হাওড়া ও হুগলি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের দুটি জেলা।
শহর
সম্পাদনাহাওড়া
সম্পাদনা- 1 হাওড়া — কলকাতার যমজ শহর, রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। ভারতের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশনের জন্য পরিচিত।
- 2 উলুবেড়িয়া — হাওড়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পনগরী।
- 3 গাদিয়াড়া — চিড়িয়াখানা ও উদ্যানসহ একটি বিখ্যাত চড়াইভাতি কেন্দ্র।
হুগলি
সম্পাদনা- 5 হুগলি-চুঁচুড়া — ঐতিহাসিক বন্দরনগরী, ব্যান্ডেল চার্চ ও ইমামবাড়ার জন্য পরিচিত।
- 7 উত্তরপাড়া ও শ্রীরামপুর — শ্রীরামপুর একটি প্রাক্তন ড্যানিশ উপনিবেশ। উত্তরপাড়া একদা ভারতের অন্যতম গাড়ি উৎপাদন কেন্দ্র ছিল।
- 8 কামারপুকুর — শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান।
- 9 গুপ্তিপাড়া — হুগলী জেলার একটি প্রাচীন জনপদ। মন্দির ও রথের জন্য বিখ্যাত।
জানুন
সম্পাদনাভুরশুট রাজ্যের অধীনে হাওড়া ও হুগলির হাজার বছরের ঐতিহ্য ছিল। হুগলি জেলায় অবস্থিত সপ্তগ্রাম একদা এক জনবহুল বন্দরনগরী ছিল। পরে সরস্বতী নদীতে পলি ভরাট এবং হুগলি, চন্দননগরের মতো বন্দরনগরীর পত্তনের ফলে সপ্তগ্রামের গুরুত্ব আর রইল না।
হুগলি জেলার হুগলি-চুঁচুড়া, চন্দননগর ও শ্রীরামপুর–এই ত্রয়ী শহর একত্রে "ভারতের ক্ষুদ্র ইউরোপ" হিসেবে প্রসিদ্ধ, কারণ এই তিনটি শহরের নিজস্ব ইতিহাস ও সংস্কৃতি বর্তমান এবং এই শহর তিনটি একদা যথাক্রমে হল্যান্ড/পর্তুগাল, ফ্রান্স ও ডেনমার্কের উপনিবেশ ছিল।
১৮৫৩ সালে হাওড়া ও হুগলি স্টেশনের মধ্যে প্রথম ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল, যা পূর্ব ভারতের প্রথম ট্রেন পরিষেবা। হাওড়া স্টেশন পরবর্তীকালে ভারতের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে স্টেশনে পরিণত হয়েছিল।
হাওড়া ও হুগলি জেলা জুড়ে হুগলি নদী বরাবর এক বিশাল শিল্পাঞ্চল বিদ্যমান। এখানে একাধিক কারখানা বর্তমান, যার মধ্যে উত্তরপাড়ার হিন্দমোটর কারখানা উল্লেখযোগ্য।
কীভাবে যাবেন
সম্পাদনাদেখুন ও করুন
সম্পাদনাহাওড়া ও হুগলি জেলা জুড়ে একাধিক দর্শনীয় স্থান বিদ্যমান। হুগলি জেলার প্রধান দর্শনীয় স্থান হচ্ছে ব্যান্ডেল চার্চ, হুগলি ইমামবাড়া, দুপ্লে প্যালেস, তারকনাথ মন্দির, কামারপুকুর, ফুরফুরা শরীফ ইত্যাদি। অন্যদিকে, হাওড়া জেলার প্রধান দর্শনীয় স্থান হচ্ছে হাওড়া সেতু, বেলুড় মঠ, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, শরৎচন্দ্র কুঠি ইত্যাদি।
এছাড়া আপনি হুগলি নদী বরাবর ঘুরে বেড়াতে পারেন, কিংবা নদী পারাপার করতে পারেন।