সিলেট বিভাগ বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পূর্ব থেকেই (অর্থাৎ, পাকিস্তান আমল থেকেই) বৃহত্তর সিলেট (সাবেক সিলেট জেলা) ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত; পরবর্তীকালে সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস কার্যক্রমের সূত্রে ১৯৯৫ সালে ১ আগস্ট বৃহত্তর সিলেটের চারটি জেলা, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা নিয়ে বাংলাদেশের ষষ্ঠ বিভাগ সিলেট গঠিত হয়। ১২,২৯৮.৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই বিভাগের ভৌগোলিক অবস্থান ২৩°৫৮´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৫°১২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯২°৩০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। এর উত্তরে ভারতের মেঘালয় (খাসিয়া ও জয়ন্তীয়া পাহাড়); দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা; পূর্বে ভারতের আসাম রাজ্য এবং পশ্চিমে বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার অবস্থান। সিলেট বিভাগ শিল্প (সার, সিমেন্ট, কাগজ, বিদ্যুৎ), প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ (গ্যাস, তেল, পাথর, চুনাপাথর) ইত্যাদিতে ভরপুর এবং এখানে অসংখ্য দর্শনীয় ও আকর্ষনীয় স্থান রয়েছে।
জেলা
সম্পাদনাশহর
সম্পাদনাকীভাবে যাবেন?
সম্পাদনাস্থলপথে
সম্পাদনাসড়ক পথে ঢাকা হতে সিলেটের দূরত্ব ২৪১ কিলোমিটার এবং রেলপথে ঢাকা হতে সিলেট রেল স্টেশনের দূরত্ব ৩১৯ কিলোমিটার। সিলেট বিভাগে সুনামগঞ্জ ব্যতীত সব জেলাতেই রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করে। এছাড়া সব জেলাতেই সড়কপথ যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে।
আকাশপথে
সম্পাদনাসিলেট একমাত্র বিমানবন্দর ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সিলেট সদরে অবস্থিত। বিমান বাংলাদেশ, ইউএস বাংলা ও নভোএয়ারের একাধিক ফ্লাইট প্রতিদিন চলাচল করে।
জলপথে
সম্পাদনাঅপ্রচলিত মাধ্যম হিসাবে নৌপথ ব্যবহৃত হয়ে থাকে; তবে কেবলমাত্র সিলেট, শেরপুর ও আজমেরীগঞ্জ ছাড়া অন্য কোনো এলাকার সাথে ঢাকা থেকে বা সিলেট শহর হতে সরাসরি কোনো নৌযান চলাচল করে না। অপরদিকে, হাওড় এলাকায় যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌযান।
দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা
সম্পাদনা- বিথঙ্গল আখড়া, বানিয়াচং;
- কমলারানীর সাগর দীঘি, বানিয়াচং;
- প্রাচীন রাজবাড়ির ধংসাবশেষ, বানিয়াচং;
- মহারত্ন জমিদার বাড়ি, বানিয়াচং;
- তেলিয়াপাড়া চা বাগান ও সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ - তেলিয়াপাড়া, মাধবপুর;
- কালেঙ্গা অভয়ারণ্য, চুনারুঘাট;
- সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (র:) এর মাজার, মুড়ারবন্দ, চুনারুঘাট;
- উচাইল-শংকরপাশা শাহী মসজিদ (১৪৯৩-১৫১১ খ্রি:), সদর;
- সাতছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চল, সদর;
- রেমা কালেঙ্গা সংরক্ষিত বনাঞ্চল, সদর।
- শ্রীবাড়ি চা বাগান;
- রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্র (১৯৬০),
- বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র, আজমিরীগঞ্জ
- হবিগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্র, মাধবপুর
- সুরমা চা বাগান - তেলিয়াপাড়া, মাধবপুর;
- বাঘাসুরা রাজবাড়ী - বাঘাসুরা, মাধবপুর;
- শাহ সোলেমান ফতেহগাজী-এর মাজার - শাহজীবাজার, মাধবপুর;
- ফ্রুটস ভ্যালী - শাহজীবাজার, মাধবপুর;
- শাহজীবাজার তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র - শাহজীবাজার, মাধবপুর;
- শাহজীবাজার রাবার বাগান - শাহজীবাজার, মাধবপুর
- ভোলাগঞ্জ
- তামাবিল - গোয়াইনঘাট;
- হাকালুকি হাওড়
- ক্বীন ব্রীজ - সিলেট সদর;
- হযরত শাহজালালের মাজার শরীফ - সিলেট সদর;
- হযরত শাহ পরাণের মাজার শরীফ - সিলেট সদর;
- মহাপ্রভু শ্রী চৈত্যনো দেবের বাড়ী
- হাছন রাজার মিউজিয়াম - সিলেট সদর;
- ওসমানী জাদুঘর - সিলেট সদর;
- মালনীছড়া চা বাগান - সিলেট সদর;
- ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর - সিলেট সদর;
- পর্যটন মোটেল
- ড্রিমল্যান্ড পার্ক
- আলী আমজদের ঘড়ি - সিলেট সদর;
- জিতু মিয়ার বাড়ি - সিলেট সদর;
- মনিপুরী রাজবাড়ি - সিলেট সদর;
- মণিপুরী জাদুঘর, সিলেট - সিলেট সদর;
- শাহী ঈদগাহ - সিলেট সদর;
- ওসমানী শিশু পার্ক;
- জাফলং - গোয়াইনঘাট;
- লালাখাল
- জাকারিয়া সিটি
- পাংতুমাই
- রাতারগুল
- মাধবকুন্ড জলপ্রপাত
- টাংগুয়ার হাওর
- লোভাছড়া
- হাম হাম জলপ্রপাত
- পরীকুন্ড ঝর্ণা
- সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান
- হারং হুরং
- বরাক নদীর তিন মোহনা
- শাহ মোস্তফা-এর মাজার;
- রাজা সুবিদ নারায়ণ - রাজনগর
- ঐতিহাসিক কমলারানীর দিঘি, রাজনগর।
- খাজা ওসমান - সপ্তদশ শতকের বাংলার শেষ পাঠান সেনাপতি;
- বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান-এর কবর - কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম আমবাসা;
- চা বাগানসমূহ;
- মাধবকুন্ড জলপ্রপাত - বড়লেখা;
- হাকালুকি হাওড়;
- খোজার মসজিদ;
- গাছপীর আব্রু মিয়ার মাজার - সিরাজনগর;
- ইউনুছ পাগলার মাজার - সাতগাও;
- হাইল হাওর - শ্রীমঙ্গল ;
- তমাল তলা - সাতগাও রুস্তুমপুর;
- টাঙ্গুয়ার হাওর,
- হাসন রাজার বাড়ি,
- নারায়ণতলা,
- সৈয়দপুর গ্রাম,
- নারায়ণতলা মিশন,
- পণতীর্থ স্মৃতি ধাম,
- বাঁশতলা শহীদ স্মৃতিসৌধ,
- লাউড়েরগর,
- ডলুরা স্মৃতি সৌধ,
- টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প,
- সুখাইড় জমিদার বাড়ি,
- শাহ কালাম কোহাফাহ্ (রহ) রওজা,
- পাইলগাঁও জমিদার বাড়ি,
- গৌরারং জমিদার বাড়ি।
খাওয়া দাওয়া
সম্পাদনাস্থানীয় পর্যায়ের বিখ্যাত খাদ্য হলো আথনী পোলাও ও সাতকরা (হাতকরা)। এছাড়াও স্থানীয় আনারস, কমলা, পান, লেবু এবং কাঠালের দারুণ সুখ্যাতি রয়েছে। আরও রয়েছে চা-পাতা। হাওড় এলাকায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায় এবং খামার ভিত্তিক হাঁস পালন করা হয়। এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। এখানে কিছু উন্নতমানের হোটেল রয়েছে:
- পানশী রেস্তোরাঁ, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট;
- পাঁচভাই রেস্তোরাঁ, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট;
- ভোজনবাড়ি রেস্তোরাঁ, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট;
- প্রীতিরাজ রেস্তোরাঁ, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট;
- স্পাইসি রেস্তোরাঁ, সিটি সেন্টার, জিন্দাবাজার, সিলেট, ☎ ০৮২১-২৮৩২০০৮;
- রয়েলশেফ : মির্জাজাঙ্গাল, সিলেট, ☎ ০৮২১-৭২৩০৯৬।
নিরাপদে থাকুন
সম্পাদনাসিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলাতেই রাত্রিযাপনের জন্য বিভিন্ন ধরণের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে।
পরবর্তিতে যান
সম্পাদনা- মেঘালয়-ভারতের উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য।
- ময়মনসিংহ বিভাগ-সিলেট বিভাগের পশ্চিমে অবস্থিত।