সোনারচর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাংলাদেশের একটি দর্শনীয় স্থান, যা পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত। এটি দেশের রাজধানী ঢাকা হতে ৩৫০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত যা ২০১১ সালে অভয়ারণ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বিশেষত্ব
সম্পাদনাপটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচর এলাকায় এই অভয়ারণ্যটি অবস্থিত। সোনারচর এলাকার ২০২৬.৪৮ হেক্টর এলাকা নিয়ে এই অভয়ারণ্যটি বিস্তৃত।
শকুনের নিরাপদ এলাকা-২ তফসিল অনুসারে সোনারচর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য শকুনের জন্য নিরাপদ বলে ঘোষিত।
কীভাবে যাবেন
সম্পাদনারাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ২৩০ কিলোমিটার এবং জেলা সদর হতে ৩৫ কিলোমিটার। এই জেলাটি একটি উপকূলীয় ও নদীবহুল অঞ্চল হওয়ায় এখানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, সড়ক পথেও এখানে আসা সম্ভব; সেক্ষেত্রে ফেরী পারাপার হতে হবে। পটুয়াখালীতে রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।
ঢাকার সায়েদাবাদ বাসষ্টপ থেকে ঢাকা-গলাচিপা সরাসরি বাস সার্ভিস বিদ্যমান আছে; এতে এসে তারপর সেখানকার পানপট্টি ইউনিয়নের লঞ্চঘাট হতে খেয়া বা লঞ্চ যোগে রাঙ্গবালী উপজেলায় পৌছাতে হয়। এই রুটে গাড়িগুলো হিনো চেয়ার কোচ ও নরমাল চেয়ার কোচ। হিনো চেয়ার কোচগুলো গুলো ফেরী পারাপার এবং নরমাল চেয়ার কোসগুলো লঞ্চ পারাপার।
ঢাকা সদরঘাট নদী বন্দর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে গলাচিপার সরাসরি লঞ্চ সার্ভিস আছে, সেগুলোতে করে গলাচিপায় এসে তারপর সেখানকার পানপট্টি ইউনিয়নের লঞ্চঘাট হতে খেয়া বা লঞ্চ যোগে রাঙ্গবালী উপজেলায় পৌছাতে হয়। এছাড়াও পটুয়াখালী/বরগুনা/ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে যেসব লঞ্চ ছেড়ে যায় সেগুলোতে করে গলাচিপায় এসে পরবর্তীতে স্থানীয় নৌযানে আসা যায়; বা বরিশালগামী লঞ্চে এসে সেখান থেকে লোকাল নৌযানে আসা যায়।
এরপর এখান থেকে সড়ক বা নৌ-পথে অভয়ারণ্যে যেতে হয়।
ঘুরে দেখুন
সম্পাদনানিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াতে পারেন; এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো -
- রতনদির একগম্বুজবিশিষ্ট গুরিন্দা মসজিদ (১৮ শতক);
- রাবনাবাদ দ্বীপ।
কোথায় থাকবেন
সম্পাদনারাঙ্গাবালীতে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -
- জেলা পরিষদ ডাকবাংলো - রাঙ্গাবালী।
- জুয়েল বোর্ডিং - বাহের চর বাজার, রাঙ্গাবালী; মোবাইল: ০১৭৩৪-৪১২ ৩৬৩।
কী খাবেন
সম্পাদনাএখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। এখানে জলযোগের খিঁচুড়ি আর শিঙাড়ার অনেক সুনাম রয়েছে। এছাড়া কিছু জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান রয়েছে, এখানের বনলতা সুইটসের দই, প্যারাডাইসের প্যাড়া সন্দেশ বিখ্যাত।