সাইরু হিল রিসোর্ট বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-থানচি সড়কের চিম্বুক পাহাড়ের আগে এর অবস্থান।
জানুন
সম্পাদনাপ্রায় হাজার ফুট উঁচু পাহাড় চূড়ায় নান্দনিক ও আধুনিক বিলাসবহুল এই রিসোর্টে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
প্রবেশ
সম্পাদনাসাইরু হিল রিসোর্টে সড়ক পথে এবং আংশিক আকাশ পথে আসা যায়। শুরুতে বান্দরবন আসতে হবে।
আকাশ পথে
সম্পাদনাআভ্যন্তরীণ বিমান সংথ্যার বাংলাদেশ বিমান, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার সহ বিভিন্ন আন্কর্জাতিক বিমান ঢাকা থেকে সরাসরি চট্রগ্রাম ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আকাশপথে চট্রগ্রাম বিমানবন্দরে এসে সড়ক পথে বান্দরবান যেতে হয়।
বাস
সম্পাদনাচট্টগ্রাম এবং রাজধানী শহর ঢাকা থেকে বিভিন্ন সড়ক মাধ্যমে বান্দরবন শহরে আসা যায়। বাস যোগে চট্টগ্রাম এবং ঢাকা থেকে সরাসরিভাবে আসা যায়। তবে ভেঙে আসলে বিমান, ট্রেন, বাস, পছন্দসই যেকোনো মাধ্যম বেছে নেওয়া যেতে পারে। চট্টগ্রাম এবং ঢাকা থেকে বান্দরবান রুটে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে এস. আলম, সৌদিয়া, ইউনিক, হানিফ, শ্যামলি, সেন্টমার্টিন, ডলফিন ইত্যাদি পরিবহনের বাস বান্দরবনের উদ্দেশ্যে ছাড়ে। শীতাতপ (এসি) ও সাধারণ (ননএসি) প্রতি জন ভাড়া ১০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম এসে তারপর চট্রগ্রামের বিআরটিসি টার্মিনাল, দামপাড়া বাস স্ট্যান্ড, একেখান বাস স্ট্যান্ড থেকে ১০০-৩০০ টাকায় বাস ভাড়ায় বান্দরবন আসা যায়। চট্রগ্রাম থেকে ভাড়া গাড়ীতে (প্রাইভেট কার, মাইক্রো) ২৫০০-৩৫০০ টাকায় বান্দরবন যাওয়া যায়।
ট্রেন
সম্পাদনাঢাকা থেকে চট্রগ্রাম গামী সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশিতা, মহানগর প্রভাতি কিংবা মহানগর গোধূলি ট্রেনে করে চট্রগ্রাম আসা যায়। শ্রেণী ভেদে ট্রেন ভাড়া ৩৫০ থেকে ১৫০০ টাকা। চটগ্রাম এসে উপরে নিয়মে বান্দরবান যেতে হবে।
বান্দরবান থেকে সাইরু
সম্পাদনাবান্দরবান শহর থেকে জীপ/চান্দের গাড়ি কিংবা সিএনজি দিয়ে সরাসরি সাইরু হিল রিসোর্টে যাওয়া যায়। ৪৫মিনিট থেকে ১ঘণ্টার এই যাত্রার রিজার্ভ জীপ এর ভাড়া ২০০০-২৫০০ টাকা এবং সি এন জি ভাড়া ৮০০-১২০০ টাকা।
ভোজন
সম্পাদনাসাইরুতেই নিজস্ব খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পছন্দমতো বিভিন্ন খাবার খাওয়া যাবে। এছাড়াও রয়েছে আদিবাসীদের বিশেষ খাবার। স্বাদের ব্যাম্বো চিকেনের স্বাদ নিতে চাইলে সেটাও মিলবে এখানে।
রাত্রিযাপন
সম্পাদনাসাইরু রিসোর্টে ভোজন এবং রাত্রিযাপন দুটোই বিলাসি মূল্যে পরিবেশিত হয়। রাত্রিযাপনের জন্যে রয়েছে ৪ ধরণের এবং বিভিন্ন মানের ২০টি কটেজ, যেখান থেকে চিম্বক প্রকৃতির দৃশ্য উপভোগের সুযোগ সহ নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। দিনপ্রতি ভাড়া ১০,০০০ থেকে ১৭,০০০ টাকা। বিভিন্ন উপলক্ষকালীন সময়ে ১০-৫০% ছাড়ের ব্যবস্থা থাকে।
- প্রিমিয়াম (১৬,০০০ টাকা/প্রতি রাত)
- সর্বোচ্চ ২ জন থাকা যাবে, সাথে ৮ বছরের ছোট ২ জন শিশু থাকতে পারবে।
- কিং সাইজ বেড সহ ৬০০ স্কয়ার ফিটের কক্ষ।
- বাড়তি বিছানা নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, এই বাড়তি মূল্য ১৫০০ টাকা।
- দম্পতি কিংবা পারিবার থাকার সুযোগ।
- শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এইসব কক্ষে রয়েছে সংযুক্ত স্নানকক্ষ, ব্যাক্তিগত বারান্দা এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
- এক্সিকিউটিভ (১৪,০০০ টাকা/প্রতিরাত)
- সর্বোচ্চ ২ জন থাকা যাবে, সাথে ৮ বছরের ছোট ২ জন শিশু থাকতে পারবে।
- কিং সাইজ বিছানা সহ ৫৭০ স্কয়ার ফিটের কক্ষ।
- বাড়তি বিছানা নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, এই বাড়তি মূল্য ১৫০০ টাকা।
- দম্পতি কিংবা পারিবার থাকার সুযোগ।
- শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এইসব কক্ষে রয়েছে সংযুক্ত স্নানকক্ষ, ব্যাক্তিগত বারান্দা এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
- সাঙ্গু নদীর দৃশ্য দেখার ব্যবস্থা সম্পন্ন ছাদ
- সাঙ্গু ভিউ, বারান্দা সহ (১৩,০০০ টাকা/প্রতিরাত)
- সর্বোচ্চ ৩ জন থাকা যাবে, বাড়তি বিছানা নেওয়ার ব্যবস্থা নেই।
- ১টি সিঙ্গেল বিছানা, ১টি বাঙ্ক বিছানা সহ ৩৪০ স্কয়ার ফিটের কক্ষ।
- শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এইসব কক্ষে রয়েছে সংযুক্ত স্নানকক্ষ, ব্যাক্তিগত বারান্দা এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
- সাঙ্গু ভিউ (১১,০০০ টাকা/প্রতিরাত)
- সর্বোচ্চ ৩ জন থাকা যাবে, বাড়তি বিছানা নেওয়ার ব্যবস্থা নেই।
- ১টি সিঙ্গেল বিছানা, ১টি বাঙ্ক বিছানা সহ ৩৪০ স্কয়ার ফিটের কক্ষ।
- শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এইসব কক্ষে রয়েছে সংযুক্ত স্নানকক্ষ, ব্যাক্তিগত বারান্দা এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
- পারিবাারিক কটেজ (২১,০০০/প্রতিরাত)
পরবর্তী ভ্রমণে
সম্পাদনা- বান্দরবান - একটি পাহাড়ি এলাকা, চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে দুই ঘণ্টা দুরত্ব
- রাঙ্গামাটি - চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় শহর
- পার্বত্য চট্টগ্রাম - চট্টগ্রাম বিভাগের এই এলাকা পাহাড় ও উপত্যকায় পূর্ণ বলে এর নামকরণ হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম।
- কক্সবাজার - বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত
- টেকনাফ - বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা
- সেন্টমার্টিন - বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ