রাঙ্গাবালী উপজেলা বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ৭২০.৭৬ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২২°৫১′ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২২°৫৮′ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৯০°০০′ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯০°২৩′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে আমতলী এবং গলাচিপা উপজেলা; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর; পূর্বে গলাচিপা এবং চরফ্যাশন উপজেলা এবং পশ্চিমে আমতলী উপজেলা।
কীভাবে যাবেন?
সম্পাদনারাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ২৩০ কিলোমিটার এবং জেলা সদর হতে ৩৫ কিলোমিটার। এই জেলাটি একটি উপকূলীয় ও নদীবহুল অঞ্চল হওয়ায় এখানকার যেকোনো স্থানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, সড়ক পথেও এখানে আসা সম্ভব; সেক্ষেত্রে ফেরী পারাপার হতে হবে। পটুয়াখালীতে রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।
সড়কপথে
সম্পাদনাঢাকার সায়েদাবাদ বাসষ্টপ থেকে ঢাকা-গলাচিপা সরাসরি বাস সার্ভিস বিদ্যমান আছে; এতে এসে তারপর সেখানকার পানপট্টি ইউনিয়নের লঞ্চঘাট হতে খেয়া বা লঞ্চ যোগে রাঙ্গবালী উপজেলায় পৌছাতে হয়। এই রুটে গাড়িগুলো হিনো চেয়ার কোচ ও নরমাল চেয়ার কোচ। হিনো চেয়ার কোচগুলো গুলো ফেরী পারাপার এবং নরমাল চেয়ার কোসগুলো লঞ্চ পারাপার।
নৌপথে
সম্পাদনাঢাকা সদরঘাট নদী বন্দর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে গলাচিপার সরাসরি লঞ্চ সার্ভিস আছে, সেগুলোতে করে গলাচিপায় এসে তারপর সেখানকার পানপট্টি ইউনিয়নের লঞ্চঘাট হতে খেয়া বা লঞ্চ যোগে রাঙ্গবালী উপজেলায় পৌছাতে হয়। এছাড়াও পটুয়াখালী/বরগুনা/ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে যেসব লঞ্চ ছেড়ে যায় সেগুলোতে করে গলাচিপায় এসে পরবর্তীতে স্থানীয় নৌযানে আসা যায়; বা বরিশালগামী লঞ্চে এসে সেখান থেকে লোকাল নৌযানে আসা যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ
সম্পাদনা- 1 সোনারচর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (সোনারচর বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য)। ২০১১ সালের ২৪ ডিসেম্বর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৬.৪৮ হেক্টর জমি নিয়ে এই বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যটি গঠিত।
- রতনদির একগম্বুজবিশিষ্ট গুরিন্দা মসজিদ (১৮ শতক),
- রাবনাবাদ দ্বীপ।
খাওয়া - দাওয়া
সম্পাদনাথাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান
সম্পাদনারাঙ্গাবালীতে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের –
- জেলা পরিষদ ডাকবাংলো – রাঙ্গাবালী।
- জুয়েল বোর্ডিং - বাহের চর বাজার, রাঙ্গাবালী; মোবাইল: +৮৮০১৭৩৪-৪১২ ৩৬৩।