নারায়ণগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা যা ঢাকা বিভাগ এর অন্তর্গত। পূর্বে - ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা, পশ্চিমে - ঢাকা, উত্তরে - নরসিংদী ও গাজীপুর এবং দক্ষিণে - মুন্সিগঞ্জ জেলা। ঢাকা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকায় পাললিক মাটি জাতীয় সমতল ভূমিতে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ শহর।
কীভাবে যাবেন?
সম্পাদনাঢাকা থেকে নারায়নগঞ্জ জেলায় কয়েকটি উপায়ে ভ্রমণ করা যায়। নৌ, সড়ক ও রেল তার মধ্যে অন্যতম।
স্থলপথে
সম্পাদনাঢাকা থেকে অনেক বাস নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করে। ঢাকার গুলিস্থান থেকে পোস্তগোলা ও পাগলা হয়ে আনন্দ পরিবহন, জমজম পরিবহন, নিরালা পরিবহন চলাচল করে। আর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে উৎসব পরিবহন, বন্ধন পরিবহন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস শীতল পরিবহন মেয়র হানিফ ফ্লাই ওভার দিয়ে নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করে।
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে নারায়ণগঞ্জের সাথে একটি সিঙ্গেল লাইন ট্রেন লাইন আছে যেটিতে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ট্রেন সার্ভিস পরিচালিত হয়। এতে প্রতিদিন ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। কমলাপুর রেল স্টেশনের শরহতলী প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনগুলো ছেড়ে যায়। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও গেন্ডারিয়া, পাগলা, ফতুল্লা এবং চাষাড়ায় থামে ট্রেনগুলো। এসব ট্রেনে মহিলাদের জন্য আলাদা বগিও থাকে। কম খরচে যাতায়াতের জন্য অনেকেই এই ট্রেন সার্ভিসের সেবা নিয়ে থাকেন। এখন মেসার্স এস আর ট্রেডিং-এর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের এই ট্রেন সার্ভিসটি পরিচালিত হচ্ছে।
- সময়সূচী
ঢাকা থেকে নারায়নগঞ্জ (শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার) ঢাকা থেকে নারায়নগঞ্জ শুক্রবার,শনিবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া নারায়নগঞ্জ থেকে ঢাকা (শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার) নারায়নগঞ্জ থেকে ঢাকা শুক্রবার,শনিবারে ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া
আকাশ পথে
সম্পাদনাএখানে কোন বিমানবন্দর নেই।
জল পথে
সম্পাদনাজলপথে যাওয়ার জন্য ঢাকার সদরঘাট থেকে ট্রলার আছে। ভাড়া ৩০ টাকা নিবে। ফতুল্লা লঞ্চ ঘাট নামিয়ে দিবে। ফতুল্লা থেকে সিএনজি বা অটোতে চাষারা চলে আসা যাবে। অথবা অনেক লঞ্চ আছে যেগুলা মুন্সিগঞ্জ যেয়ে থাকে। সেই লঞ্চগুলো ফতুল্লা ঘাটে থামায় অনেক সময়। তবে সব লঞ্চ যে থামায় এমন না। কিছু কিছু থামায়। সেভাবে আসা যাবে।
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- পানাম নগর,
- সোনারগাঁও
- (অধুনা লুপ্ত) আদমজী জুট মিল
- সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের সমাধি (১৩৮৯-১৪১১)
- বাবা সালেহ মসজিদ (১৪৮১)
- গোয়ালদী মসজিদ (১৫১৯)
- সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ (১৪৮৪)
- হাজীগঞ্জের দূর্গ
- সোনাকান্দা দুর্গ
- কাঁচপুর ব্রিজ
- কদমরসুল দরগাহ
- বন্দর শাহী মসজিদ
- লোকশিল্প জাদুঘর
- বিবি মরিয়মের সমাধি
- লাঙ্গলবন্দ মন্দির (পূন্যস্নানের জন্য হিন্দু ধর্মালম্বীদের র্তীথস্থান)
- মেরি এন্ডারসন (পর্যটনের ভাসমান রেস্তোরা)
- জাতীয় ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম (৩য়), ফতুল্লা
- এডভ্যানচার ল্যান্ড
- জিন্দা পার্ক – নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি অন্যতম আকর্ষণ। পার্কটি নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ১৫০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। প্রায় ২৫০ প্রজাতির ১০,০০০ এর বেশি গাছ-গাছালি, বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে ৫ টি জলাধার, অসংখ্য পাখ-পাখালির কলকাকলি সবকিছু মিলে পার্কটি দেশ বিদেশের পর্যটকদের জন্য একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে।