মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজার ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক, যা বঙ্গোপসাগর এর পাশ দিয়ে কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি বর্তমানে পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এর এক দিকে রয়েছে সমুদ্র সৈকত অন্যদিকে সবুজ পাহাড়।
কীভাবে যাবেন
সম্পাদনাকক্সবাজারের কলাতলী বা সুগন্ধা পয়েন্টে মেরিন ড্রাইভ সড়কে যাওয়ার জন্য কোলা জিপ, মাইক্রোবাস, অটো রিক্সা পাওয়া যায়। এছাড়া সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়, সাইকেলে করে চাইলে এই সড়ক ঘুরে দেখা সম্ভব। তবে পুরো সড়কটি দেখতে চাইলে যেতে হবে গাড়িতে এবং এতে যাওয়া আশা মিলিয়ে সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘণ্টা।
দেখুন
সম্পাদনামেরিন ড্রাইভের আশেপাশে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানগুলি হলো:
- 1 হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান। উদ্যানটি ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ১৭২৯ হেক্টর (১৭.২৯ বর্গ কিলোমিটার) জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গবেষণা ও শিক্ষণ, পর্যটন ও বিনোদন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি।
- 2 ইনানী সমুদ্র সৈকত। ইনানী সমুদ্র সৈকত একটি প্রবালগঠিত সমুদ্রসৈকত। পশ্চিমে সমুদ্র আর পূর্বে পাহাড়ের এক অপূর্ব সৌন্দর্য সহজেই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
করুন
সম্পাদনামেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন দরিয়ানগর ও হিমছড়ি এই দুই জায়গায় আছে প্যরাসেইলিং করার সুবিধা। দরিয়ানগরে ‘স্যাটেলাইট ভিশন’ এবং হিমছড়িতে ‘ফানফেস্ট’ নামে একই মালিকানাধীন দুটি প্রতিষ্ঠান এটি পরিচালনা করে। ১৫শ টাকার নরমাল রাইডে রয়েছে শুধুই ওড়ার সুযোগ। ২ হাজার টাকার সুপার রাইডে উড়তে উড়তে একবার সাগরের মধ্যে পা ভিজিয়ে আবার উপরে ওঠে। আর ২৫শ টাকার সুপার-ডুপার রাইডে পা ভেজানো যায় দুই বার। এছাড়া অন্যান্য ‘বিচ অ্যাটিভিটিস’ এর ব্যবস্থা আছে এই দুই জায়গায়। মূলত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এই সেবা পাওয়া যায়।
রাত্রিযাপন
সম্পাদনারাত্রিযাপনের জন্য কক্সবাজারে অনেক হোটেল মোটেল বা কটেজ রয়েছে। এছাড়া মেরিন ড্রাইভের পাশ দিয়ে বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে।