পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রাম

আউশগ্রাম হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলে অবস্থিত একটি গ্রামীণ এলাকা। এটি পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ১ ও আউশগ্রাম ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত।

ভাল্কী মাচান
চাঁদনি জলতুঙ্গী, দিগনগর

প্রবেশ সম্পাদনা

রেলপথে সম্পাদনা

  • 1 গুসকরা রেলওয়ে স্টেশন (স্টেশন কোড: GKH)। ডাউন লাইনে বর্ধমানহাওড়া স্টেশন এবং আপ লাইনে নিউ জলপাইগুড়ি, বোলপুর শান্তিনিকেতন, মালদহরামপুরহাট স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত। তবে বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে কেবল উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ও গয়া এক্সপ্রেস গুসকরা স্টেশনে থামে। বর্ধমান বা হাওড়া থেকে কোনো এক্সপ্রেস ট্রেন ধরার জায়গায় রামপুরহাট বা শান্তিনিকেতনগামী প্যাসেঞ্জার বা লোকাল ট্রেন ধরাই ভাল।  

গাড়িতে সম্পাদনা

এনএইচ ১১২ আউশগ্রাম দিয়ে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর বিস্তৃত এবং কলকাতা, বর্ধমান বা শান্তিনিকেতন থেকে এখানে আসার জন্য এটি সবচেয়ে উপযুক্ত। এসএইচ ১৪ এই এলাকা দিয়ে পূর্ব পশ্চিম বরাবর বিস্তৃত এবং আসানসোল, কাটোয়া, দুর্গাপুর বা সিউড়ি থেকে এখানে আসার জন্য এটি সবচেয়ে উপযুক্ত।

ঘুরে দেখুন সম্পাদনা

 
আউশগ্রামের মানচিত্র

দেখুন ও করুন সম্পাদনা

 
কালিকাপুর রাজবাড়ি
  • 1 চাঁদনী জলটুঙ্গী, দিগনগর১৭১০ সাল নাগাদ মহারাজা কীর্তিচাঁদ একটি হ্রদের চারিদিকে এই উদ্যানটি তৈরি করেছিলেন। প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, রাজস্থান থেকে আগত তাঁর স্ত্রী বাংলায় রাজস্থানের স্থাপত্য ও সংস্কৃতির অভাব অনুভব করেছিলেন, এবং রাজস্থানের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মহারাজা এই উদ্যানটি তৈরি করেছিলেন। অক্টোবর ২০১৮-এ আউশগ্রাম ১ ব্লক প্রশাসন জলটুঙ্গী উদ্যানের সংস্কার সম্পন্ন করে সেখানে বিকালের আলো ও শব্দ শো চালু করেছিল।  
  • 2 পাণ্ডু রাজার ঢিবিএক প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা। প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, এই ঢিবিটি মহাভারত মহাকাব্যের রাজা পাণ্ডুর সঙ্গে সম্পর্কিত, সুতরাং এই নাম।  
  • 3 ভাল্কী মাচান (ভাল্কী গ্রাম থেকে ২ কিমি, গুসকরা থেকে ২২ কিমি)। বহু পুরনো ওয়াচটাওয়ার সহ একটি অরণ্য এলাকা। এটি বর্ধমানের রাজাদের ভালুক শিকারের পছন্দের জায়গা বলে কথিত। চড়াইভাতি করতে অনেকসময় ভাল্কী মাচানের মতো অরণ্য এলাকায় আসা হয়। এখানে একটাই রিসর্ট আছে, যার নাম অরণ্যসুন্দরী। এই রিসর্টের কাছে নৌকাবিহারের জন্য একটি জলাভূমি ও একটি দুর্গ আছে, যার নাম ভল্লু রাজার দুর্গ।  

কিনুন সম্পাদনা

আউশগ্রাম তার ডোকরা শিল্পের পিতলের পাত্রের জন্য পরিচিত। বিশেষ করে দ্বারিয়াপুর গ্রামটি ডোকরা ধাতুর কাজের জন্য পরিচিত।

পরবর্তী গন্তব্য সম্পাদনা