হলদিয়া হল পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি মহকুমা শহর এবং ভারতের একটি সমুদ্র বন্দর, যেখানে ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণের সবরকম ব্যবস্থাই মজুত আছে। নদীচর, সমুদ্রবন্দর, জনপদ, তেল শোধনাগার, পেট্রোকেমিক্যালস ও অন্যান্য অনুসারী শিল্পকারখানা, স্কুল, কলেজ, সিনেমা, কমিউনিটি হল ইত্যাদি অনেক কিছুই এখানে দেখার আছে।

হলদি নদীতে সূর্যাস্ত
হলদিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস

হলদিয়া নামের সঙ্গে যুক্ত আছে হলদি নদী। এই নদী হলদিয়াতেই বঙ্গোপসাগরে এসে মিশেছে। হলদি নদীর মোহনা নিঃসন্দেহে বেড়াবার আদর্শ জায়গা।

হলদিয়া সমুদ্র বন্দরে বেড়াতে বেড়াতে এক জায়গায় দেখবেন বটলপাম গাছের ফাঁক দিয়ে সমুদ্রের কূলে দাঁড়িয়ে থাকা তেলের প্রকাণ্ড জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে আপনার পায়ের নিচে দিয়ে গোঁ গোঁ করে অশোধিত তেল শোধনাগারে ঢুকছে।

কীভাবে যাবেন? সম্পাদনা

  • কলকাতা (হাওড়া স্টেশন) থেকে ট্রেনে সরাসরি হলদিয়া ঘণ্টা দেড়েকের সফর।
  • কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে সাধারণ এবং বাতানুকূল বাসে হলদিয়া।
  • কলকাতা থেকে নিজের অথবা ভাড়া চার চাকার গাড়িতে বিদ্যাসাগর সেতু, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, ছ-নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে উলুবেড়িয়া, বাগনান হয়ে মেচেদা। মেচেদা থেকে জাতীয় সড়ক-৪১ (মেচেদায় শুরু হলদিয়ায় শেষ) ধরে সরাসরি হলদিয়া আনুমানিক ১৫২ কিলোমিটার।

কোথায় থাকবেন? সম্পাদনা

হলদিয়া পূর্ব মেদিনীপুরের মহকুমা শহর এবং শিল্পনগরী হওয়ায় শহরের প্রধান প্রবেশপথ মালঞ্চ মোড় থেকে হলদিয়া টাউনশিপ পর্যন্ত অসংখ্য থাকা-খাওয়ার হোটেল আছে।

কী দেখবেন? সম্পাদনা

  • 1 হলদিয়া বন্দর (হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স)। এই বন্দরটি তৈরি করা হয়েছে কলকাতা বন্দর এর সহযোগী বন্দর হিসাবে। তাই একে বন্দর না বলে ডক কমপ্লেক্স বলা হয়। হলদিয়া বন্দর বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের একক বৃহত্তম বন্দর। বন্দরটি হুগলি নদী ও হলদি নদীর মিলন স্থানে হুগলি হুগলি নদীর পশ্চিম উপকূলে গড়ে উঠেছে।    
  • 2 হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসএটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেট্রোকেমিক্যালস কারখানা। ১৯৯৪ সালে টাটা গোষ্ঠী, চ্যাটার্জি গোষ্ঠী, ইন্ডিয়ান অয়েল ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মধ্যে চুক্তি হয় এবং হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের নির্মাণ শুরু হয়। ২০০১ সালে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসে প্রথম উৎপাদন শুরু হয়।    
  • 3 হলদিয়া তৈল শোধনাগার (হলদিয়া তেল শোধনাগার)। ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড এই তৈল শোধনাগারটি গড়ে তোলে। ১৯৭৫ সালে জানুয়ারিতে এই তৈল শোধনাগারের উদ্বোধন হয়। মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা অশোধিত খনিজ তেল এই তৈল শোধনাগারে শোধন করা হয় এবং সারা দেশে পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ও অন্যান্য পেট্রোপণ্য সরবরাহ করা হয়।    
  • 4 হলদি নদী    
  • 5 হলদিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি  

রাত্রিযাপন সম্পাদনা