আঁটপুর - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের স্মৃতিবিজড়িত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার এক ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র। এই গ্রামে বহু প্রাচীন যুগের নিদর্শন এক শিবমন্দির আছে যেখানে সাধক পুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ দেব এসেছিলেন। তার পর থেকেই আঁটপুর পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে।

আঁটপুরের দুই শতাধিক বছরের রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দির
আঁটপুর দোলমঞ্চ
আঁটপুর চণ্ডীমণ্ডপ

এছাড়া দুশো বছরেরও আগে অর্থাৎ আঠারো শতকের শেষ দিকে তৈরি রাধাগোবিন্দ জিউয়ের মন্দির,পুরোনো দোলমঞ্চ, চণ্ডীমণ্ডপ এসবই প্রত্নতত্ত্বের ঐতিহ্য বহন করছে।

চড়ুইভাতি সম্পাদনা

  • ভোরে এক দঙ্গল কলাকাতা থেকে গাড়ি ভাড়া করে যাত্রা করলে দু-ঘণ্টার মধ্যে আঁটপুর পৌছানো যায়। রান্নার সরঞ্জাম এবং খাওয়াদাওয়ার অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে থাকলেই আঁটপুরে একটা জমজমাট চড়ুইভাতি হয়ে যেতে পারে। স্থানীয় মানুষজনের সহযোগিতা সহজেই পাওয়া যায়। একদিনের চড়ুইভাতির আদর্শ জায়গা হল আঁটপুর।

যাতায়াত সম্পাদনা

  • কলকাতার সিদোকানহু ডহর (এসপ্ল্যানেড) থেকে সরকারি এক্সপ্রেস বাসে সরাসরি আঁটপুর দু-ঘণ্টার পথ।
  • কলকাতা থেকে নিজের গাড়িতে হাওড়া বাইপাস, বেনারস রোড, জগদীশপুর, শিয়াখালা হয়ে আঁটপুর আনুমানিক সত্তর কিলোমিটার পথ।

খাওয়াদাওয়া সম্পাদনা

স্থানীয় বাজারের হোটেল-রেস্তোরাঁয় আমিষ, নিরামিষ, চিনে, ভারতীয় সব খাবারই পাওয়া যায়।

কেনাকাটা সম্পাদনা

  • আঁটপুরে চড়ুইভাতি করতে এসে, এই গ্রামেই অথবা আর একটু পশ্চিমে গেলেই দেখবেন রাজবলহাট গ্রামে ঘর ঘর তাঁত চলে। কোনো তাঁতিপাড়ায় ঢুকে নানা তাঁতের শাড়ি কিংবা অন্যান্য পোশাকের সম্ভার দেখতে দেখতে, বিশেষ করে মহিলাদের কিন্তু ঘরে ফিরতে দেরি হয়ে যেতে পারে!