মুম্বই (মারাঠি: मुंबई) (রাজ্য পর্যটন দপ্তর), একটি বিশ্বনাগরিক মহানগর। পূর্বে শহরটির নাম বম্বে ছিল। এটি ভারতের বৃহত্তম শহর তথা মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী। মুম্বাই মূলত কঙ্কণ উপকূলবর্তী সাতটি আলাদা আলাদা দ্বীপ ছিল, যেগুলো সময়ের সাথে সাথে একত্রিত হয়ে দ্বীপের শহর বম্বে গঠন করে। বৃহত্তর মুম্বাই গঠন করতে দ্বীপটি পার্শ্ববর্তী সালশেৎ দ্বীপের সাথে যুক্ত করা হয়। এই মহানগরীর আনুমানিক জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৮৪ লক্ষ (২০১১), এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলির মধ্যে একটি।

মুম্বাই নিঃসন্দেহে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং দেশটির প্রধান বন্দরশহরগুলোর অন্যতম। ভারতের এই শহরটি বলিউড ও হিন্দি দূরদর্শন শিল্পের কারণে বিশ্ববিখ্যাত। একাধারে এটি ভারতের বৃহত্তম বস্তিবাসী জনসংখ্যা সম্পন্ন শহর অন্যদিকে ব্রিটিশ রাজ আমলে নির্মিত জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ গেটওয়ে অব ইণ্ডিয়া এই শহরে অবস্থিত।

বম্বে নামটি অনুসন্ধানী ফ্রান্সিস আলমেইডা কর্তৃক প্রদত্ত এবং এর উৎপত্তি পর্তুগীজ বোম্ বাহি'আ থেকে, যার অর্থ সুউপসাগর/ভাল উপসাগর। পরে কোলী সম্প্রদায়ের উপাস্য দেবী মুম্বা-এর নামানুসারে শহরটির নাম মুম্বাই করা হয়।

মুম্বইয়ের অঞ্চল, রং করা মানচিত্র
 দক্ষিণ মুম্বই (ফোর্ট, কুলাবা, মালাবার হিল, নরিমন পয়েন্ট, ম্যারিন লাইন্স, তাড়দেও)
এটি মুম্বইয়ের পুরাতন এলাকা। মুম্বই এর ডাউনটাউন এলাকা এবং ভারতের এই বাণিজ্যিক রাজধানীর হৃদয় হিসেবে এই এলাকাটি গণ্য করা হয়। দেশেট সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তিগণ এই এলাকাজুড়ে বসবাস করে; যার কারণে, সারাবিশ্বের উচ্চ সম্পত্তি হার সম্পন্ন এলাকাগুলোর তালিকায় এই এলাকাটি স্থান করে নিতে পেরেছে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের রিয়েল এস্টেট ব্যবসার মূল্য ম্যানহাটানের সমতুল্য। এটি মুম্বইয়ের প্রাথমিক পর্যটন এলাকা এবং মুম্বইয়ের অধিকাংশ জাদুঘর, কলা প্রদর্শনশালা, বার, বিশ্বমানের রেস্তোরাঁ, এবং গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া এই এলাকাতেই অবস্থিত।
 দক্ষিণ-মধ্য মুম্বই (ভাইখলা, পরেল, ওরলি, প্রভাদেবী, দাদর)
এককালে মুম্বাইয়ের শিল্পগত হৃদভূমি হিসেবে পরিচিত, কিন্তু শিল্পের পতন ঘটে এবং অবস্থার পরিবর্তন হয়। বর্তমানে এলাকাটিতে বাবুদের দপ্তর নির্মাণ করার মাধ্যমে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এখানে মুম্বইয়ের একমাত্র চিড়িয়াখানা, ওরিল সমুদ্রতট, এবং মানুষের কাছে শহরের রক্ষাকর্তা হিসেবে বিবেচিত দেবতার মন্দিরটি এখানে অবস্থিত। আপনি যেমন যেমন উত্তরদিকে যাবেন, একটি চমৎকার মধ্যবিত্ত এলাকায় পরিনত হতে দেখবেন।
 উত্তর-মধ্য মুম্বই (ধারাবি, মাটুংগা, ওড়ালা, শিব/সায়ন, মাহিম)
ধারাবি বাদে, মূলত উচ্চ-মধ্যবিত্ত মানুষের বাসস্থান, ধারাবি এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বস্তি এলাকা। ভারতের স্বাধিনতার পরে, অভিবাসন তরঙ্গের কারণে এলাকাটি খুব তাড়াতাড়ি উন্নত হয়। আংশিক অভিবাসী বিভাজনের কারণে শরণার্থী ছিল।
 পশ্চিম মুম্বই (বান্দ্রা, খার, সান্তাক্রুজ, জুহু, ভিলে পার্লে, অন্ধেরী,বর্সোভা)
এটি মুম্বইয়ের আরেকটি ডাউনটাউন এবং এখানে সে সকল ধনী ব্যক্তিগণের বসবাস যারা আরও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চান। এখান কয়েকটি সৈকত রয়েছে। শহরের সুবিখ্যাত গির্জা এখানে অবস্থিত তথা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশের বাসস্থান। এছাড়া নগরীর অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখানেই অবস্থিত।
 পূর্ব মুম্বই (মধ্য উপনগর) (কুর্লা, বিদ্যাবিহার, ঘাটকোপার, কিক্রোলী, কাঞ্জুর মার্গ, ভান্ডুপ, মুলুন্ড, পবই, থানে, ভিমান্ডি, ডোম্বিভালি, কল্যাণ)
এই এলাকাটি দৃঢ়ভাবে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর দুর্গ। মুলুন্ড ও ঘাটকোপারে মূলত মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণী বাস করে; যাদের অনেকেই গুজরাটি উদ্যোক্তা সম্প্রদায় ভুক্ত। থানের অধিবাসীদের অধিকাংশই কোলী সম্প্রদায়ের, এবং এখনও এখানে তাদের গ্রামগুলো বর্তমান; যেমন, "চেন্দানি কোলীওয়াড়া", "কোপারি গাঁও" ও "উথালসর"। এছাড়াও মাজিওয়াড়ে, বালকুম, ধোকালি, কোলশেট, ওয়াড়াবালি ইত্যাদি। ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে, যখন ব্রিটিশগণ তাদের নতুন অঞ্চল বেশিন আবিষ্কার করে, তখন তারা আবিষ্কার করে যে, থানে মূলত রোমান ক্যাথলিকদের বাসস্থান, যারা উভয়ই স্থানীয় এবং পর্তুগিজ ছিল এবং পরবর্তীতে এটি ছিল তাত্ত্বিকভাবে স্বতন্ত্র। স্থানীয় গ্রামবাসী, যেমন কোলীগণ (জেলেরা), আদিবাসী ক্যাথলিকদের মধ্যে চেন্দানি, কোলীওয়াড়া ও মাজিওয়াড়া গ্রামের অধিকাংশ অধিবাসীই ধর্মান্তরিত হয়েছে। অগ্রী ও কলী সম্প্রদায়ের মানুষের তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ছিল। থানের খৎরি ওয়ার্ডের কিছু উচ্চ শ্রেণীর পূর্ব ভারতীয় পরিবার এখনও পর্তুগীজ ভাষায় কথা বলে।
 হারবার উপনগর (চেম্বুর, মানখুর্দ, গোওয়ান্ডি, ট্রম্বে)
বম্বের উপগ্রহ শহর হিসেবে নবী মুম্বইয়ের স্থাপনার পূর্বে, এই এলাকাটি শুধুমাত্র এখানে অবস্থিত পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের জন্য পরিচিত ছিল। বর্তমানে এটি নবী মুম্বাইয়ের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত।
 উত্তর মুম্বই (মানোরি, যোগেশ্বরী, বোরিবালি, গোরাই, দহিসর)
এখানে আপনি পরিচ্ছন্ন সৈকত দেখতে পাবেন। এছাড়া এটি বম্বে-র বিশাল নগর বিস্তারের আরেকটি শিকার। সঞ্জয় গান্ধি জাতীয় উদ্যান এবং মুম্বাইয়ের প্রাচীনতম ঐতিহ্যস্থলগুলো: ১ম থেকে ৫ম খ্রিস্টপূর্ব শতাব্দীতে নির্মিত কন্হেরি, মহাকালী, যোগেশ্বরী এবং শিলা-খদিত মণ্ডপেশ্বর মন্দির অবস্থিত। মুম্বাইয়ের উল্লেখযোগ্য স্মৃতিস্তম্ভ বৈশ্বিক বিপাসনা বুদ্ধমন্দির গোরাইতে অবস্থিত। বুদ্ধমন্দিরটি শান্তি ও সাদৃশ্যের স্মৃতিসৌধ হিসেবে বিবেচিত। বুদ্ধমন্দিরটি ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল কর্তৃক উদ্বোধন করা হয়। এটি মুম্বইয়ের উত্তরদিকে, গোরাই খাড়ি ও আরব সাগরের মধ্যবর্তী গোরাই নামক একটি দ্বীপে দানকৃত জমিতে অবস্থিত। বৈশ্বিক বিপাসনা বুদ্ধমন্দিরের পর্শ্বেই, এসসেল ওয়ার্ল্ড, ভরতের বৃহত্তম বিনোদন উদ্যান অবস্থিত।

মুম্বইতে একজন পর্যটক হিসেবে তাড়াতাড়ি বুঝবেন যে, মুম্বাই "পশ্চিম" এবং "মধ্য" উপনগরে বিভক্ত। এছাড়া আপনি "পূর্ব" পার্শ্ব এবং একটি "পশ্চিম" পার্শ্বের কথাও শুনতে পাবেন। এখানে বিভ্রান্তির জন্য একটি দ্রুত ব্যাখ্যা প্রদান করা হল।

  • পশ্চিম ও মধ্য উপনগরের নামকরণ করা হয় স্থানীয় রেল লাইনের নামে যা সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিসেবা প্রদান করে। পশ্চিম ও মধ্য রেল হলো রেললাইন যা "ভারত"-এর পশ্চিম ও মধ্য অংশে পরিসেবা পরিবেশন করে। উভয়েরই সদরদপ্তর মুম্বাইতে অবস্থিত। হার্বার লাইন একটি ফীডার লাইন যা বন্দর এলাকায় (পূর্বপাশের বন্দর পার্শ্ববর্তী এলাকা) মধ্য ও পশ্চিম লাইন দুটিকে সংযুক্ত করে। এটি মুম্বাইয়ের উত্তর-পূর্ব উপনগর এবং পরবর্তীতে নবী মুম্বইয়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। যদিও এই এলাকাগুলোর অধিকাংশই বন্দরের কাছাকাছি অবস্থিত নয়।
  • মুম্বাইয়ের প্রায় সর্বত্রই একটি "পশ্চিম" পার্শ্ব এবং একটি "পূর্ব" পার্শ্ব রয়েছে। "পশ্চিম" অর্থাৎ রেললাইনের পশ্চিম এবং "পূর্ব" অর্থাৎ রেললাইনেরর পূর্ব পার্শ্ব। উদাহরণস্বরূপ, মুলুন্ড (পশ্চিম) অর্থাৎ উক্ত এলাকা মুলুন্ড রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিমে অবস্থিত। ঠিকানা লেখার সময়, পশ্চিম ও পূর্বকে সংক্ষেপে লেখা হয়, যেমন, মুলুন্ড (পঃ)/Mulund (W) ও মুলুন্ড (পূঃ)/Mulund (E)

মুম্বই এমন একটি শহর যেটি অভিপ্রয়াণের ক্রমাগত ঢলে তৈরি হয়েছে। পাড়ার সম্প্রদায়গুলি, তাদের চরিত্র অর্জন করেছে, যাররা সেখানে প্রথম বসতি স্থাপন করেছে। এরকম অনেকগুলো পাড়া রয়েছে এবং এইসব এলাকাগুলি বৃহত্তর জেলার মধ্যে সংগঠিত করার কোনও সাধারণ গ্রহণযোগ্য উপায় নেই। কিন্তু প্রায়শই, এই শহরটি দক্ষিণ থেকে উত্তরে, গড়ে উঠেছে।

এলিফ্যান্টা গুহার খোদাইকৃত ভাস্কর্য

মুম্বাই একটি অনন্য শহর, মূলত বিবিধতা, উদ্যোক্তার মতো ভাবনা যা মুম্বাইয়ের জীবনে গতি প্রদান করে ইত্যাদি, মুম্বাইকে ভারতের অন্যান্য মহানগরীর চাইতে আলাদা করেছে।

শহরটির মূল নাম নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ বলে মুম্বাই শহরের বর্তমান নামটি আসল নাম; এবং এটির উৎপত্তি স্থানীয় হিন্দু দেবী "মুম্বা" ও মারাঠি ভাষায় "মাতা"-এর সমার্থক শব্দ "আঈ" থেকে। অন্যদের দাবী যে, বোম্বাই নামের উৎপত্তি বোম বাহিয়া থেকে পর্তুগীজ ভাষায় যার অর্থ "সুন্দর উপসাগর", এবং পরবর্তীতে ব্রিটিশদের দ্বারা ইংরেজিকরণের ফলে নামটি জনপ্রিয়তা পায়।

১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে, আনুষ্ঠানিকভাবে শহরটির নাম বোম্বাই থেকে মুম্বাই করা হয়। যদিও বম্বে ও মুম্বাই দুটি নামই ব্যবহার করা হয়, তবে "বম্বে" নামটি সধারণত অ-মারাঠি ভাষীরা ব্যবহার করে, যেখানে প্রাথমিকভাবে মারাঠি ভাষীগণ মুম্বাই নামটির ব্যবহার করে। পশ্চিমা দেশগুলো, সাধারণত বিতর্ক এড়ানোর জন্য মুম্বাই নামটিই ব্যবহার করে। এছাড়া ভালবেসে आमची मुंबई (আমচী মুম্বাই/আমাদের মুম্বাই) বলা হয়।

ইতিহাস

সম্পাদনা

যদিও সাতটি দ্বীপ দ্বারা গঠিত এই শহরটির এখন পর্যন্ত, ভারতের অন্যান্য স্থানের মতো দীর্ঘ ইতিহাসে রয়েছে; তবে, ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে, গুজরাট সালতানাতের এই এলাকাটি পর্তুগীজগণ দখলে নিলে মুম্বাই শহরের গঠন যাত্রা শুরু হয়। তারা লোকালয়, দুর্গ, এবং গির্জা নির্মাণ করে, (বহিরাগতরা যা আজও খুঁজে।) তবে, তারা তাদের বেশিরভাগ জমি দখল করতে পারেনি, এবং ১৬৬১ খ্রিস্টাব্দে ক্যাথারিন ডি ব্রাগাঞ্জা ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় চার্লসকে বিয়ে করলে, সাতটি দ্বীপই যৌতুকের অংশ হিসেবে ইংল্যান্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি দ্বীপগুলোর প্রতি খুব আগ্রহী ছিলেন না, এবং ১৬৬৮ খ্রিস্টাব্দে, তিনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে বাৎসরিক £১০-এ পত্তনি দেয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বন্দর ঘাটি, দুর্গ, ও ট্রেডিং পোস্ট নির্মাণ করে যা পরবর্তীতে শহরের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শহরটির জমি পুনরুদ্ধার ও দ্বীপগুলো জোড়ার কার্যকলাপ চলতে থাকে।

মুম্বাইয়ের সমুদ্রবন্দর শিল্প উন্নয়নে সহায়ক হয় এবং পার্সি, গুজরাটি ও (রাজস্থানের) মাড়ওয়ারি ইত্যাদি উদ্যোক্তা সম্প্রদায়গুলো এই শহরের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্তিমসময়ে কলকারখানা, বিভিন্ন ক্ষুদ্র তথা ভারিশিল্প গোড়ে তোলে। শিল্পকারখানা খাতে উন্নত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অংশের প্রবাসী শ্রমিকরাও এই শহরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। অভিবাসনের ক্রমাগত ধারা মুম্বাই তথা এর পার্শ্ববর্তী শহরগুলো গঠন করে।

মূলত ব্রিটিশদের প্রচেষ্টায় নির্মিত এই শরহটি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জন্মস্থান, যে দলটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। শহরটির কলকারখানা সমূহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পপতিগণ কর্তৃত নির্মিত হলেও, ভাষা ভিত্তিক রাজ্য গঠনের সময় এটি মারাঠি ভাষীদের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয় যা এখন মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী।

৮০-এর দশকে, উচ্চ শ্রমিক ব্যয় ও বাজার অস্থিরতা অনেক টেক্সটাইল মিল বন্ধের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং শহরের অর্থনৈতিক পতন শুরু হয়; তবে ৯০-এর দশকের শেষদিকে মুম্বাই তার গরিমা পুনরুদ্ধার শুরু করে। শহরটির উচ্চ জনসংখ্যা এর অবকাঠামোর উপর চাপ সৃষ্টি করেছ। রেল ও সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ৯০-এর দশকে কিছুটা উন্নতি করেছে, কিন্তু কার্যক্ষেত্রের বিস্তৃতির কারণে, রাস্তাগুলো সর্বদাই নির্মাণাধী বলে মনে হয়। বর্তমান সময়ে মুম্বাই পুনরায় নিজেকে সেবা-উপভোগ শিল্পের একটি কেন্দ্র হিসাবে জাহির করেছে।

জানুয়ারি ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে, অযোধ্যর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হলে, শহরটিতে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে, এবং ১,০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যার অধিকাংশই মুসলমান ছিলেন। শহরের বিভিন্ন সম্প্রদায়ে মধ্যে সম্পর্ক এাকনও উত্তেজনাকর, এবং কিছু সন্ত্রাসী অত্যাচার (#নিরাপদ থাকুন দেখুন) এই আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়ে চলেছে।

বিষয়শ্রেণী তৈরি করুন