নেপালে ট্রেকিং এশিয়ার অন্যতম অনন্য অভিজ্ঞতা। দেশটিতে বিশ্বের শীর্ষ দশ উচ্চতম পর্বতের মধ্যে আটটি রয়েছে এবং কিছু অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে, যা শুধুমাত্র পায়ে হেঁটেই পৌঁছানো সম্ভব।

নেপালে ট্রেকিং সবচেয়ে জনপ্রিয় কার্যকলাপ এবং কাঠমান্ডু ও ট্রেকিংয়ের কেন্দ্রস্থল, পোখরায় পর্যটকরা গাইড, সংগঠিত ট্যুর এবং বিক্রয় বা ভাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলোর দেখা পাবেন। বিশাল পরিসরের বিকল্পগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন বয়স ও সক্ষমতার মানুষদের জন্য দেশটিতে ট্রেকিং করা সম্ভব। আপনি চাইলে এক বছর ধরে পরিকল্পনা করে সাহসিকতাপূর্ণ প্রত্যন্ত স্থানে অভিযান চালাতে পারেন, আবার পরিকল্পনা ছাড়াই কাঠমান্ডু এসে কয়েক দিনের মধ্যে ট্রেক শুরু করতে পারেন।

অনেকের ধারণা থাকা সত্ত্বেও, নেপালে ট্রেকিং মানেই যে নির্জন অজানা বনজঙ্গলে একা হাঁটা তা নয়। নির্দিষ্ট ট্রেকিং পথ ধরে হাঁটলে ভ্রমণকারীরা প্রায়শই এর বিপরীতই দেখতে পান; প্রতিদিন শত শত স্থানীয় লোকজন খাবার, পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে তাদের ছোট ছোট গ্রামগুলিতে যাচ্ছেন এবং তাদের পাশাপাশি বহু ট্রেকারও আছেন। নিয়মিত বিরতিতে অবস্থিত গ্রাম ও চায়ের দোকানগুলি ট্রেকারদের বিশ্রাম ও শক্তি পুনরুদ্ধারের সুযোগ দেয়, হয় কয়েক মিনিটের জন্য কিংবা পুরো রাতের জন্য। পাহাড়ি পথে হাঁটার সময় নেপালি জনগণের শক্তিশালী সংস্কৃতি ও আন্তরিক আতিথেয়তাও অভিজ্ঞতায় ধরা পড়ে।

অনুধাবন

সম্পাদনা

কখন যাবেন

সম্পাদনা

ট্রেকিংয়ের জন্য সেরা ঋতুগুলি হলো শুষ্ক এবং উষ্ণ মৌসুম, অর্থাৎ মার্চ-জুন এবং সেপ্টেম্বর-নভেম্বর। এই সময়ে তাপমাত্রা সহনীয় থাকে এবং আকাশ সাধারণত পরিষ্কার থাকে, যদিও মে-জুন মাসে আকাশে কুয়াশা এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মৌসুমের বাইরে ট্রেক করা সম্ভব, তবে বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি এবং জোঁক এবং শীতকালে প্রবল ঠাণ্ডা ও অনেক পথ বন্ধ পাওয়া যাবে।

অভিজ্ঞতা এবং শারীরিক উপযুক্ততা

সম্পাদনা