ভোলা জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা। এটি বরিশাল বিভাগ এর অন্তর্গত। গাঙ্গেয় অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত দেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলা। এর আয়তন ৩,৪০৩.৪৮ বর্গ কিলোমিটার। উত্তর পশ্চিমে বরিশাল, উত্তর পূর্বে লক্ষ্মীপুর, পূর্বে নোয়াখালী জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পটুয়াখালী জেলা ও তেঁতুলিয়া নদী। এই জেলাটি চরফ্যাশন, তজুমদ্দিন, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, ভোলা সদর, মনপুরালালমোহন - এই সাতটি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত।

কীভাবে যাবেন সম্পাদনা

ভোলা শহর ঢাকা থেকে নদীপথে দূরত্ব ১৯৫ কি.মি.। বাইরুটে বরিশাল হয়ে সড়কপথে দূরত্ব ২৪৭কি.মি. এবং লক্ষীপুর হয়ে দূরত্ব ২৪0 কি.মি.। লঞ্চযোগে (সরাসরি)৮/৯ ঘণ্টা, বাসযোগে (ভায়া বরিশাল) ৭/৮ ঘণ্টা এবং বাসযোগে (ভায়া লক্ষীপুর) ৬/৭ ঘণ্টা সময় লাগে।

দেখুন সম্পাদনা

  • 1 মনপুরাঢাকার সদরঘাট থেকে টিপু-৫ / পানামা নামে একটি লঞ্চ ছেড়ে যায় সন্ধে সাড়ে ৫ টার সময়। এটি মনপুরা হয়ে হাতিয়ে যায়। মনপুরা পৌছাবে সকাল ৭ টার সময়। কোন কারনে এটা মিস করলে সাড়ে ছয়টার সময় ছেড়ে যাওয়া ভোলার চরফ্যাশনগামী টিপু-৪/ফারহান লঞ্চে উঠে পড়বেন। এতে উঠে তজুমুদ্দিন এ নেমে পড়বেন ভোর ৪ টার দিকে। তারপর ট্রলারে/লঞ্চে ১ ঘণ্টার পথ মনপুরা যাবেন।    
  • 2 চর কুকরীমুকরী, কচ্ছপিয়া, চরফ্যাশন উপজেলাভোলা জেলা শহর থেকে সড়ক পথে চরফ্যাশন উপজেলা সদরের দূরত্ব ৭৩ কিলোমিটার। চরফ্যাশন থানা সদর থেকে কচ্ছপিয়া পর্যন্ত ২৫ কি.মি. সড়ক পথে ভ্রমণ করে, নদীপথে আরও ১০/১৫ কিলোমিটার ভ্রমণ করে পৌঁছানো যায় চর কুকরীমুকরীতে। ভোলা জেলা সদর থেকে নদীপথে এ দ্বীপে পৌঁছাতে বুড়াগৌরাঙ্গ, শাহাবাজপুর, তেতুলিয়া, মেঘনা এবং সাগর মোহনা অতিক্রম করতে হয়। আর চরফ্যাশনের মূল ভূ-খন্ড থেকে দ্বীপে পৌছতে কচ্ছপিয়া থেকে বুড়াগৌড়াঙ্গ এবং মেঘনা অতিক্রম করতে হয় ১০/১৫ কি.মি.। শীত মৌশুমে মেঘনা অত্রিক্রম করা সহজ হলেও বর্ষায় নদী থাকে উতলা, তরঙ্গবিক্ষুদ্ধ। তখন অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নৌকা ট্রলারে মেঘনা অতিক্রম করে কুকরী দ্বীপে পা রাখার দূঃস্বপ্নও কেউ দেখে না। প্রতিদিন দুপুর ১২.৩০টা এবং বিকাল ৪.০০ টায় কচ্ছপিয়া থেকে ট্রলার নির্ভর যাত্রীরা মেঘনা অতিক্রম করে এ দ্বীপে পৌছায়। এছাড়া দ্বীপের সাথে যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা নেই। ভ্রমণবিলাসী পর্যটকরা এ দ্বীপে আসে স্পীড বোট অথবা ভাড়া করা যাত্রীবাহি লঞ্চ নিয়ে। কুকরী থেকে ঢালচরের দূরত্ব ১০ কি.মি.। দুই দ্বীপের মধ্যে বহমান মেঘনা। কুকরী থেকে চরপাতিলার দূরত্ব ৮ কিঃ মিঃ। মধ্যে বহমান বুড়াগৌড়াঙ্গ নদী। কুকরী থেকে ঢালচর ও পাতিলার যোগাযোগ হলো ইঞ্জিন চালিত নৌকা। তবে, ঢালচর থেকে কালাইয়া কুকরী থেকে লালমোহন পর্যন্ত যাত্রীবাহি লঞ্চ যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে।    

কোথায় থাকবেন সম্পাদনা

ভোলায় থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে।