১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল করাটা সরকারের দুর্দান্ত পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপে আজ আমরা সফল।

আওয়ামীলীগ মূলত মাজার নির্ভর দল।

এই মাজারের পীর শেখ মুজিব। খাদেম শেখ হাসিনা।

এই লালসালুর উপরেই আওয়ামীলীগের টিকে থাকা।

কতোটা অথর্ব এই আওয়ামীলীগ শোনেন, শেখ হাসিনা ভারত পালানোর পরেও প্রতি বিপ্লবের জন্য কোন দিনটা বেছে নিলেন? ১৫ আগস্ট।

১৫ আগস্ট ছুটি বাতিলের মাধ্যমে সেই  আওয়ামী মাজার অপসারনের কাজ শুরু করতে চাইছে।

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম গুমের জনক, বিচার বহির্ভূত হত্যার জনক শেখ মুজিবের মৃত্যু যদি শোকের দিন বলে স্বীকার করা হয়, তাহলে ফেরাউন, নমরুদ আর খুনি হাসিনার মৃত্যুর দিনও শোক করা হোক।

একটা বিপ্লব মানে একটা সরকারের পরিবর্তন না শুধু। একটা বিপ্লব মানে ইতিহাসের নামে চলে আসা ইতিহাসের ফ্যাসিবাদকেও ভেঙে ফেলা।

আমাদের নতুন বাংলাদেশে শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণে শুধু জয় বাংলা থাকবে না, বরং উনি যে ৭ মার্চ জয় পাকিস্তান বলেছিলেন, ঐটাও থাকতে হবে। আওয়ামীলীগ ইতিহাস কে বিকৃত করা দল।

জহির রায়হানের গুমের বিচার চাইতে গেলে মুজিব উনার বোনকে বলেছিলেন  বেশি বাড়াবাড়ি করলে তুমিও উধাও হয়ে যাবে।

যেই মানুষের মৃত্যুর পর সারা দেশে মিষ্টির অভাব পড়ে গেছিলো, যেই মানুষ সমস্ত পত্র-পত্রিকা নিষিদ্ধ করে, সমস্ত রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে স্বৈরতন্ত্রকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে, এমন একটা অমানুষের মৃত্যুর শোক আমাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিলো এতো দিন।

অথচ শাসক মুজিব এতোটাই বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিল যেন মুজিবের রাজনৈতিক গুরু মাওলানা হামিদ খান ভাসানী মুজিবের মৃত্যুর পর ঘোষণা দিয়েছিলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পাহিয়াছে।

এই ১৫ বছর মিথ্যা ইতিহাসের পাথর চাপা দিয়ে জোর করে আমাদের থেকে শোক আদায় করা হয়েছে।

আজকের ১৫ আগস্ট ঐ বাতিল ইতিহাসের বাতিল বয়ানের মিথ্যা মিথ্যা শোক আমরা পালন করতে চাই না, চাই না।

বরং এই ১৫ আগস্ট দিয়েই আমাদের এই মিথ্যা ইতিহাসের বয়ান থেকে বের হওয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রাটা শুরু হলো।

(খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই)