পিরোজপুর জেলা

পিরোজপুর জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা। এটি বরিশাল বিভাগ এর অন্তর্গত। বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গ নামে পরিচিত বরিশাল বিভাগের একটি জেলা হচ্ছে পিরোজপুর। সুন্দরবনের কোলঘেঁষা কালীগঙ্গা, বলেশ্বর, দামোদর, সন্ধ্যানদী বিধৌত প্রাকৃতিক সবুজের লীলাভূমি পিরোজপুর জেলা। ১৮৫৯ সালের ২৮ অক্টোবর পিরোজপুর মহকুমা স্থাপিত হয়। পিরোজপুর মহাকুমা ১৯৮৪ সালে জেলায় রূপান্তরিত হয়। ঢাকা থেকে পিরোজপুর জেলায় যেতে সময় লাগে ৪/৫ ঘণ্টা। পিরোজপুর জেলার উত্তরে বরিশাল জেলা ও গোপালগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে বরগুনা জেলা, পূর্বে ঝালকাঠি জেলা ও বরগুনা জেলা, পশ্চিমে বাগেরহাট জেলা। এই জেলাটি ভান্ডারিয়া, কাউখালী, মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর, নেছারাবাদ ও ইন্দুরকানী - এই সাতটি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত।

কীভাবে যাবেন?

রাজধানী ঢাকা থেকে পিরোজপুর সদরের দূরত্ব সড়ক পথে ১৮৫ কিলোমিটার ও জলপথে ২৫০ কিলোমিটার আর বিভাগীয় শহর বরিশাল থেকে ৫০ কিলোমিটার। এই জেলাটি একটি উপকূলীয় ও নদীবহুল অঞ্চল হওয়ায় এখানকার যেকোনো স্থানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে আরামদায়ক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, দ্রুত পৌঁছানোর জন্য সড়ক পথ সবচেয়ে সুবিধাজনক; সেক্ষেত্রে পদ্মা সেতু পার হয়ে যেতে হয়। পিরোজপুরে রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।

স্থলপথে

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বর্তমানে সড়কপথে ঢাকা থেকে পিরোজপুর সরাসরি পিরোজপুরের বাসে যাওয়া যায়।

ঢাকার গুলিস্তান ও সায়েদাবাদ উভয় বাস টার্মিনাল থেকেই ঢাকা-পিরোজপুর রুটের সরাসরি গাড়ি রয়েছে। উভয় বাস টার্মিনাল ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো মাওয়া সংলগ্ন পদ্মা সেতু পার হয়ে পিরোজপুর যাতায়াত করে।

জল পথে

ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন একাধিক যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যায়। সড়কপথের তুলনায় নদীপথে লঞ্চে যাতায়াত আরামদায়ক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬:০০ টা থেকে শুরু করে রাত ৮:৩০ টা পর্যন্ত লঞ্চগুলো ছেড়ে যায়। পরদিন সকাল ৮:০০ টা থেকে ১০:০০ টার মধ্যে লঞ্চগুলো পিরোজপুর গিয়ে পৌছায়। পিরোজপুর হুলারহাট নামক ঘাটে নেমে ঘাট থেকে রিক্সা (ভাড়া ৩০-৫০ টাকা), ভ্যান (ভাড়া ২০-৩০ টাকা) ও টেম্পুযোগে (ভাড়া ২০-৩০ টাকা) পিরোজপুর শহরে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ব্যক্তিমালিকানাধীন লঞ্চের পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ-র রকেটও ঢাকা-পিরোজপুর রুটে চলাচল করে। লঞ্চের তুলনায় রকেটে যাতায়াত কিছুটা আরামদায়ক। সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত সপ্তাহের ৫ দিন রকেট চলাচল করে। রকেটগুলো প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬:৩০টায় সদরঘাট থেকে ছেড়ে গিয়ে পরদিন সকাল ৮:০০টা থেকে ১০:০০টার মধ্যে পিরোজপুরের হুলারহাট ঘাটে গিয়ে পৌছায়।

দর্শনীয় স্থান

• রায়েরকাঠী জমিদার বাড়ি
• মঠবাড়িয়ার সাপলেজা কুঠিরবাড়ি
• পিরোজপুরের প্রাচীন মসজিদ
• মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ
• শ্রীরামকাঠী প্রণব মঠ সেবাশ্রম
• গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাব
• শেরে বাংলা পাবলিক লাইব্রেরী
• মাঝের চর মঠবাড়ীয়া
• পারেড় হাট জমিদার বাড়ি
• বলেশ্বর ঘাট শহীদ স্মৃতিস্তভ

রাত্রিযাপন

আবাসিক হোটেল

ক্র.নং	নাম ও ঠিকানা	তারকামান	যোগাযোগ
১	হোটেল রজনী, ক্লাব রোড়, পিরোজপুর	এক তারকা	০১৭১২৫৬২২৪১
২	হোটেল রিল্যাক্স, হাসপাতাল রোড, পিরোজপুর	এক তারকা	০৪৬১-৬২৮০৭
৩	হোটেল ডালাস, থানা রোড, পিরোজপুর	এক তারকা	০৪৬১-৬২৮৫৫
৪	হোটেল বলাকা, ব্রীজ রোড, পিরোজপুর	এক তারকা	০৪৬১-৬২৭১০
৫	হোটেল অবকাশ, থানা রোড, পিরোজপুর	এক তারকা	০৪৬১-৬২৩৩৩
৬	হোটেল বিলাস, ক্লাব রোড, পিরোজপুর	এক তারকা	০৪৬১-৬২৫৯৪
৭	হোটেল রয়্যাল, কলেজ রোড, পিরোজপুর	এক তারকা	০১৭১২৯৪৪৩৩৫
৮	হোটেল ছায়ানীড়, বাজার রোড, পিরোজপুর	এক তারকা	০৪৬১-৬২৩৮১
৯	হোটেল সিনথিয়া, কাপুড়িয়া পট্টি, পিরোজপুর	এক তারকা	০৪৬১-৬৩২৬২
১০	হোটেল আল মদীনা, ইন্দেরহাট বন্দর, নেছারাবাদ	এক তারকা	০১৭১২৫১৯০০৯

জরুরি নম্বরসমূহ

• ওসি, পিরোজপুর সদরঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৩৬;
• ওসি, ভান্ডারিয়াঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৩৭;
• ওসি, নেসারাবাদঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৩৮;
• ওসি, কাউখালীঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৩৯;
• ওসি, নাজিরপুরঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৪০;
• ওসি, ইন্দুরকানিঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৪১;
• ওসি, মঠবাড়ীয়াঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৪২।