- পাকিস্তানের প্রদেশের জন্য পাঞ্জাব (পাকিস্তান) দেখুন।
পাঞ্জাব (পাঞ্জাবি: ਪੰਜਾਬ পঞ্জাব্) উত্তরপশ্চিম ভারতে অবস্থিত একটি রাজ্য ও শিখদের মাতৃভূমি।
অঞ্চল
সম্পাদনাদোয়াবা বিপাশা ও শতদ্রু নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল। |
মাঝা পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চল এবং শিখ ধর্মের জন্মস্থান। এখানে স্বর্ণমন্দির অবস্থিত। |
মালোয়া পাঞ্জাবের দক্ষিণ অংশ। |
শহর
সম্পাদনাজানুন
সম্পাদনাসপ্তদশ শতাব্দীতে মুঘলরা এই "পাঞ্জাব" নামটি চালু করেছিলেন। এটি ফার্সি শব্দ পঞ্জ্ ("পাঁচ") ও আব্ ("নদী") থেকে উদ্ভূত, সুতরাং এর আক্ষরিক অর্থ "পাঁচ নদী"।
পাঞ্জাব ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে শিখ ধর্ম প্রধান ধর্ম। শিখ তীর্থস্থানের মধ্যে সবচেয়ে পবিত্র স্বর্ণমন্দির অমৃতসরে অবস্থিত। হিন্দুধর্ম হচ্ছে দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় ধর্ম এবং প্রায় সমস্ত শহরে হিন্দু মন্দির পাওয়া যায়। এছাড়া এখানে অল্পসংখ্যক মুসলিম, জৈন ও খ্রিস্টান বর্তমান।
দেশ বিভাজনের সময় ব্রিটিশ আমলের পাঞ্জাব প্রদেশকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করা হয়েছিল। পশ্চিম পাঞ্জাব পাকিস্তানের অংশ হয়ে গিয়েছিল এবং পূর্ব পাঞ্জাব ভারতের অংশ হয়ে গিয়েছিল। হরিয়ানা আগে এই রাজ্যের অংশ ছিল, কিন্তু ভাষা ও ধর্মীয় সমস্যার দরুন হরিয়ানা আলাদা রাজ্যে পরিণত হয়েছিল।
১৯৭০-এর দশক থেকে ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ত পাঞ্জাবে এক রক্তক্ষয়ী আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল। সেখানে কট্টর শিখ নেতা ও জঙ্গি খালিস্তান নামক শিখ-অধ্যুষিত রাষ্ট্রের দাবি করেছিল। এই হিংসা ও আন্দোলনের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা, শিখ-বিরোধী দাঙ্গা (সেখানে হাজার হাজার শিখদের গণহত্যা করা হয়েছিল) ইত্যাদি ঘটেছিল। পাঞ্জাবে এই আন্দোলন বর্তমানে প্রায় স্তিমিত হয়ে গেলেও সেই সময়কার আতঙ্ক এখনও লোকেদের মনে গেঁথে আছে।
প্রবেশ
সম্পাদনাঘুরে দেখুন
সম্পাদনাসাবধানে থাকুন
সম্পাদনাসম্মান করুন
সম্পাদনাস্থানীয় রাজনীতি অত্যন্ত জটিল। এখনকার বেশিরভাগ লোক সাধারণত সম্প্রীতি ও শান্তি চাইলেও কিছু শিখ রাজনৈতিক দলের বিশ্বাস যে ধর্ম ও রাজনীতি পাশাপাশি চলা উচিত। কিছু জনের আবার বিশ্বাস যে পাঞ্জাব শিখদের জন্য এক স্বশাসিত এলাকায় পরিণত হোক। কোনো রাজনৈতিক আলোচনার সময় এইসব মাথায় রাখা উচিত। আপনি জানতে পারবেন না কে আড় পেতে আপনার কথা শুনবেন।
আলোচনার ক্ষেত্রে জারনাইল ভিদ্রানওয়ালে অত্যন্ত বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তাঁকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অভিহিত করলে কিছু মানুষ, বিশেষ করে কট্টর শিখ দল এতে অপমানিত হবেন।
ব্যক্তিনাম
সম্পাদনাশিখদের নাম এরকম আকারে লেখা হয়: প্রদত্ত নাম + ধার্মিক নাম + পদবী। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ধার্মিক নামটি হচ্ছে সিং বা সিংহ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি কৌর।