জানুন
সম্পাদনাসোজাত শহরটি পালি জেলার সুকরি নদীর তীরে অবস্থিত। প্রাচীনকালে এই শহর তামরাবতী নামে পরিচিত ছিল। ১৪৬০ সালে রাও যোধার পুত্র নিম্বা সোজাত দুর্গ তৈরি করেছিলেন।
আবহাওয়া আর জলবায়ু
সম্পাদনাসোজাত শহরটি একটি আধা-শুষ্ক জলবায়ুর আনন্দ পাওয়া যায় যা শুষ্ক এবং গরম আবহাওয়া দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। মে-জুন মাসে তাপমাত্রা ৪৬-৪৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত বেরে যায় এবং অল্প ব্যবধানে ৪-৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমে যায়। রাজ্যের অন্যান্য উপাদানের তুলনায় সোজাত শহরে যথেষ্ট বৃষ্টিপাত হয়। তাই সওজাত শহরে হীনার চাষ করা হয়।
যাওয়ার জন্য
সম্পাদনাসোজাত শহরে যাওয়ার জন্য রেল ও বাসের ভালো সুবিধা রয়েছে।
রেলপথে
সম্পাদনাজয়পুর থেকে সোজাত প্রায় (২৬১.৫ কিমি) দূরে অবস্থিত। জয়পুর থেকে সোজাত রোডের মধ্যে প্রতিদিন ৩ টি ট্রেন চলে। ট্রেন দ্বারা জয়পুর থেকে সোজাত ২৫৪ কিমি।
রাস্তা দিয়ে
সম্পাদনাজয়পুর থেকে সোজাত পালি যাওয়ার বাসও পাওয়া যায়। জয়পুর থেকে সোজাত পালি যাওয়ার সময় প্রায় ৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট লেগে যায়।
আকাশ পথে
সম্পাদনাদেখুন
সম্পাদনাসেজল মাতার মন্দির
সম্পাদনাসেজল মাতার মন্দিরটি একটি ছোট টিলার মঞ্চের উপর নির্মিত এবং এতে দুটি মূর্তি রয়েছে এবং দুটি মূর্তিই সিঁদুরে আবৃত। সেজল মাতার মন্দিরটি অনেক পুরনো। প্রাচীনকালে সোজাত কে সেজল নামে পরিচিত ছিল, পরে এর নাম সোজাত পরল।
চতুর্ভুজ মন্দির
সম্পাদনারাজোলা কালা সোজাতের একটি চতুর্ভুজ মন্দির। রাজোলা কালা এটি একটি প্রমুখ স্থান রাখেন।
চামুন্ডা মাতা
সম্পাদনাচামুন্ডা মাতা মন্দিরের ভাকড়িতে চামুন্ডা মাতা মন্দিরের একটি গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে। চামুন্ডা মাতা মন্দিরে দুটি বিশাল মেলা বসে। নাগ পঞ্চমী ও উবচট এখানে মেলায় ভরে যায়। নবরাত্রের সময় সন্ধ্যা আরতি হয় এবং নবরাত্রের সময় জাগরণ ইত্যাদিও অনুষ্ঠিত হয়। এখানে চামুন্ডা মাতার মন্দির একটি অতি প্রাচীন মন্দির।
সতলোক আশ্রম সোজাত
সম্পাদনাসোজাতে নির্মিত হয়েছে বিশাল সতলোক আশ্রম। এই আশ্রমটি পরিচালনা করেন জগৎগুরু তত্ত্বদর্শী সন্ত রামপাল জি মহারাজ। আশ্রমটি প্রায় ৩৭ বিঘা জুড়ে বিস্তৃত। আশ্রমে আসার ভক্তদের জন্য সমস্ত মৌলিক সুবিধা উপলব্ধ। যেমন, আগত ভক্তদের জন্য ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে ভান্ডার ও নাস্তার জন্য চা বিস্কুটের ব্যবস্থা করে রাখেন। আশ্রমে ভক্তদের স্নান ও থাকার জন্য বিনামূল্যের ব্যবস্থা রয়েছে। দীক্ষা গ্রহণকারীদের জন্য আশ্রমের ভিতর বিনামূল্যে দীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আশ্রমের বাইরে ১২ বিঘার একটি পার্কিং স্থল রয়েছে। সোজাত সিটি থেকে আশ্রম প্রায় ৮ কিমি দূরে, যেখানে আশ্রম যাওয়ার জন্য আশ্রমের বাসের সুবিধা সবসময় থাকেন, যা বিনামূল্যে আশ্রমে নিয়ে আসা এবং নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আশ্রমে সমাগমে বিশাল ভান্ডার, যৌতুক মুক্ত বিবাহ এবং রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।