নুহাশ পল্লী গাজীপুর জেলার পিরুজ আলী (পিরুজালী) গ্রামে অবস্থিত। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ব্যক্তি উদ্যোগে গাজীপুরে নিজ বড় ছেলে নুহাশ হুমায়ূনের নামানুসারে পল্লীটির নাম রেখেছিলেন "নুহাশ পল্লী"। পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র ও শুটিংস্পট হিসেবে এটি বেশ পরিচিত।

কীভাবে যাবেন

সম্পাদনা

পুরান ঢাকা থেকে যাবার জন্যে গুলিস্তান থেকে কাপাসিয়াগামী ঢাকা পরিবহনের বাস এবং প্রভাতী বনশ্রীর বরমীগামী বাসে উঠতে হবে। মহাখালী থেকে ময়মনসিংহ/নেত্রকোনাগামী যেকোন বাসেই আসা যায় তবে এখানে উল্লেখ্য যে, ময়মসিংহের বাস ও প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের বাসগুলো গাজীপুর চৌরাস্তায় অনেকক্ষন দেরি করে কিন্তু সম্রাট লাইন বা রাজদূত বা ডাউন টাউন বা ঢাকা পরিবহনের বাসগুলো যাত্রি নামিয়ে দ্রুত চলে যায়। বাস থেকে হোতাপাড়া নামতে হবে (গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে হোতাপাড়া বাজার)। হোতাপারা থেকে সিএনজি বা লেগুনা বা যান্ত্রিক রিক্সায় নুহাস পল্লীতে যাওয়া যায়।

সময়সূচী এবং প্রবেশমূল্য

সম্পাদনা

এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নুহাশ পল্লী সকল দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন খোলা থাকে। ১২ বছরের উপরে জনপ্রতি টিকেট লাগবে ২০০ টাকা। উল্লেখ্য হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করতে হলে কোন প্রবেশ মূল্য লাগেনা। কবর জিয়ারতের জন্য মূল ফটকের বাইরে বাম দিয়ে সমাধির জন্য আলাদা আরেকটি ফটক আছে যে কেউ সেই ফটক দিয়ে ঢুকে কবর জিয়ারত করতে পারবেন।

নভেম্বর থেকে মার্চ মূলত পিকনিকের জন্য ভাড়া দেয়া হয়। প্রতিদিন পিকনিকের জন্য ১টি গ্রুপে সর্বোচ্চ ৩০০ জন আসতে পারবে। পিকনিকের জন্য ভাড়া ৬০ হাজার টাকা (সরকারি ছুটির দিনে) এবং অন্যদিন ৫০ হাজার টাকা। তবে পিকনিকের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভাড়া ৫০ হাজার টাকা (সরকারি ছুটির দিনে) এবং অন্যদিনগুলোতে ভাড়ার ৪০ হাজার টাকা।

কী দেখবেন

সম্পাদনা

৪০ বিঘা জমির উপর স্থাপিত নুহাশপল্লীর মূল ফটক পেরোলেই চোখে পড়বে সবুজ ঘাসের গালিচা। নুহাশপল্লীর উদ্যানের পূর্বদিকের খেজুর বাগানের পাশে ‘বৃষ্টিবিলাস’ নামে একটি অত্যাধুনিক ঘর রয়েছে। এর ছাদ টিনের তৈরি। মূলত বৃষ্টির শব্দ শুনতেই এতো আয়োজন।

একটু ভেতরে রয়েছে আরেকটি বাংলো, যার নাম ‘ভূতবিলাস’। দুই কক্ষের আধুনিক বাংলোটির পেছনে রয়েছে ছোট পুকুর। যার চারিদিক সুন্দর ঘাসে মোড়া ঢাল দিয়ে ঘেরা, এই ঢালের চারিদিকে রয়েছে গাছ-গাছালি। ভূতবিলাসের পাশ দিয়ে একটি নড়বড়ে কাঠের সাঁকো রয়েছে। এর ওপর দিয়ে হেঁটে পুকুরের মাঝখানের ছোট্ট এক টুকরো দ্বীপাকারের ভূখণ্ডে যাওয়া যায়।

‘নুহাশ পল্লীতে রয়েছে প্রায় ২৫০ প্রজাতির গাছ, ঔষধি গাছের বাগান, হুমায়ুন আহমেদের কটেজ, ট্রিহাউজ, দাবা খেলার এবং নামাজপড়ার কক্ষ, ডিম্বাকৃতির সুইমিংপুল, কাদামাটি ও টিন দিয়ে তৈরি করা শুটিং স্টুডিও। রয়েছে মৎস্যকন্যার মূর্তিসহ একটি পানির রিজার্ভার। এটির পাশে একটি রাক্ষসের মূর্তিও আছে। এছাড়া আছে কনক্রিট দিয়ে তৈরি ডাইনোসারের মূর্তি, প্রাচীন আদলে নির্মিত কিন্তু আধুনিক ঘাট সমৃদ্ধ দিঘাল দীঘি ও লেকের মাঝে বসার জন্য ছোট একটি দ্বীপ। তাছাড়া শালবন, অর্কিড বাগান সহ দেখতে পারবেন আরও তিনটি বাংলো।

নুহাশ পল্লীতে থাকার ব্যবস্থা নাই। ঢাকা থেকে সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসা যায়। ঢাকার বাইরে থেকে আসলে গাজিপুর চৌরাস্তা এসে যেকোন হোটেলে থাকতে পারেন। এখানে বিশ্রাম নেবার জন্যে বৃষ্টিবিলাস নামে বাংলো রয়েছে এবং দিনেরভাগে সময় কাটানোর জন্যে ভূত বিলাস নামে বাংলো রয়েছে ভাড়া ৩০০০ থেকে ৫০০০।

খাওয়া

সম্পাদনা

নুহাশ পল্লীর ভিতরে খাবারের ভাল ব্যবস্থা নাই, সাথে করে খাবার নিয়ে যাওয়াই ভাল। ভিতরে ব্যক্তি উদ্যোগে এক মেনুর খাবার (ভাত+মুরগী+ভর্তা/সবজী) পাওয়া যায় ১২০-১৫০ টাকা। পিকনিকের ক্ষেত্রে

প্রয়োজনীয় যোগাযোগের নম্বর

সম্পাদনা
ভ্রমণবিলাস:WWW.VROMONBILASH.COM+৮৮০১৯১১৯২০৬৬৬, +৮৮০১৮১৮৯৬৯২২২