দুর্গাপুর হলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলের একটি শিল্প শহর।
জানুন
সম্পাদনাদুর্গাপুর রাঢ় অঞ্চলে অবস্থিত। এই শিল্প শহর পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। জোসেফ অ্যালেন স্টেইন এবং বেঞ্জামিন পোল্ক এই সুসজ্জিত শিল্প জনপদটি ডিজাইন করেন। এখানে পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম ইস্পাত কারখানাটি রয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু রাসায়নিক, প্রকৌশল শিল্প এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রও রয়েছে।
চিত্তাকর্ষক শিল্প এই শিল্প শহর গাছপালা দিয়ে ঘেরা। ভাল শহুরে জনপদ হিসাবে দুর্গাপুরের আকর্ষণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এর পাশাপাশি এখানে রয়েছে সিটি সেন্টার, শপিং মল, সিনেপ্লেক্স এবং অনেকগুলি ভাল, সস্তা খাবারের দোকান। আপনি যদি ভাল রেস্তোরাঁর পরিবেশ চান তবে, পিয়ারলেস ইন, পথিক, লাক্সর, সিটি রেসিডেন্সির মতো রেস্তোরাঁর একটিতে যেতে পারেন।
জলবায়ু
সম্পাদনা২০১০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০২০-এর দশকের গোড়ার দিকে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে, প্রতি বছর মে মাসের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মাস ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য, স্থানীয়রা প্রায়ই শহরটিকে "ছোটো চেরাপুঞ্জি" হিসাবে উল্লেখ করেন।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সম্পাদনাআকাশপথ
সম্পাদনা- কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর (অণ্ডাল বিমানবন্দর)- দুর্গাপুর সিটি সেন্টার থেকে অণ্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের দূরত্ব প্রায় ১১ কিমি (৬.৮ মাইল)। ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা এবং মুম্বাই থেকে দৈনিক বিমান পরিষেবা রয়েছে।
ট্রেন যোগে
সম্পাদনাদুর্গাপুর রেলস্টেশন- রবিবার ছাড়া প্রতিদিন ছয়টি ট্রেন সরাসরি হাওড়া থেকে দুর্গাপুর যায়। এছাড়া একটি শিয়ালদহ থেকে এবং তিনটি দিল্লি থেকে। অণ্ডাল জংশন রেলওয়ে স্টেশন- দুর্গাপুরের পরে আরেকটি বড় রেলওয়ে স্টেশন। এই রেলওয়ে স্টেশনটি অণ্ডাল বিমানবন্দরের কাছাকাছি।
রাস্তা ধরে
সম্পাদনাকলকাতা থেকে দুর্গাপুরের মধ্যে নিয়মিত বাস চলাচল করে। দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগম (SBSTC), পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগম (WBTC) এবং ব্যক্তিগত অপারেটরদের দ্বারা চালিত এসি ভলভো কোচ এবং মার্সিডিজ-বেঞ্জ বাসগুলি কলকাতার এসপ্ল্যানেড এবং করুণাময়ী থেকে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে যায়। এছাড়া বর্ধমান, বাঁকুড়া, আসানসোল, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকেও বাস দুর্গাপুরে যায়। আশপাশের রাজ্য যেমন ঝাড়খণ্ড, বিহার ইত্যাদি থেকেও নিয়মিত বাস যায় দুর্গাপুরে। কলকাতা থেকে দুর্গাপুরের দূরত্ব প্রায় ১৬০ কিলোমিটার।
দেখুন
সম্পাদনা- ভবানী পাঠকের গুহা বা টিলা
- দুর্গাপুর ব্যারেজ
- দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা
- রাঢ়েশ্বর শিবমন্দির
খাওয়া দাওয়া
সম্পাদনাবেশিরভাগ হোটেলে রেস্তোরাঁ রয়েছে এবং কিছু বড় হোটেলে বারও রয়েছে। তা ছাড়া বেনাচিটিতে খাওয়ার জন্য ভালো জায়গা আছে। শহরের বাইরে জিটি রোডের ধারে মুচিপাড়া এবং রাজবাঁধের মাঝে বাঁশকোপা ইন একটি ভাল জায়গা। তবে বেশিরভাগ রেস্তোরাঁ একই ধরনের খাবার পরিবেশন করে। শুধুমাত্র গুণমানের পার্থক্য রয়েছে। এছাড়াও জি টি রোডের রাস্তার ধারের ধাবাগুলিতে খেয়ে দেখতে পারেন, এগুলির রুটি এবং তড়কা স্বাদই আলাদা।
রাত্রিযাপন
সম্পাদনা- 1 বাঁশকোপা ইন, জিটি রোড (রাজবাঁধ ও মুচিপাড়ার মধ্যে), ☎ +৯১ ৩৪৩ ২৫২০৩৭৮-৩৭৯। বার এবং রেস্টুরেন্ট সহ।
- দুর্গাপুর হাউস, প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা সরণি, ☎ +৯১ ২৫৬৯৩৯৩-৯৪৯৪।
- হোটেল প্রীতিকা, পাম্প হাউস মোড়, শহীদ সুকুমার সরণি, বিধান নগর।
- হোটেল রিলায়েন্স, নাচন রোড, ভিরিঙ্গি মোড়, বেনাচিটি, ☎ +৯১ ৩৪৩ ২৫৮৩৮৮১-২৫৮৩৮৮২। আতিথেয়তার জন্য এটি দুর্গাপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় হোটেলগুলির মধ্যে একটি।
- 2 ইস্পাত হোটেল, স্টিল টাউনশিপ, ☎ +৯১ ৩৪৩ ২৫৬৩৮১৭।
- 3 কোয়ালিটি হোটেল, ভিড়িঙ্গি মোড়, ☎ +৯১ ৩৪৩ ২৫৮৩৮৫২।
- 4 পথিক মোটেল, গান্ধী মোড়ের কাছে, ☎ +৯১ ৩৪৩ ২৫৪৬৩৯৯, ফ্যাক্স: +৯১ ৩৪৩ ২৫৪৫৭৬৮। ১৫০ টাকা (ডরমেটরি) - ৯০০ টাকা (এসি ডিলাক্স)।
- 5 পিয়ারলেস ইন (পিয়ারলেস সরোবর পোর্টিকো), সিটি সেন্টার, ☎ +৯১ ৩৪৩ ২৫৪ ৬৬০১, ইমেইল: gm@kaizenhotels.co.in।
- 6 দ্যা রিভেরা, বীরভানপুর (দুর্গাপুর ব্যারেজের কাছে), ☎ +৯১ ৩৪৩ ২৫৫৫৪৭৬-৫৭৬০, +৯১ ৯৮৩০১৫৫৫১০, +৯১ ৯৮৩২১৬১৬৮৬। নদীর ধারে এই এলাকার একমাত্র ভাল হোটেল। নদীর ধারে, বাগান, শিশু পার্ক, লাউঞ্জ বার, মাল্টিকুইজিন রেস্তোরাঁ এবং কনফারেন্সের সুবিধা রয়েছে। ৪০০ টাকা - ২০০০ টাকা।