দার্জিলিংয়ের নাগরি ফার্ম পাহাড়ি এলাকায় একটি চা বাগান, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

নাগরি ফার্ম, জেলা - দার্জিলিং, রাজ্য - পশ্চিমবঙ্গ, ভারত রাষ্ট্রের একটা মনোরম পর্যটন গন্তব্য স্থান। নাগরি ফার্মের আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য হল, এখানকার সব পাহাড়চূড়াগুলোই চা-বাগান দিয়ে মোড়া! যতদূর আপনার চোখ যাবে দেখবেন সবুজ পাহাড়, আর কাছে গিয়ে দেখবেন শুধুই চা-বাগানের নয়নমনোহর দৃশ্য। কোথাও সারিবদ্ধভাবে গান গাইতে গাইতে পাহাড় সুন্দরীরা চা গাছ থেকে 'দুটি পাতা একটি কুঁড়ি' আহরণে ব্যস্ত, কোথাওবা মেয়েপুরুষ চা গাছের পরিচর্যায় মন দিয়েছে; আবার কোথাও কচিকাঁচাদের নিয়ে সকলে চা-বাগানেই কাজের ফাঁকে বিশ্রাম ও খাওয়াদাওয়া করছে। বিশ্বে চায়ের বাজারে দার্জিলিং চায়ের নাম সবার আগে; আর দার্জিলিং চায়ের মধ্যে 'নাগরি ফার্ম' চা সর্বোৎকৃষ্ট। নাগরি ফার্মের ঘরবাড়ি, মটর স্ট্যান্ড, বাজার, স্কুল - সব জায়গাতেই চা গাছের অবাধ অবস্থান। চা-বাগান এবং 'নাগরি ফার্ম' তাই সমার্থক; নামটার মধ্যেই সেই ইঙ্গিত পাওয়া যায়। খুব কাছ থেকে চাগাছের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে আপনাকে আসতেই হবে দার্জিলিঙের নাগরি ফার্ম!

কীভাবে যাবেন?

সম্পাদনা
  • কলকাতা (শিয়ালদহ) থেকে ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি। এখান থেকে দার্জিলিঙের মিনিবাস, চার চাকার ভাড়া গাড়িতে দার্জিলিং। এখান থেকে মিনিবাস, ছোটো ভাড়া গাড়িতে নাগরি ফার্ম।
  • কলকাতা থেকে দিনে/রাতে সাধারণ/বাতানুকূল বাসে শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ের মিনিবাস, ছোটো ভাড়া গাড়িতে দার্জিলিং হয়ে নাগরি ফার্ম।
  • নিজের গাড়িতে কলকাতা থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে শিলিগুড়ি হয়ে হিলকার্ট রোড ধরে দার্জিলিং। দার্জিলিং থেকে ঘুম, সুখিয়াপোখরি, পোখরিয়াবং হয়ে নাগরি ফার্ম আনুমানিক ৭৫ কিলোমিটার পথ।

কোথায় থাকবেন?

সম্পাদনা
  • সুখিয়াপোখরিতেও থাকার হোটেল আছে; অথবা দার্জিলিঙে থাকতে পারেন।

কী খাবেন?

সম্পাদনা
  • নাগরি ফার্ম বাজারের রেস্তোরাঁয় পাহাড়ি খানা - নিরামিষ ও আমিষ মোমো, থুকপা, চাউমিন, অথবা চাপাটি খেতে পারেন। এছাড়া সুখিয়াপোখরি বাজারে মাছ-ভাতও পেয়ে যাবেন।

কী কিনবেন?

সম্পাদনা
  • আন্তরিকভাবে খোঁজ করলে নাগরি ফার্মের পাহাড়ি রাস্তার মোড়ের দোকানে স্থানীয়ভাবে দাদা-দিদিদের তৈরি গ্রিন টি এবং বিশ্বের সেরা চা পেয়ে যাবেন। বিনামূল্যে নমুনা চায়ে চুমুক দিয়ে বাড়ির জন্যে ইচ্ছে মতো পরিমাণ সংগ্রহ করতেই পারেন।