ভান্ডারিয়া উপজেলা বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ১৯৯.১৫ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২২°২২´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২২°৩৩´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৯°৫৪´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯০°০৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে রাজাপুর ও কাউখালী উপজেলা; দক্ষিণে মঠবাড়ীয়া উপজেলা; পূর্বে কাঁঠালিয়া ও রাজাপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে পিরোজপুর সদর উপজেলা।
কীভাবে যাবেন?
সম্পাদনারাজধানী ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়ার দূরত্ব সড়ক পথে ১৮৫ কিলোমিটার ও জেলা শহর বরিশাল থেকে ২৮ কিলোমিটার এবং বিভাগীয় সদর বরিশাল হতে ৪৫ কিলোমিটার দূরে। এই জেলাটি একটি উপকূলীয় ও নদীবহুল অঞ্চল হওয়ায় এখানকার যেকোনো স্থানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, সড়ক পথেও এখানে আসা সম্ভব; সেক্ষেত্রে ফেরী পারাপার হতে হবে। পিরোজপুরে রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।
স্থলপথে
সম্পাদনাসড়কপথে ঢাকা থেকে পিরোজপুর যাওয়ার পথে মাঝপথে বৃহত্তর পদ্মা নদীর অবস্থান হওয়ার কারণে ঢাকা থেকে সরাসরি ভান্ডারিয়ার কোনো বাস যোগাযোগ নেই। ফেরি পারাপার সার্ভিসের পাশাপাশি লঞ্চ বা স্পিডবোটের মাধ্যমে নদী পারাপারের মাধ্যমে নেছারাবাদ যাওয়া যায়।
ঢাকার সায়েদাবাদ ও গাবতলী উভয় বাস টার্মিনাল থেকেই ঢাকা-ভান্ডারিয়া রুটের ফেরি পারাপার গাড়ি রয়েছে। সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো মাওয়া সংলগ্ন পদ্মা নদী পার হয়ে নেছারাবাদ যাতায়াত করে। আর গাবতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো পাটুরিয়া সংলগ্ন পদ্মা নদী পার হয়ে ভান্ডারিয়া রুটে চলাচল করে।
জল পথে
সম্পাদনাঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন একাধিক যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যায়। সড়কপথের তুলনায় নদীপথে লঞ্চে যাতায়াত আরামদায়ক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬:০০ টা থেকে শুরু করে রাত ৮:৩০ টা পর্যন্ত লঞ্চগুলো ছেড়ে যায়। পরদিন সকাল ৮:০০ টা থেকে ১০:০০ টার মধ্যে লঞ্চগুলো উপজেলা ঘাটে গিয়ে পৌছায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ
সম্পাদনা- ভেলাই চোকদারের দীঘি;
- জোড় মসজিদ বা শিয়া মসজিদ;
- ঠাকুর মদনমোহন মন্দির;
- কৃষক বিদ্রোহে শহীদদের মাযার - সিংখালী;
- বিহারী লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৩);
- বারিধারা কম্পেক্স;
- ভাণ্ডারিয়া শিশু পার্ক;
- ভান্ডারিয়ার মিনিষ্টার বাড়ি (আনোয়ার হোসেন মণ্জুর বাড়ি)।
খাওয়া - দাওয়া
সম্পাদনাথাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান
সম্পাদনাজরুরি নম্বরসমূহ
সম্পাদনা- ওসি, ভান্ডারিয়া: মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৩৭।