বিষ্ণুপুর হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাঢ় অঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর। এই শহরটি মূলত পোড়ামাটির মন্দিরের জন্য বিখ্যাত হলেও এখানে ল্যাটেরাইট পাথরে নির্মিত অনেকগুলি মন্দিরও রয়েছে। এছাড়া বিষ্ণুপুরে রয়েছে অন্য কয়েকটি প্রাচীন ধর্মীয় ও অন্যান্য স্থাপনা। পশ্চিমবঙ্গের সম্ভবত আর কোনও শহরে একসঙ্গে এতগুলি ঐতিহাসিক দ্রষ্টব্য আর নেই। ১৯৯৮ সাল থেকে বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা মন্দিরগুলি ইউনেস্কো ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

বিবরণ সম্পাদনা

 
রাধাগোবিন্দ মন্দির ও পশ্চাদে জোড়-বাংলা
 
রাসমঞ্চ
 
শ্যামরায় মন্দির
 
মদনমোহন মন্দির

১৯ শতকের শেষের দিকে রমেশ চন্দর দত্ত লিখেছিলেন, "বিষ্ণুপুরের প্রাচীন রাজাদের ইতিহাস তাদের ইতিহাসের একটি সময় পর্যন্ত স্মরণ করিয়ে দেয় যখন হিন্দুরা তখনও দিল্লিতে রাজত্ব করছিল এবং মুসলমান রাজাদের নাম তখনও ভারতের মানুষ শুনেনি। প্রকৃতপক্ষে, বখতিয়ার খিলজী হিন্দুদের কাছ থেকে তাদের প্রদেশকে পরাজিত করার আগেই তারা বাংলার পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমানায় পাঁচ শতাব্দীর শাসন করেছিল। বাংলার মুসালমান বিজয়, তবে, বিষ্ণুপুরের রাজপুত্রদের কোনও পার্থক্য ছিল না ... এই জঙ্গল রাজাদের বাংলার উর্বর অংশগুলির মুসালমান শাসকদের কাছে খুব সামান্যই পরিচিত ছিলেন এবং কখনও কখনও তাদের সাথে হস্তক্ষেপ করেননি। দীর্ঘ শতাব্দী ধরে, বিষ্ণুপুরের রাজা তাদের ব্যাপক অঞ্চলগুলির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন। মুসলমান শাসনের পরবর্তী সময়ে এবং যখন মুঘল শক্তি সকল পক্ষের উপর প্রসারিত ও একত্রীভূত হয়ে যায়, তখন মুগল সেনাবাহিনী কখনও কখনও রাজস্ব দাবির সঙ্গে বিষ্ণুপুর কাছাকাছি পৌঁছাত, এবং রাজস্ব সম্ভবত কখনও কখনও দেওয়া হয়। তবুও, মুর্শিদাবাদের সুবাহদাররা কখনও বিষ্ণুপুরের রাজাদের উপর দৃঢ় অবস্থান করেননি। বর্ধমান রাজ ক্ষমতায় গেলে, বিষ্ণুপুর পরিবার পতনের মধ্যে পড়ে; বর্ধমানের মহারাজা কিরি চাঁদ আক্রমণ করে তার জমিদারিতে তার প্রতিবেশীর অঞ্চলগুলির বড় আংশে যোগ দেন। বিষ্ণুপুরের রাজবংশের সমাপ্তি ঘটে, যা আজকের দিনে একটি দরিদ্র জমিদারি। "

কি ভাবে যাবেন সম্পাদনা

 
জোড়বাংলা মন্দির

কলকাতার থেকে বাস, রাস্তা বা ট্রেন

সড়কপথ সম্পাদনা

কলকাতা থেকে স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএসটিসি) এবং সাউথ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (এসবিএসটিসি) বাসগুলি নিয়মিত কলকাতা ও বিষ্ণুপুরের মধ্যে বাস চলাচল করে। ধর্মতলা/এসপ্লানেড বাস স্টেশন থেকে বিষ্ণুপুর পৌঁছতে প্রায় ৪.৫ ঘণ্টা সময় লাগে। কলকাতা থেকে বিষ্ণুপুরের সড়ক দূরত্ব রেল দূরত্বের চেয়ে, প্রায় ১৫০ কিলোমিটার কম। গাড়িতে গেলে কলকাতায় থেকে ডানকুনি যান, সেখান থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যেতে হবে, এর পর রতনপুর থেকে বাঁদিকে চলতে হবে শেওড়ফুলী-তারকেশ্বর রাস্তা ধরে, এর পর আরামবাগ ও বিষ্ণুপুর পর্যন্ত যান। কলকাতা ছাড়াও তারকেশ্বর, দুর্গাপুর, খড়গপুর, বর্ধমান ও আসানসোল থেকে বিষ্ণুপুরের সরাসরি বাস আছে।

রেলপথ সম্পাদনা

রেল দ্বারা ৩:৩০ থেকে ৪:১৫ ঘন্টার মধ্যে ২০১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে কলকাতা থেকে বিষ্ণুপুর পৌচ্ছান যায়। সুবিধাজনক রেল সংযোগগুলি - রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস সকাল ৬ টা হাওড়া থেকে ছাড়ে, পুরুলিয়া এক্সপ্রেস বিকাল ৪:৪৫ য় হাওড়া থেকে ছাড়ে এবং আরন্যক এক্সপ্রেস (রবিবার চলেনা) সকাল ৭:৪৫ য়ে শালিমার থেকে ছাড়ে। হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুরের অরন্যক এক্সপ্রেস দ্বারা আসার জন্য, প্রথমটি স্থানীয় ট্রেনের মাধ্যমে সাঁতরাগাছি এবং তারপর অরন্যক এক্সপ্রেস দ্বারা বিষ্ণুপুর আসতে হয়। আপনি হাওড়া-চক্রধরপুর যাত্রী ট্রেন বেছে নিতে পারেন যা হাওড়া থেকে ২৩.২৫ টায় যাত্রা করে। এই ট্রেন ঘুমোনর ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও আছে রাণী শিরোমনি লোকাল যা ১৭.৪৫ এ হাওড়া ছেড়ে ২১.৫০ এ বিষ্ণুপুর পৌঁছায়। অন্য বিকল্প, খড়গপুর/মেদিনীপুর/আদ্রা/পুরুলিয়া থেকে ট্রেন ধরে বিষ্ণুপুর যান।

আকাশপথ সম্পাদনা

কলকাতার নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দর (CCU আইএটিএ) নিয়মিত বাণিজ্যিক উড়ানের জন্য বিষ্ণুপুর থেকে সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর।

কাছাকাছি যান সম্পাদনা

রিকশা দ্বারা ছোট জায়গায় ভ্রমণের করা যায়। অনেক মন্দির একে অপরের কাছাকাছি অবস্থিত। বেশিরভাগই একে অপরকে হাঁটানোর দূরত্বের মধ্যে। গাড়ি ভাড়াও পাওয়া যায়। শহর ল্যান্ডমার্ক:

  • 1 বিষ্ণুপুর বাস স্ট্যান্ড
  • 2 বিষ্ণুপুর রেল স্টেশন

কী দেখবেন সম্পাদনা

 
বিষ্ণুপুরের মানচিত্র
 
গুমঘর
 
কেষ্টরায় মন্দির (জোড়বাংলা মন্দির)
 
রাধাশ্যাম মন্দির
 
লালজি মন্দির
 
মৃন্ময়ী মন্দির
 
ছোটো পাথরদরজা (পিছনে বড়ো পাথরদরজা)
 
বড়ো পাথরদরজা
 
পাথরের রথ
 
ছিন্নমস্তা মন্দির
 
দলমাদল কামান
 
নন্দলাল মন্দির
 
জোড়মন্দির
 
রাধাগোবিন্দ মন্দির
 
রাধামাধব মন্দির
 
কালাচাঁদ মন্দির
 
মুরলীমোহন মন্দির
 
আচার্য যোগেশচন্দ্র পুরাকীর্তি ভবন
 
বিষ্ণুপুরের তাঁতি

বিষ্ণুপুর একটি মন্দিরনগরী। এখানকার প্রধান দ্রষ্টব্য স্থানগুলির প্রায় সবই মন্দির। বিষ্ণুপুরের অধিকাংশ মন্দিরই মধ্যযুগের শেষভাগে মল্ল রাজাদের শাসনকালে নির্মিত পোড়ামাটির বা ল্যাটেরাইট পাথরের মন্দির। মন্দির ছাড়াও বিষ্ণুপুরে দর্শনীয় কয়েকটি ধর্মীয় ও সাধারণ স্থাপত্য রয়েছে। শহরের মন্দিরগুলি রাসমঞ্চকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী এগুলিকে চারটি শ্রেণিভুক্ত করা যায়:

  1. রাসমঞ্চ এবং রাসমঞ্চের উত্তর দিকে অবস্থিত মন্দিরসমূহ
  2. রাসমঞ্চের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত মন্দিরসমূহ
  3. আরও উত্তরে অবস্থিত মন্দিরসমূহ
  4. উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত মন্দিরসমূহ

রাসমঞ্চ এবং রাসমঞ্চের উত্তর দিকে অবস্থিত মন্দিরসমূহ সম্পাদনা

  • 1 রাসমঞ্চমল্লরাজা বীর হাম্বীর আনুমানিক ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে এই মঞ্চটি নির্মাণ করেন। ১৬০০ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত এখানে রাস উৎসব আয়োজিত হয়েছে। বর্তমানে অবশ্য এখানে আর রাস উৎসব হয় না।    
  • 2 শ্যামরায় মন্দির (পঞ্চরত্ন মন্দির), রাজদরবার, দলমাদলপাড়া, বিষ্ণুপুর, পশ্চিমবঙ্গ - ৭২২১২২১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে মল্লরাজ রঘুনাথ সিংহ কর্তৃক নির্মিত কৃষ্ণমন্দির। মন্দিরটির দেওয়াল পোড়ামাটির অলংকরণে শোভিত। দেওয়ালচিত্রে কৃষ্ণের বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এটি একটি পঞ্চরত্ন মন্দির এবং বিষ্ণুপুরের বৃহত্তম মন্দিরগুলির অন্যতম।    
  • 3 রাধাশ্যাম মন্দির (রাধেশ্যাম মন্দির)। মল্লরাজা চৈতন্য সিংহ মাকড়া পাথরের এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১২.৫ মিটার এবং উচ্চতা ১০.৭ মিটার। মন্দিরের শিখরটি গম্বুজাকৃতির।
  • 4 রাধালালজিউ মন্দিরমল্লরাজা বীর সিংহ দ্বারা ১৬৫৮ সালে নির্মিত এই মন্দিরটি চৌকো বেদীর ওপর অবস্থিত। এই মন্দিরের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১২.৩ মিটার এবং উচ্চতা ১০.৭ মিটার।
  • 5 মৃন্ময়ী মন্দিরমল্লরাজা জগৎমল্ল এই মন্দির তৈরী করেন। এই মন্দিরের পিছনে মল্লরাজাদের রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ বর্তমান। মৃন্ময়ী মন্দিরে ৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজা পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম দুর্গাপূজা।    
  • 6 ছোট পাথর দরজামাকড়া পাথরের তৈরী এই প্রবেশপথটি মল্লরাজা বীর সিংহ সপ্তদশ শতাব্দীতে তৈরী করেন।  
  • 7 বড় পাথর দরজামাকড়া পাথরের তৈরী খিলান সজ্জিত এই প্রবেশপথটি মল্লরাজা বীর সিংহ প্তদশ শতাব্দীতে তৈরী করেন। এটি বিষ্ণুপুরের প্রাচীন দুর্গের উত্তরদিকের প্রবেশ পথ। তোরণের মধ্যে প্রবেশ পথের দুই দিকে সৈন্য সমাহারের উপযোগী দুই তল বিশিষ্ট দালান বর্তমান।  

রাসমঞ্চের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত মন্দিরসমূহ সম্পাদনা

  • 8 দলমাদল কামানদলমাদল সবচেয়ে বৃহৎ কামানগুলির অন্যতম। সুবিখ্যাত কামানটির দৈর্ঘ্য ১২ ফুট ৫ ইঞ্চি, পরিধি ১১ ইঞ্চি, ওজন ১১২ কুইন্টাল।  
  • 9 ছিন্নমস্তা মন্দির  
  • 10 নন্দলাল মন্দিরচৌকো বেদীর ওপরে সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত একচালা মন্দিরটির বাঁকানো ছাদ এক শিখর বিশিষ্ট।  
  • 11 জোড়বাংলা মন্দির১৭ শতকের রাজা রঘুনাথ সিংহ দেব দ্বিতীয় দ্বারা নির্মিত বাংলার স্থাপত্যের ঐতিহ্যশালী শৈলীর ছাদ অলঙ্কৃত করা হয় পোড়ামাটির খোদাই করে।
  • 12 রাধাগোবিন্দ মন্দিরমল্লরাজা কৃষ্ণ সিংহ ঝামা পাথরের একচালা মন্দিরটি ১৭২৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।  
  • 13 রাধামাধব মন্দিরমল্লরাজা গোপাল সিংহের পুত্রবধূ চূড়ামণিদেবী মাকড়া পাথরের এই একচালা মন্দির ১৭৩৭ সলে প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরটি রাধাকৃষ্ণ কে উত্সর্গীকৃত।    
  • 14 কালাচাঁদ মন্দিরমল্লরাজা রঘুনাথ সিংহ মাকড়া পাথরের এই একচালা মন্দিরটি ১৬৫৬সালে প্রতিষ্ঠা করেন।  
  • 15 আচার্য যোগেশচন্দ্র পুরাকৃতি ভবন  
  • কৃষ্ণ-বলরাম-জুগোলকিশোর মন্দির

আরও উত্তরে অবস্থিত মন্দিরসমূহ সম্পাদনা

  • 16 মদনমোহন মন্দির১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা দুর্জন সিং দেব দেওয়ায় ইকরতনা শৈলীতে মন্দির নির্মাণ করেন, একটি খিলানবিশিষ্ট একটি বর্গাকার ছাদযুক্ত মন্দির। দেয়ালের উপর চিত্তাকর্ষক খোদাই করে রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণ থেকে দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
  • 17 মল্লেশ্বর মন্দির (মল্লেশ্বর শিবমন্দির)। মল্লরাজা বীর সিংহ মাকড়া পাথরের এই মন্দিরটি ১৬২২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।    
  • 18 মুরলীমোহন মন্দিরএট বিষ্ণুপুরের একটি একরত্ন মন্দির  
  • 19 রাধাবিনোদ মন্দিরএটি বিষ্ণুপুরের একটি আটচালা মন্দির  

উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত মন্দিরসমূহ সম্পাদনা

  • 20 মদনগোপাল মন্দিরএটি বিষ্ণুপুরের একটি পঞ্চরত্ন মন্দির  
  • 21 শ্রীধর মন্দিরএটি একটি নবরত্ন মন্দির  

অন্যান্য সম্পাদনা

  • 22 ষাড়েশ্বর মন্দিরবাঁকুড়া জেলার ডিহরে অবস্থিত মন্দির  
  • 23 সর্বমঙ্গলা মন্দিরবাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ব্লকের নারিচা গ্রামে অবস্থিত মন্দির  
 
শ্যামরায় মন্দির

কি করবেন সম্পাদনা

কিনুন সম্পাদনা

বিষ্ণুপুর শহরে বিভিন্ন দোকানে বালুচরী ও স্বর্ণচরী শাড়ি, পোড়ামাটির শিল্পসামগ্রী, শাঁখ ও শাঁখের তৈরি শিল্পদ্রব্য এবং দশাবতার তাস কিনতে পাওয়া যায়। কাছেই রয়েছে পাঁচমুড়া গ্রাম। পোড়ামাটির মৃৎশিল্পীরা থাকেন সেই গ্রামেই। সেখান থেকেও কেনাকাটা করতে পারেন।

আহার করুন সম্পাদনা

বিষ্ণুপুর একটি ছোটো শহর। শহরের বিভিন্ন মন্দিরের আশেপাশে এবং প্রধান বাস স্ট্যান্ডের কাছে খাবারের অনেক ছোটো ছোটো দোকান আছে। তবে এখানকার বিখ্যাত পোস্তোর বড়া সবারই খেয়ে দেখা উচিত। এছাড়া শিবদাস বালিকা বিদ্যালয়ের কাছে বিশুদ্ধ ঘিয়ে তৈরি করা নানা ধরনের তেলেভাজা ও মিষ্টিও খেয়ে দেখতে পারেন। যদি পোস্তোর বড়া দিয়ে সাদামাটা বাঙালি খাবার খোঁজেন, তাহলে চলে যান হোটেল মোনালিসায়।

পানীয় সম্পাদনা

শীতকাল ছাড়া অন্য সময়ে ঠান্ডা পানীয় শহরের সর্বত্রই পাওয়া যায়। হোটেলগুলিতে সাধারণত সুরা-জাতীয় পাওয়া যায়।

রাত্রিযাপন সম্পাদনা

  • 1 বিষ্ণুপুর ডাব্লুবি ট্যুরিস্ট লজ, +৯১ ৩২৪৪ ২৫২ ০১৩, +৯১৩২৪৪ ২৫৩ ৫৬১, +৯১ ৯৭৩২১০০৯৫০  এখানে দ্বৈত বিছানা, চার বিছানা এবং ডরমেটরি রয়েছে। কক্ষগুলি ৬০০ টাকা ও এসি ১৪০০ টাকা, ২০০০ টাকা। ডরমেটরি ১০০ টাকা।
  • হোটেল বিষ্ণুপুর, +৯১ ৩২৪৪ ২৫২ ২৪৩  ২০০ টাকা-৫০০ টাকা
  • 2 হোটেল লক্ষ্মী পার্ক, +৯১ ৩২৪৪ ২৫৬৩৫৩-২৫৬৩৭৭, +৯১ ৯৪৭৪৯৩০৬৬৬এই হোটেলের রেস্তোরাঁয় ভারতীয়, চাইনিজ ও তন্দুরি খাবার পাওয়া যায়। রুম সার্ভিসে ব্যবস্থা আছে। সেই সঙ্গে আইসিআইসিআই ব্যাংক ও ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের এটিএম-এর সুবিধাও রয়েছে।   শীততাপনিয়ন্ত্রিত ও সাধারণ ঘর (৩৯টি ঘর) ভাড়া পাওয়া যায় ২০০, ৩০০, ৪৫০, ৭০০, ৮০০, ৯০০, ১১০০, ১৩০০, ১৮০০ টাকায়; এগুলি এক, দুই, তিন ও চার শয্যাবিশিষ্ট ঘর।
  • 3 মল্লভূম লজ, রসিকগঞ্জ, +৯১৯৪৩৪২২৪৮৯৬ভালো মানের দুই ও চার শয্যাবিশিষ্ট কক্ষ ও ডরমিটরি সস্তায় পাওয়া যায়।   ৫০০ টাকা
  • 4 লজ মেঘমল্লার, বাস স্ট্যান্ড রোড, রসিকগঞ্জ, বিষ্ণুপুর, ৭২২১২২, +৯১ ০৮১১৬২ ০৫০২৬
  • 5 মোনালিসা লজ, +৯১ ৯৮৩১০ ৩১৮৯৫  ২৫০ টাকা-৫০০ টাকা
  • 6 উদয়ন লজ, কলেজ রোড, +৯১ ৩২৪৪ ২৫২২৪৩  ২৫০ টাকা-৬০০ টাকা

এখান থেকে চলুন সম্পাদনা

  • বাঁকুড়া – জেলার সদর শহর, বিষ্ণুপুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
  • বিহারীনাথ – প্রকৃতির কোলে ছুটি কাটানোর জন্য।
  • জয়রামবাটীকামারপুকুর – বিষ্ণুপুর থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে শ্রীমা সারদা দেবীর জন্মস্থান জয়রামবাটী ও শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্মস্থান কামারপুকুর। কামারপুকুরের কাছে রয়েছে ঐতিহাসিক গড় মান্দারণ, যা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাস রচনার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।
  • মুকুটমণিপুর – বিষ্ণুপুর থেকে প্রায় ৮৩ কিলোমিটার দূরে, কংসাবতী নদীর তীরে অবস্থিত। এখানকার প্রধান আকর্ষণ নদীর উপরে গড়ে তোলা জলাধার এবং পাহাড়ি এলাকার নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলি।
  • শুশুনিয়া – জেলার গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়গুলির একটি। পার্শ্ববর্তী সমতল অঞ্চলের মধ্যে আকস্মিকভাবে ৪৪ মিটার পর্যন্ত এটির উত্থান। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর রাজা চন্দ্রবর্মণের শিলালিপি আবিষ্কৃত হয়েছে এখানে। বাঁকুড়া থেকে এখানে যেতে হলে বাঁকুড়া-পুরুলিয়া সড়ক ধরে ১৩ কিলোমিটার গিয়ে ছাতনায় নামতে হবে। ছাতনার ৭ কিলোমিটার উত্তরে শুশুনিয়া পাহাড়।