আমিয়াখুম বান্দরবানের থানচি উপজেলায় অবস্থিত একটি জলপ্রপাত।
জানুন
সম্পাদনাবাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের পাশে অবস্থিত আমিয়াখুম জলপ্রপাতকে দেখা হচ্ছে বাংলার ভূস্বর্গ হিসেবে। কারো কারো মতে, এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জলপ্রপাত। এর অবস্থান বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম নাক্ষিয়ং নামক স্থানে।
কীভাবে যাবেন
সম্পাদনাবান্দরবান থেকে বাস বা জিপে সোজা চলে যাবেন থানচিতে। থানচি যেতে প্রায় ৪/৫ ঘণ্টার মতো লাগে। এছাড়া আলীকদম থেকেও জিপে থানচি যাওয়া যায়। রিজার্ভ ভাড়া পড়বে ৩০০০-৪০০০ টাকা। এতে এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় লাগে।
থানচি নেমে প্রধান কাজ হলো একজন গাইড ঠিক করা। আমিয়াখুম ভ্রমণের জন্য ৩ দিন ২ রাতের জন্য গাইড খরচ ৪,৫০০ টাকা। অতিরিক্ত দিনের খরচ আলোচনা সাপেক্ষে।
এবার থানচি থেকে নৌকা নিয়ে রেমাক্রি বাজারে চলে যান, থানচি থেকে রেমাক্রি প্রতিজন ২০০ টাকা করে তবে টুরিষ্টদের দেখলে রিজার্ভ ৩০০০/৪০০০ হয়ে যায়। যদি থানচি থেকে সকাল সকাল রওয়ানা দেন তাহলে রেমাক্রি নেমে হাঁটা ধরুন নাফাখুম ঝর্ণার উদ্দেশ্য। প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা হাঁটলে আপনারা পেয়ে যাবেন নাফাখুম এর দেখা। এখানে কিছুক্ষণ ছবি তুলে, বিশ্রাম নিয়ে এবার সাজাই পাড়ার দিকে রওয়ানা হয়ে যান।
নাফাখুম ঝর্ণা থেকে হাঁটা শুরু করলে ৩/৪ টা ঘণ্টার মধ্যেই আপনারা পৌঁছে যাবেন সাজিয়াপাড়া। সাজিয়াপাড়াতে রাতটুকু কাটিয়ে পরদিন সকাল সকাল উঠে পড়ুন এবং সাজিয়াপাড়া থেকে একজন গাইড নিয়ে রওয়ানা হয়ে যান আমিয়াখুমের উদ্দেশ্যে। এক্ষেত্রে গাইডকে ৫০০ টাকার মত দিতে হবে।
প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা অসাধারণ সব রাস্তা দিয়ে হাঁটলেই পেয়ে যাবেন আমিয়াখুম ঝর্ণা। আমিয়াখুম দেখে আবার ফিরে চলুন সাজিয়াপাড়া, রাতটুকু সাজিয়াপাড়া কাটিয়ে সকালে আবার আগের রাস্তায় ফিরে আসতে পারেন থানচিতে।
কোথায় থাকবেন
সম্পাদনাআমিয়াখুম থেকে কাছাকাছি সাজিয়াপাড়া ও জিনাপাড়া অবস্থিত। রাত কাটানোর জন্যে সাজিয়াপাড়ার অথবা জিনাপাড়ার কোন এক বাসায় আশ্রয় নিতে হবে।