নীলফামারী বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে একটি। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। আশেপাশের জেলাসমূহের জন্য শহরটি একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র।

নীলফামারীর একটি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি রয়েছে। এখানে ধান, গম, আলু, তামাক ছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমী ফসল উৎপাদন হয়। এখানকার মানুষের প্রধান পেশা কৃষিকাজ।

যাতায়াত

সম্পাদনা

নীলফামারী জেলা ঢাকার সাথে বাস, ট্রেন এবং আকাশপথে সংযুক্ত।

নীলফামারীতে উপলব্ধ ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে নীলসাগর এক্সপ্রেস (ঢাকা), বরেন্দ্র এক্সপ্রেস (রাজশাহী), তিতুমীর এক্সপ্রেস (রাজশাহী), রূপসা এক্সপ্রেস (খুলনা) এবং সিমান্ত এক্সপ্রেস (খুলনা)।

উল্লেখযোগ্য বাস পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রীনলাইন, নাবিল, শ্যামলী, হানিফ, এস. এ. ট্রাভেলস এবং বিআরটিসি। নীলফামারী জেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সৈয়দপুরে একটি বিমানবন্দর রয়েছে।

  • হরিশচন্দ্রের পাঠ হরিশচন্দ্রের পাঠ নীলফামারীর জলঢাকার খুটামারা ইউনিয়নের একটি গ্রাম। রাজা হরিশচন্দ্রের নামানুসারে গ্রামের নামকরণ করা হয়। এখানকার মূল আকর্ষণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি প্রায় এক হেক্টর জমির উপর চাড়াল কাটা নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত একটি উঁচু পাহাড়। উইকিপিডিয়ায় হরিশচন্দ্রের পাঠ (Q13060210)
  • ধর্মপালের গড় উইকিপিডিয়ায় ধর্মপালের গড় (Q13058305)
  • পীর মহিউদ্দিনের মাযার নীলফামারী জেলা শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কুন্দুপুকুর ইউনিয়নে পীর মহিউদ্দিনের মাযার অবস্থিত। এটি কুন্দুপুকুর মাজার নামেও পরিচিত।
  • নীলসাগর নীলসাগর হলো একটি ঐতিহাসিক দিঘি। এটি নীলফামারী জেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোড়গ্রাম ইউনিয়নে অবস্থিত৷ পর্যটকদের জন্য এখানে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। শীত মৌসুমে এখানে অসংখ্য অতিথি পাখির সমাগম ঘটে। দিঘির পাশেই পর্যটকদের জন্য একটি সরকারি বিশ্রামাগারও রয়েছে।
  • 1 চিনি মসজিদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত)। দ্বিতল মসজিদটি নির্মাণে মুঘল স্থাপত্য শৈলী অনুসরণ করা হয়েছে। মসজিদের সৌন্দর্য বাড়াতে মসজিদের দেয়ালে চিনামাটির থালার ভগ্নাংশ ও কাঁচের ভগ্নাংশ বসানো হয়। এই পদ্ধতিকে ‘চিনি করা’ বা ‘চিনি দানার কাজ করা’ বলা হয়। এখান থেকেই মসজিদের নাম হয় চিনি মসজিদ বা চীনা মসজিদ। সৌন্দর্যের কাজে ব্যবহৃত চিনামাটির উপকরণসমূহ কলকাতা থেকে আনা হয়। ঐতিহাসিক এই মসজিদের নকশা করেন মো. মোখতুল ও নবী বক্স। মসজিদের দেয়ালে ফুলদানি, ফুলের ঝাড়, গোলাপ ফুল, একটি বৃত্তে একটি ফুল, চাঁদতারাসহ নানা চিত্র অঙ্কিত আছে। মসজিদ তৈরিতে প্রচুর মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়। ২৭টি মিনার রয়েছে মসজিদটিতে। ছোট ছোট ৩২টি মিনারসহ ৩টি বড় গম্বুজ। প্রবেশ পথের উপরে আজান দেবার জন্য মিম্বার রয়েছে। মসজিদে ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর রয়েছে। মসজিদের বারান্দা সাদা মোজাইকে বাঁধানো। মসজিদের সম্পূর্ণ অবয়ব রঙিন পাথরে মোড়ানো। মসজিদটি দুই ধাপে বর্ধিত করা হয়। মসজিদে প্রবেশের জন্য উত্তরে ও দক্ষিণে একটি করে দরজা রয়েছে। মসজিদের দোতলায় একটি ভবনসহ পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উইকিপিডিয়ায় চিনি মসজিদ (Q28225247)
  • ডিমলা রাজবাড়ী

রাত্রিযাপন

সম্পাদনা

নীলফামারী শহরে থাকার জন্য বিভিন্ন আবাসিক হোটেল রয়েছে।