরিবর্তন করে বিভিন্ন আয়াত ও মুদ্রা লিখিত নীল রঙের টাইলস লাগানো হয়েছে। একইভাবে এর পূর্বদিকের ফটকে এবং উত্তর দিকের চৌকোনা থামগুলোয় আয়াত ও সুরা লিখিত নীল রঙের টাইলস লাগানো হয়েছে। টাইলসগুলো ইরান থেকে আমদানি করা এবং এতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ইরানের ধর্মীয় শিল্পকলা ক্যালিগ্রাফি। ইরানের বেশ কিছু ধর্মীয় স্থাপনায় এ ধরনের টাইলস রয়েছে বলে জানা যায়।
যাতায়াতসম্পাদনা
আকাশপথসম্পাদনা
পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে আকাশপথে ঢাকাতে আসার পর বাস, সিএনজি, ট্যাক্সি ইত্যাদিতে মাধ্যমে এখানে আসা যাবে।
স্থলপথসম্পাদনা
বাস বা ট্রেনে ঢাকাতে আসার পর বাস, সিএনজি, ট্যাক্সি ইত্যাদিতে মাধ্যমে এখানে আসা যাবে।
নৌপথসম্পাদনা
নৌপথে ঢাকাতে আসার পর বাস, সিএনজি, ট্যাক্সি ইত্যাদিতে মাধ্যমে এখানে আসা যাবে।
আবাসন ব্যবস্থাসম্পাদনা
ঢাকায় প্রচুর উন্নতমানের আবাসিক হোটে, মোটেল ও বাংলো আছে।
থাকা খাওয়াসম্পাদনা
এর পাশেই অনেক ভালো মানের রেস্তোরাঁ আছে। এখানে সব ধরনের খাবারই পাওয়া যায়।