বাঁশবেড়িয়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার একটি শহর ও পৌরসভা। এই অঞ্চল ভাগীরথী তথা গঙ্গা নদীর নিকট অববাহিকার মধ্যে পড়েছে। যার ফলে নদীতীরবর্তী সমাজজীবনের যাবতীয় সুযোগসুবিধা এখানে বর্তমান। আজকের বিশ্বের দূষিত পরিবেশের মাঝে একটু নিশ্বাস ফেলার মতো জায়গা বাঁশবেড়িয়াতে মজুত আছে, আর এটাই মানুষের কাছে ভ্রমণের এক অভূতপূর্ব অবকাশ তৈরি করেছে। বাঁশবেড়িয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের বেড়াবার মতো জায়গার অভাব নেই। ইকোপার্ক, মন্দির, মসজিদ, রয়্যাল এস্টেটের মতো ঐতিহাসিক স্থান, নদীতীরের হাঁফ ফেলার জায়গা সবই পাওয়া যাবে।
এই নিবন্ধে নিকটবর্তী ত্রিবেণী ও আদিসপ্তগ্রাম সম্বন্ধেও আলোচনা করা হয়েছে।
জানুন
সম্পাদনামধ্যযুগে সরস্বতী নদীর ধারে সপ্তগ্রাম বা সাতগাঁও বাংলার প্রধান বন্দর ছিল। যে সাতটি গ্রাম নিয়ে সপ্তগ্রাম গঠিত হয়েছিল তার মধ্যে বাঁশবেড়িয়া একটি। কিন্তু সপ্তদশ শতাব্দীতে সরস্বতী নদী শুকিয়ে যাওয়ার জন্য সপ্তগ্রাম বন্দর পরিত্যক্ত হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এই এলাকায় পর্তুগিজ বণিকদের আবির্ভাবের জন্য হুগলি নদীর ধরে হুগলি শহর প্রধান বন্দরের শিরোপা লাভ করেছিল।
ত্রিবেণী হচ্ছে হিন্দুদের একটি পবিত্র স্থান। ত্রিবেণী নামটা এসেছে এক ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে; সেই সঙ্গমের ইতিহাস একটু ঘেঁটে দেখলে জানা যায়: ভারতের জাতীয় নদী গঙ্গা অথবা ভাগীরথীর এক শাখানদী সরস্বতীর উৎসস্থল হচ্ছে এই ত্রিবেণী। আর সঙ্গম মানেই হিন্দুদের একটা পবিত্র স্থান তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ভারতের এরকম নদীসঙ্গম আছে প্রয়াগরাজে। প্রাকৃতিক দিক থেকে দেখতে গেলে এই সঙ্গমের জন্যেই ত্রিবেণী বাংলার পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। ভাগীরথী এবং সরস্বতী নদীর সঙ্গম এই ত্রিবেণী সামাজিকভাবেও এক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ত্রিবেণীতে বেড়াতে আসা কিংবা একদিনের চড়ুইভাতি করার এক আদর্শ অবস্থান রয়েছে।