সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান হবিগঞ্জের অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থান, যা চুনারুঘাট উপজেলার অন্তর্গত। এটি চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৩০ কি.মি. উত্তর-পূর্ব দিকে এটির অবস্থান।
বিশেষত্ব
সম্পাদনাএই উদ্যানটিতে সাতটি পাহাড়ি ছড়া (সরু নদী) আছে, এখান থেকেই এর নামকরণ সাতছড়ি (অর্থ: সাতটি ছড়াবিশিষ্ট) হয়েছে। এর পূর্বনাম ছিলো "রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ ফরেস্ট"। প্রায় ২৪৩ হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত সাতছড়ি বন রঘুনন্দন পার্বত্য বনভূমির অংশ। জুম চাষ করতে করতে এক সময় রঘুনন্দন পাহাড়ের বনভূমি শেষ হয়ে গেলে ১৯০০ সালের দিকে কাঠ উৎপাদনের জন্য এখানে প্রচুর গাছ লাগান হয়। ১৯১৪ সালে সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে এই পাহাড়ি এলাকা তালিকাভূক্ত হয়। ২০০৫ সালে এর নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল নিয়ে জাতীয় উদ্যানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
উদ্যানের কাছাকাছি ৯টি চা বাগান আছে; পশ্চিম দিকে সাতছড়ি চা বাগান এবং পূর্ব দিকে চাকলাপুঞ্জি চা বাগান অবস্থিত। উদ্যানের অভ্যন্তরভাগে টিপরা পাড়ায় একটি পাহাড়ী উপজাতির ২৪টি পরিবার বসবাস করে। এই ক্রান্তীয় ও মিশ্র চিরহরিৎ পাহাড়ী বনভূমি ভারতীয় উপমহাদেশ এবং ইন্দো-চীন অঞ্চলের সংযোগস্থলে অবস্থিত।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে রয়েছে প্রায় ২০০’রও বেশি গাছপালা। উল্লেখযোগ্য বৃক্ষের মধ্যে কাঁকড়া, হারগাজা, হরিতকি, লটকন, আমড়া, গামার, কাউ, শাল, সেগুন, আগর, গর্জন, চাপালিশ, পাম, মেহগনি, কৃষ্ণচূড়া, ডুমুর, জাম, জামরুল, সিধাজারুল, আওয়াল, মালেকাস, ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি, বাঁশ, বেত-গাছ ইত্যাদির নাম করা যায়। এছাড়া আরও রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরাজি ও নাম না-জানা অসংখ্য লতাপাতা।
এ উদ্যানে ১৯৭ প্রজাতির জীবজন্তু রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৪ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৮ প্রজাতির সরিসৃপ, ৬ প্রজাতির উভচর। আরও আছে প্রায় ১৫০-২০০ প্রজাতির পাখি। এটি বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলই নয়, পাখিদেরও একটি অভয়াশ্রম। বনে খিদির শুকর, বন্য শুকর, বেজি, গন্ধ গোকুল, বনবিড়াল, মেছো বাঘ, কটকটি ব্যাঙ, গেছো ব্যাঙ, লজ্জাবতী বানর, উল্লুক (Gibbon), চশমা পরা হনুমান (Langur), কুলু বানর (Macaque), মেছো বাঘ, মায়া হরিণ (Barking Deer) ইত্যাদি; সরিসৃপের মধ্যে গিরগিটি, বিভিন্ন রকম সাপ, গুইসাপ; পাখির মধ্যে ফিঙ্গে, মথুরা, বন মোরগ, ধনেশ, পেঁচা, সুই চোরা, কাও ধনেশ, বনমোরগ, লালমাথা ট্রগন, কাঠঠোকরা, ময়না, ভিমরাজ, শ্যামা, ঝুটিপাঙ্গা, শালিক, হলুদ পাখি, টিয়া প্রভৃতির আবাস রয়েছে। এছাড়া গাছে গাছে আশ্রয় নিয়েছে অগণিত পোকামাকড়; ঝিঁঝিঁ পোকা তাদের অন্যতম।
কীভাবে যাবেন?
সম্পাদনাস্থলপথে
সম্পাদনাসড়কপথে ঢাকা হতে প্রথমে মাধবপুর বা শায়েস্তাগঞ্জ বা হবিগঞ্জ যেতে হবে; তারপর সেখান থেকে সাতছড়ি বনে যেতে হবে। সড়কপথে ঢাকা হতে মাধবপুরের দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার, শায়েস্তাগঞ্জের দূরত্ব ১৬৫ কিলোমিটার এবং হবিগঞ্জের দূরত্ব ১৬৩ কিলোমিটার। রেলপথে ঢাকা হতে মাধবপুরের নয়াপাড়া স্টেশনের দূরত্ব ১৮৩ কিলোমিটার এবং শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। মাধবপুর বা শায়েস্তাগঞ্জ বা হবিগঞ্জ এসে সেখান থেকে সিএনজি অটো রিক্সায়, বাসে, হিউম্যান হলার, ম্যাক্সিতে চুনারুঘাট আসতে হয়।
- মাধবপুর থেকে সাতছড়ি বনে আসার জন্য ভাড়া হবেঃ
- বাসে - ২৫ টাকা;
- হিউম্যান হলার/ম্যাক্সিতে - ৪০/-।
- সিএনজিতে - ৫০০/- - ৮০০/- (রিজার্ভ করে আসা-যাওয়া);
- মাইক্রোবাস - ২,৫০০/- - ৪,০০০/- (রিজার্ভ করে আসা-যাওয়া)।
- শায়েস্তাগঞ্জ থেকে সাতছড়ি বনে আসার জন্য ভাড়া হবেঃ
- বাসে - ১৫ টাকা;
- হিউম্যান হলার/ম্যাক্সিতে - ৩০/-।
- সিএনজিতে - ৫০০/- - ৮০০/- (রিজার্ভ করে আসা-যাওয়া);
- মাইক্রোবাস - ২,৫০০/- - ৪,০০০/- (রিজার্ভ করে আসা-যাওয়া)।
- হবিগঞ্জ থেকে সাতছড়ি বনে আসার জন্য ভাড়া হবেঃ
- বাসে - ১০ টাকা;
- হিউম্যান হলার/ম্যাক্সিতে - ২০/-।
- সিএনজিতে - ৫০০/- - ৮০০/- (রিজার্ভ করে আসা-যাওয়া);
- মাইক্রোবাস - ২,৫০০/- - ৪,০০০/- (রিজার্ভ করে আসা-যাওয়া)।
সড়কপথে আসা
সম্পাদনাঢাকার সায়েদাবাদ বাস স্টেশন থেকে সরাসরি হবিগঞ্জ বা সরাসরি সিলেট বিভাগের যেকোন স্থানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা দুরপাল্লার বাসে মাধবপুর ও শায়েস্তাগঞ্জ আসা যায়; কারণ এই দুটি স্থান হচ্ছে সড়কপথে সিলেট বিভাগের প্রবেশ-দ্বার এবং এই শহর দুটির উপর দিয়েই মূল ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বিস্তৃত। ঢাকা-হবিগঞ্জ রুটে চলাচলকারী পরিবহনে মাধবপুর বা শায়েস্তাগঞ্জ বা হবিগঞ্জ আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলো -
- এসি বাসে - ২৫০ টাকা এবং
- নন-এসি বাসে - ২০০ টাকা।
আর, ঢাকা থেকে সিলেট বিভাগের যেকোন স্থানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা দুরপাল্লার বাসে মাধবপুর বা শায়েস্তাগঞ্জ আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলো -
- এসি বাসে - ১২০০ টাকা এবং
- নন-এসি বাসে - ৩৭০ টাকা।
রেলপথে আসা
সম্পাদনাঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রেনে মাধবপুরের নয়াপাড়া স্টেশনে বা শায়েস্তাগঞ্জে আসা যায়। ঢাকা থেকে প্রতিদিন একাধিক ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা – সিলেট রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হলোঃ
- ৭১০ পারাবত এক্সপ্রেস - ঢাকা থেকে ভোর ০৬ টা ৩৫ মিনিটে ছাড়ে (মঙ্গলবার বন্ধ);
- ৭১৮ জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস - ঢাকা থেকে দুপুর ১২ টায় ছাড়ে (কোন বন্ধ নেই);
- ৭৪০ উপবন এক্সপ্রেস - ঢাকা থেকে রাত ০৯ টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে (বুধবার বন্ধ);
- ৭৭৪ কালনী এক্সপ্রেস - ঢাকা থেকে বিকাল ০৪ টায় ছাড়ে (শুক্রবার বন্ধ)।
ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচলকারী ট্রেনে ঢাকা হতে মাধবপুরের নয়াপাড়া আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলো -
- ২য় শ্রেণির সাধারণ - ৫০ টাকা;
- ২য় শ্রেণির মেইল - ৬৫ টাকা;
- কমিউটার - ৮৫ টাকা;
- সুলভ - ১০০ টাকা;
- শোভন - ১৬৫ টাকা;
- শোভন চেয়ার - ১৯৫ টাকা;
- ১ম শ্রেণির চেয়ার - ২৬০ টাকা;
- ১ম শ্রেণির বাথ - ৩৯০ টাকা;
- এসি সীট - ৪৪৯ টাকা এবং
- এসি বাথ - ৬৭৩ টাকা।
ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচলকারী ট্রেনে ঢাকা হতে শায়েস্তাগঞ্জ আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলো -
- ২য় শ্রেণির সাধারণ - ৫৫ টাকা;
- ২য় শ্রেণির মেইল - ৭৫ টাকা;
- কমিউটার - ৯০ টাকা;
- সুলভ - ১১০ টাকা;
- শোভন - ১৮০ টাকা;
- শোভন চেয়ার - ২১৫ টাকা;
- ১ম শ্রেণির চেয়ার - ২৮৫ টাকা;
- ১ম শ্রেণির বাথ - ৪২৫ টাকা;
- এসি সীট - ৪৮৯ টাকা এবং
- এসি বাথ - ৭৩১ টাকা।
আকাশপথে
সম্পাদনাএখানে সরাসরি বিমানে আসার কোনো ব্যবস্থা এখনো তৈরি হয় নি; তবে ঢাকা হতে সিলেটে আকাশপথে বিমানে এসে সেখান থেকে সড়ক বা রেলপথে মাধবপুর বা শায়েস্তাগঞ্জ আসা যায়। বাংলাদেশ বিমান, জেট এয়ার, নোভো এয়ার, রিজেন্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়আর - প্রভৃতি বিমান সংস্থার বিমান পরিষেবা রয়েছে ঢাকা থেকে সিলেটে আসার জন্য।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি করে ফ্লাইট সপ্তাহে ৪ দিন ঢাকা- সিলেট ও সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচল করে; ভাড়া লাগবে একপথে ৩,০০০/- এবং রিটার্ণ টিকিট ৬,০০০/-। সময়সূচী হলোঃ
- ঢাকা হতে সিলেট - শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি - সকাল ১১ টা ২০ মিনিট এবং দুপুর ১২ টায়।
- সিলেট হতে ঢাকা - শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি - দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট এবং দুপুর ০১ টায়।
এই সম্পর্কিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:
- কর্পোরেট অফিস: উত্তরা টাওয়ার (৬ষ্ঠ তলা), ১ জসিম উদ্দিন এভিনিউ, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, ☎ ০২-৮৯৩২৩৩৮, ৮৯৩১৭১২, ইমেইল: info@uabdl.com, ফ্যাক্স: ৮৯৫৫৯৫৯
- ঢাকা এয়ারপোর্ট সেলস অফিস: ডমেস্টিক উইং কুর্মিটোলা, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা-১২৩০, ☎ ০২৮৯৫৭৬৪০, ৮৯৬৩১৯১, মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৪৮৬৬৬০
- ওয়েবসাইট: www.uabdl.com
জলপথে
সম্পাদনাঅপ্রচলিত মাধ্যম হিসাবে নৌপথ ব্যবহৃত হয়ে থাকে; ঢাকা থেকে বা হবিগঞ্জ শহর হতে সরাসরি কোনো নৌযান চলাচল করে না।
যেসব দৃশ্যাবলী দেখবেন
সম্পাদনাইকো ট্যুর গাইডের সাহায্য নিয়ে জীব বৈচিত্র্যে ভরপুর সাতছড়ি উদ্যানে হাইকিং করা যায়। মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ছড়ায় বর্ষায় পানি এলেও তা শুকিয়ে যায় অন্য সময়। তবে ছড়াগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক দুধের ন্যায় সাদা বালু, এর ওপর হেঁটে যেতে পারবেন। উদ্যানের শেষ প্রান্তের চা বাগানগুলো ভ্রমণ করতে পারেন। উদ্যানের অভ্যন্তরভাগে থাকা টিপরা পাড়ায় বেড়িয়ে আসতে পারেন।
পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ৩টি হাঁটা পথ আছে। একটি আধা ঘণ্টার, আরেকটি এক ঘণ্টার এবং অন্যটি তিন ঘণ্টার পথ। আধা ঘণ্টা হাঁটা পথের শুরু সাতছড়ি রেঞ্জ কার্যালয়ের প্রবেশ মুখে। প্রধান রাস্তার পাশে ‘ওয়াইল্ডারনেস এরিয়া’ চিহ্নিত সড়কের দক্ষিণ দিক থেকে এ পথের শুরু; চক্রাকারে ঘুরে আবার একই জায়গায় এসে পথের শেষ হয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এ পথে একটি মরা শুকনা নদী অতিক্রম করা ছাড়া বাকি পথ ঘাসে ঢাকা। এ পথেই রয়েছে সাতছড়ি উদ্যানের ভেতরে একমাত্র ত্রিপুরা বা টিপরা আদিবাসীপাড়া। এই আধা ঘণ্টার পথের শুরুতে ডান দিকের প্রথম বাঁক ঘুরলেই চলে যাওয়া যায় টিপরা পাড়ায়। আর বাঁক না ঘুরে আরও কিছুটা পথ এগিয়ে দ্বিতীয় বাঁক ঘুরলেই এক ঘণ্টার পথের শুরু। তিন ঘণ্টার হাঁটা পথটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ কিলোমিটার। অন্য দু’পথের পাশ থেকেই এর শুরু। আর পূর্ব দিকের চাকলাপুঞ্জি চা বাগানের কাছাকাছি প্রধান সড়কে এসে শেষ হয়েছে। শুকিয়ে যাওয়া পানির ধারা থেকে তৈরি হয়েছে বেশিরভাগ পথ। উল্লুক, চশমা হনুমান, মুখপোড়া হনুমানসহ নানান রকম পাখির দেখা মিলতে পারে এ পথে।
১ অক্টোবর থেকে ৩০ এপ্রিল হল এই উদ্যানে বেড়াতে আসার সর্বোৎকৃষ্ট সময়। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের জন্য প্রাপ্ত বয়স্ক জনপ্রতি ২০ টাকা, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও ছাত্র জনপ্রতি ১০ টাকা, বিদেশীদের জন্য ৫ আমেরিকান ডলারের সমমূল্যের টাকার টিকিট লাগে। উদ্যানের বনভোজন কেন্দ্র ব্যবহার করতে চাইলে জনপ্রতি খরচ ১০ টাকা। এছাড়া গাড়ি, জিপ ও মাইক্রোবাস পার্কিং ২৫ টাকা। উদ্যানের নির্ধারিত গাইড সেবার খরচ প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা। নিসর্গের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই বনে বিভিন্ন শৌখিন দ্রব্যাদিও বিক্রয় হয়।
সংলগ্ন দর্শনীয় এলাকাসমূহ
সম্পাদনা- সুরমা চা বাগান - তেলিয়াপাড়া;
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সৌধ - তেলিয়াপাড়া;
- বাঘাসুরা রাজবাড়ী - বাঘাসুরা;
- শাহ সোলেমান ফতেহগাজী-এর মাজার - শাহজীবাজার;
- ফ্রুটস ভ্যালী - শাহজীবাজার;
- শাহজীবাজার তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র - শাহজীবাজার;
- শাহজীবাজার রাবার বাগান - শাহজীবাজার।
খাওয়া দাওয়া
সম্পাদনাচুনারুঘাটের স্থানীয় পর্যায়ের বিশেষ কোনো বিখ্যাত খাদ্য নেই, কেবল আথনী পোলাও ও সাতকরা (হাতকরা) ব্যতীত। তবে স্থানীয় আনারস, কমলা, পান, লেবু এবং কাঠালের বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে চা-পাতা। এই এলাকায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায় এবং খামার ভিত্তিক হাঁস পালন করা হয়। এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। উন্নতমানের হোটেলের জন্য আসতে হবে মাধবপুরে; এখানে রয়েছেঃ
- আল-আমিন হোটেল;
- হোটেল নুরজাহান;
- হাইওয়ে ইন লিঃ;
- পানশী।
থাকা ও রাত্রিযাপনের স্থান
সম্পাদনাসাতছড়ি বনে বনবিভাগের একটি বিশ্রামাগার আছে। বনবিভাগের অনুমতি নিতে পারলে সেখানে থাকা সম্ভব। নইলে রাতে থাকতে হবে হবিগঞ্জ, মাধবপুর বা শায়েস্তাগঞ্জ শহরে। থাকার জন্য বেছে নিতে পারেনঃ
- সার্কিট হাউজ, হবিগঞ্জ, ☎ ০৮৩১-৫২২২৪।
- জেলা পরিষদ রেস্টহাউজ, হবিগঞ্জ।
- পানি উন্নয়ন বোর্ড রেস্টহাউজ, হবিগঞ্জ। সিংগেল কক্ষ ভাড়া: ১২০/- ও ডাবল কক্ষ ভাড়া: ২০০/-।
- শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে রেস্টহাউজ - বাংলাদেশ রেলওয়ে'এর ব্যবস্থাধীন (সরকারী)। মোবাইল: +৮৮০১৯২০-৪১৬৬২৩।
- সড়ক ও জনপথ বিভাগ রেস্টহাউজ - (সরকারী)।
- পল্লী বিদ্যুৎ রেস্টহাউজ, শায়েস্তাগঞ্জ - পল্লী বিদ্যুৎ'এর ব্যবস্থাধীন (সরকারী)।
- হোটেল সোনার তরী, হবিগঞ্জ। সিংগেল কক্ষ ভাড়া: ৩০০/- ও ডাবল কক্ষ ভাড়া: ৩৫০/- এবং এসি কক্ষ ভাড়া: ৭০০/-।
- আল-আমিন হোটেল, মাধবপুর।
- হোটেল নুরজাহান, মাধবপুর।
- হাইওয়ে ইন লিঃ, মাধবপুর।
জরুরি নম্বরসমূহ
সম্পাদনা- পরিবহন সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
- অগ্রদূত পরিবহন, ☎ ০৮৩১-৫২৩৫১; +৮৮০১৭১৮৬০০৫৫১; +৮৮০১৭১৬০৩৮৬৯১;
- দিগন্ত পরিবহন, ☎ ০৮৩১-৫২৮৭৩; +৮৮০১৭১১৩২৯৯৪৪; +৮৮০১৭১৮০১৬৯৬৩;
- বিছমিল্লাহ পরিবহন, ☎ ০৮৩১-৫২৩৭১; +৮৮০১৭১১৯০৮৬৮৪।
- জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
- ওসি হবিগঞ্জ: +৮৮০১৭১৩৩৭৪৩৯৮;
- ওসি মাধবপুর: +৮৮০১৭১৩৩৭৪৩৯৯;
- ওসি চুনারুঘাট: +৮৮০১৭১৩৩৭৪৪০০;
- ওসি শায়েস্তাগঞ্জ: +৮৮০১৭১৩৩৭৪৪০৬।