৮৮ মন্দিরে তীর্থযাত্রা (八十八ヶ所巡り hachijūhakkasho-meguri) হল জাপানের সবচেয়ে বিখ্যাত তীর্থযাত্রা পথ, যা শিকোকু দ্বীপের চারপাশে ১,২০০ কিমি দীর্ঘ একটি বৃত্তাকার পথ।
জানুন
সম্পাদনামন্দিরগুলির মধ্যে বেশিরভাগ-এর প্রতিষ্ঠাতা বা পুনর্নির্মাতা হিসেবে সন্ন্যাসী এবং পণ্ডিত কুকাই (空海) কে মনে করা হয়, যিনি তাঁর মৃত্যুর পর প্রাপ্ত উপাধি কোবো দাইশি (弘法大師) নামে বেশি পরিচিত হন। তাঁর বহু কৃতিত্বের মধ্যে, একটি হল, তিনি কানা বর্ণমালা তৈরি করেছিলেন, চীন থেকে তন্ত্রবিদ্যার এসোটেরিক বৌদ্ধধর্মের দীক্ষিত হয়ে, সেটিকে জাপানি শিংগন সম্প্রদায়ে রূপান্তরিত করেছিলেন এবং ওসাকার নিকটবর্তী মাউন্ট কোয়া-তে শিংগনের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
যেখানে বেশিরভাগ আধুনিক তীর্থযাত্রী (প্রায় ১ লক্ষ প্রতি বছর) বাসে যাত্রা করেন, সেখানে অল্প সংখ্যক মানুষ এখনও পুরোনো রীতিতে পায়ে হেঁটে তীর্থযাত্রা করেন, যা সম্পন্ন করতে প্রায় ছয় সপ্তাহ সময় লাগে। তীর্থযাত্রীদের ও-হেরোঁ-সান (お遍路さん) অর্থ "তীর্থ-সান" নামে ডাকা হয়, এবং শিকোকুর মন্দির ও রাস্তার ধারে তাদের সাদা জ্যাকেটে ডোগয়ো নিনিন (同行二人) অক্ষরগুলি মুদ্রিত থাকে, যার অর্থ "দুইজন একসাথে ভ্রমণ করছেন"—এখানে দ্বিতীয় ভ্রমণকারী হলেন কোবো দাইশির আত্মা।
প্রস্তুতি
সম্পাদনাপায়ে হেঁটে প্রথাগতভাবে তীর্থযাত্রা সম্পূর্ণ করা একটি কষ্টদায়ক প্রচেষ্টা, এতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। শিকোকুর পাহাড়ের চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে অবিরাম হাঁটার চাপ সহ্য করার জন্য ভাল শারীরিক সহনশীলতা প্রয়োজন।
অনেক তীর্থযাত্রী ঐতিহ্যবাহী সাদা পোশাক পরিধান করে তীর্থযাত্রা করেন:
- হাকুই (byakue) – তীর্থযাত্রীর সাদা কোট
- ওয়াগেসা (wagesa) – গলায় সাধারণত বেগুনি রঙের ওড়না, এটি নির্দেশ করে যে আপনি ধর্মীয় তীর্থযাত্রা করছেন।
- সুগেগাসা (sugegasa) – ভাঁজ করা খড়ের টুপি
- কংগোচু (kongōtsue) – হাঁটার লাঠি, তীর্থযাত্রার অপরিহার্য চিহ্ন।
এছাড়াও, বেশিরভাগ তীর্থযাত্রী একটি বই নিয়ে চলেন যাকে 'ননোকিওচো (nōkyōchō) বা শুইনচো (shuincho) বলা হয়, যেখানে তীর্থযাত্রীরা প্রতিটি মন্দিরে যাওয়ার সময় একটি লাল কালির সিলমোহর (শু-ইন) সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, তারা বহন করেন ওসামে ফুডা (লম্বা কাগজের টুকরা, যেখানে তীর্থযাত্রীর নাম এবং তীর্থযাত্রার ব্যাখ্যা লেখা থাকে, যা প্রতিটি মন্দিরে রেখে দেওয়া হয় এবং সেই ব্যক্তিকে দেওয়া হয় যে আপনার সহায়তা করেন; আপনার প্রথম যাত্রায় কাগজটি সাদা হওয়া আবশ্যক)। এসব সামগ্রী মাউন্ট কোয়া বা প্রথম মন্দির রিজোঞ্জিতে কেনা যায়।
যে সমস্ত তীর্থযাত্রী পায়ে হেঁটে তীর্থযাত্রা শুরু করেন, তাদের অনেকেই তা সম্পূর্ণ করেন না। অনেক তীর্থযাত্রীও তাদের যাত্রা একাধিক বছরে ভাগ করে নেন। কোচিতে অনেকেই হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা শোনা যায়, যা ঐতিহ্যগতভাবে "শয়তানের দেশ" নামে পরিচিত, কারণ এখানের আবহাওয়া গরম, প্রবল বৃষ্টি হয় এবং মানব সভ্যতার সঙ্গে যোগাযোগ খুব কম । (অর্থাৎ, আপনাকে ক্যাম্প তৈরি করে থাকতে হবে, বিশ্রাম কেন্দ্রে রাত্রিযাপন করতে হবে, অথবা আপনাকে যাত্রা এমনভাবে পরিকল্পনা করতে হবে যাতে সময়মতো পৌঁছাতে পারেন এবং হোটেল রুমের জন্য যথেষ্ট অর্থ দিতে হতে পারে।) যারা হেঁটে তীর্থযাত্রায় পরিকল্পনা করেন তাদের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম সাথে নিতে হবে, যেমন বৃষ্টির পোশাক, তীর্থযাত্রার সরঞ্জাম সঙ্গে নিতে হবে।
খরচের বিষয়টিকেও বিবেচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাত্রিযাপনের মতো বড় খরচের পাশাপাশি প্রতিটি মন্দিরে আপনার রেকর্ড বইতে সিলমোহর দেওয়ার জন্য ছোট ছোট খরচও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যারা শিকোকু তীর্থযাত্রা করেছেন তারা খরচের হিসাব করার জন্য কিছু বিষয় ভাগ করেছেন:
ব্লগ
সম্পাদনা- গ্রেস, "Henro 2009" (২০০৯). একজন পায়ে হেঁটে চলা তীর্থযাত্রী, সিঙ্গাপুর
- জসবীর সন্ধু, 「四国八十八ヶ所巡り」 (২০১১/২০১১) ভারতের একজন পায়ে হেঁটে চলা তীর্থযাত্রী।
- ক্যাট ডেভিস, "ফোলোয়িং দ্য আ্যরোজ" (২০১৩) অষ্ট্রেলিয়ার একজন পায়ে হেঁটে চলা তীর্থযাত্রী।"জাপানের শিকোকুর ৮৮টি মন্দিরের উদ্দেশ্যে একটি তীর্থযাত্রা পথ" "জাপানিদের দ্বারা তৈরি তীর্থযাত্রার জন্য উপকারী তথ্য। "
- চেঙ চেন-হিন, ""শিকোকু হেনরো-তে সাইকেল চালানো।" (২০১৫) তাইওয়ানের একজন সাইকেল সওয়ারি তীর্থযাত্রী।
- আ্যথেনা লাম, ""কাপ এবং রাস্তা"" (২০১৫) কানাডার একজন পায়ে হেঁটে চলা তীর্থযাত্রী।
প্রবেশ করুন
সম্পাদনাপ্রথাগতভাবে মাউন্ট কোয়া পরিদর্শন করে প্রস্তুতি নেওয়া হয়, কিন্তু যাত্রাপথটি শুরু হয় রিয়োজেনজি থেকে, যা টোকুশিমার কাছে অবস্থিত। আপনার তীর্থযাত্রা সম্পন্ন করতে হলে আপনাকে এখানে ফিরে আসতে হবে। মন্দির #1 থেকে শুরু করা বাধ্যতামূলক নয়, যতক্ষণ না আপনি সব মন্দির পরিদর্শন করেন। তবে এটি তীর্থযাত্রীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়, বিশেষ করে যারা শিকোকু-র বাইরে থেকে আসেন, কারণ এটি মাউন্ট কোয়া থেকে আসা লোকদের জন্য সবচেয়ে কাছের।
মন্দিরগুলো সাধারণত ঘড়ির কাঁটার দিকে ক্রমানুসারে পরিদর্শন করা হয়, যদিও এটি একটি প্রচলিত রীতি মাত্র। বাস্তবে, যেহেতু সব নির্দেশিকা ঘড়ির কাঁটার দিকে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত, আপনি যদি উল্টো দিক থেকে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তবে পথ হারানোর সম্ভাবনা বেশি।
যাত্রা
সম্পাদনাবেশিরভাগ তীর্থযাত্রী পায়ে হেঁটে দৈনিক গড়ে প্রায় ২৫ কিমি পাড়ি দেন এবং এই যাত্রা পাঁচ থেকে সাত সপ্তাহে সম্পন্ন করেন।
মন্দিরগুলোর অফিসিয়াল তালিকা নিম্নরূপ:
নং | মন্দির | শহর | প্রিফেকচার | নোট |
---|---|---|---|---|
১ | রিওজেনজি (霊山寺) | নারুতো | তোকুশিমা | |
২ | গোকুরাকুজি (極楽寺) | নারুতো | তোকুশিমা | |
৩ | কনসেনজি (金泉寺) | ইতানো | তোকুশিমা | |
৪ | ডাইনিচিজি (大日寺) | ইতানো | তোকুশিমা | |
৫ | জিজোজি (地蔵寺) | ইতানো | তোকুশিমা | |
৬ | অ্যানরাকুজি (安楽寺) | কামিতা | তোকুশিমা | |
৭ | জুরাকুজি (十楽寺) | আওয়া | তোকুশিমা | |
৮ | কুমাতানিজি (熊谷寺) | আওয়া | তোকুশিমা | |
৯ | হোরিনজি (法輪寺) | আওয়া | তোকুশিমা | |
১০ | কিরিহাতাজি (切幡寺) | আওয়া | তোকুশিমা | |
১১ | ফুজিইদেরা (藤井寺) | যশিনোগাওয়া | তোকুশিমা | |
১২ | শোজানজি (焼山寺) | কামিয়ামা | তোকুশিমা | ১১ থেকে ১২ পর্যন্ত চড়াই notoriously কঠিন! |
১৩ | ডাইনিচিজি (大日寺) | টোকুশিমা | টোকুশিমা | |
১৪ | জোরাকুজি (常楽寺) | টোকুশিমা | টোকুশিমা | |
১৫ | কোকুবুনজি (国分寺) | টোকুশিমা | টোকুশিমা | |
১৬ | কান'অনজি (観音寺) | টোকুশিমা | টোকুশিমা | |
১৭ | ইডোজি (井戸寺) | টোকুশিমা | টোকুশিমা | |
১৮ | ওনজানজি (恩山寺) | কোমাটসুশিমা | টোকুশিমা | |
১৯ | টাটসুয়েজি (立江寺) | কোমাটসুশিমা | টোকুশিমা | |
২০ | কাকুরিনজি (鶴林寺) | কাতসুরা | টোকুশিমা | |
২১ | তাইরিউজি (太竜寺) | আনান | টোকুশিমা | কঠিন পাহাড়ি মন্দির |
২২ | বেয়োদোজি (平等寺) | আনান | টোকুশিমা | আরেকটি কঠিন পাহাড়ি মন্দির |
২৩ | ইয়াকুওজি (薬王寺) | মিনামি | টোকুশিমা | |
২৪ | হোৎসুমিসাকিজি (最御崎寺) | মুরোতো | কোচি | |
২৫ | শিনশোজি (津照寺) | মুরোতো | কোচি | |
২৬ | কংগোচোজি (金剛頂寺) | মুরোতো | কোচি | |
২৭ | কোনোমিনেজি (神峰寺) | ইয়াসুদা | কোচি | |
২৮ | ডাইনিচিজি (大日寺) | কোনান | কোচি | |
২৯ | কোকুবুনজি (国分寺) | নানকোকু | কোচি | |
৩০ | জেনরাকুজি (善楽寺) | কোচি | কোচি | |
৩১ | চিকুরিনজি (竹林寺) | কোচি | কোচি | মন্দিরের পশ্চিমের পার্ক থেকে কোচি শহরের সুন্দর দৃশ্য |
৩২ | জেনজিবুজি (禅師峰寺) | নানকোকু | কোচি | |
৩৩ | সেক্কেইজি (雪蹊寺) | কোচি | কোচি | |
৩৪ | তানেমাজি (種間寺) | হারুনো | কোচি | |
৩৫ | কিয়োটাকিজি (清滝寺) | তোসা | কোচি | |
৩৬ | শোরিউজি (青竜寺) | তোসা | কোচি | |
৩৭ | ইওয়ামোটোজি (岩本寺) | শিমান্টো | কোচি | |
৩৮ | কংগোফুকুজি (金剛福寺) | তোসাশিমিজু | কোচি | |
৩৯ | এনকোজি (延光寺) | সুকুমো | কোচি | |
৪০ | কানজিজাইজি (観自在寺) | আইনান | এহিমে | |
৪১ | রিউকোজি (竜光寺) | উওয়াজিমা | এহিমে | |
৪২ | বুথসুমোকুজি (佛木寺) | উওয়াজিমা | এহিমে | |
৪৩ | মেইসেকিজি (明石寺) | সেইয়ো | এহিমে | |
৪৪ | দাইহোজি (大宝寺) | কুমাকোগেন | এহিমে | |
৪৫ | ইওয়ায়াজি (岩屋寺) | কুমাকোগেন | এহিমে | |
৪৬ | জোরুরিজি (浄瑠璃寺) | মাতসুয়ামা | এহিমে | |
৪৭ | ইয়াসাকাজি (八坂寺) | মাতসুয়ামা | এহিমে | |
৪৮ | সাইরিনজি (西林寺) | মাতসুয়ামা | এহিমে | |
৪৯ | জোদোজি (浄土寺) | মাতসুয়ামা | এহিমে | |
৫০ | হানতাজি (繁多寺) | মাতসুয়ামা | এহিমে | |
৫১ | ইশিতেজি (石手寺) | মাতসুয়ামা | এহিমে | |
৫২ | তাইজানজি (太山寺) | মাতসুয়ামা | এহিমে | |
৫৩ | এনমিয়োজি (円明寺) | মাতসুয়ামা | এহিমে | |
৫৪ | এম্মেইজি (延命寺) | ইমাবারি | এহিমে | |
৫৫ | নানকোবো (南光坊) | ইমাবারি | এহিমে | |
৫৬ | তাইসানজি (泰山寺) | ইমাবারি | এহিমে | |
৫৭ | এইফুকুজি (栄福寺) | ইমাবারি | এহিমে | |
৫৮ | সেন'য়ুজি (仙遊寺) | ইমাবারি | এহিমে | |
৫৯ | কোকুবুনজি (国分寺) | ইমাবারি | এহিমে | |
৬০ | ইয়োকোমিনেজি (横峰寺) | সাইজো | এহিমে | |
৬১ | কোওনজি (香園寺) | সাইজো | এহিমে | |
৬২ | হোজুজি (宝寿寺) | সাইজো | এহিমে | |
৬৩ | কিচিজোজি (吉祥寺) | সাইজো | এহিমে | |
৬৪ | মাইগামিজি (前神寺) | সাইজো | এহিমে | |
৬৫ | সানকাকুজি (三角寺) | শিকোকুচুয়ো | এহিমে | |
৬৬ | উনপেনজি (雲辺寺) | মিয়োশি | টোকুশিমা | |
৬৭ | দাইকোজি (大興寺) | মিতোয়ো | কাগাওয়া | |
৬৮ | জিন্নেইন (神恵院) | কানোনজি | কাগাওয়া | |
৬৯ | কান'ওনজি (観音寺) | কানোনজি | কাগাওয়া | |
৭০ | মটোইয়ামাজি (本山寺) | মিতোয়ো | কাগাওয়া | |
৭১ | ইয়াদানিজি (弥谷寺) | মিতোয়ো | কাগাওয়া | |
৭২ | মান্দারাজি (曼荼羅寺) | জেন্টসুজি | কাগাওয়া | |
৭৩ | শুশাকাজি (出釈迦寺) | জেন্টসুজি | কাগাওয়া | |
৭৪ | কোয়ামাজি (甲山寺) | জেন্টসুজি | কাগাওয়া | |
৭৫ | জেন্টসুজি (善通寺) | জেন্টসুজি | কাগাওয়া | |
৭৬ | কনজোজি (金倉寺) | জেন্টসুজি | কাগাওয়া | |
৭৭ | ডোরিউজি (道隆寺) | তাদোৎসু | কাগাওয়া | |
৭৮ | গোশোজি (郷照寺) | উতাজু | কাগাওয়া | |
৭৯ | টেন'নোজি (天皇寺) | সাকাইদে | কাগাওয়া | |
৮০ | কোকুবুনজি (国分寺) | তাকামাতসু | কাগাওয়া | |
৮১ | শিরোমিনেজি (白峯寺) | সাকাইদে | কাগাওয়া | |
৮২ | নেগোরোজি (根香寺) | তাকামাতসু | কাগাওয়া | |
৮৩ | ইচিনোমিয়াজি (一宮寺) | তাকামাতসু | কাগাওয়া | |
৮৪ | ইয়াশিমাজি (屋島寺) | তাকামাতসু | কাগাওয়া | |
৮৫ | ইয়াকুরিজি (八栗寺) | তাকামাতসু | কাগাওয়া | |
৮৬ | শিদোজি (志度寺) | সানুকি | কাগাওয়া | |
৮৭ | নাগাওজি (長尾寺) | সানুকি | কাগাওয়া | |
৮৮ | ওকুবোজি (大窪寺) | সানুকি | কাগাওয়া |
অতিরিক্ত ২০টি "অসংখ্যায়িত" (番外 বাংগাই) মন্দিরও রয়েছে।
রাত্রিযাপন
সম্পাদনা- পদযাত্রী বা গাড়িতে ভ্রমণকারী তীর্থযাত্রীদের জন্য অনেক ছোট সরাইখানা রয়েছে। সাধারণত, এক রাতের জন্য এর খরচ ¥৪০০০-¥৭০০০, যার মধ্যে রাতের খাবারও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
- অধিকাংশ মন্দির তীর্থযাত্রীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করে, কিন্তু এটি বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে (প্রতি রাত প্রায় ¥৮০০০)।
- তীর্থশালাগুলি সাধারণত পরিবার বা স্থানীয় ব্যবসিক দ্বারা পরিচালিত হয় এবং যেসকল তীর্থযাত্রীরা পদযাত্রা করে তাদের জন্য খুব অল্প মূল্যে বা কখনও কখনও বিনামূল্যে ঘর (এবং মাঝে মাঝে খাবার) প্রদান করে।
- বিনামূল্যের থাকার জন্য অনেক ছোট বাসস্থান রয়েছে যেগুলিকে জেনকনইয়াডো এবং তসুয়াডো বলা হয়, যদিও এই থাকার ব্যবস্থা কিছুটা নিম্নমানের হতে পারে এবং এতে খুব সীমিত সুযোগ-সুবিধা থাকে। (জেন্টসুজির কাছে একটি জেনকনইয়াডো রয়েছে, যা ভূতুড়ে বলে মনে করা হয়।) এক সময় এগুলি পদযাত্রীদের জন্য থাকার প্রধান ব্যবস্থা ছিল; তবে গত ৫০ বছরে দ্বীপের সংস্কৃতি পরিবর্তিত হয়েছে এবং এই ধরনের থাকার ব্যবস্থা এখন কেবল হাতে গোনা কয়েকটি রয়েছে।
সস্তা বা বিনামূল্যের তীর্থযাত্রী থাকার ব্যবস্থা তালিকাভুক্ত ব্লগ
নিরাপদ থাকুন
সম্পাদনাশিকোকুতে ভ্রমণ করা অত্যন্ত নিরাপদ, বিশেষ করে যখন আপনি ঐতিহ্যবাহী তীর্থযাত্রীর পোশাক পরেন। মানুষ যদি আপনাকে তীর্থযাত্রী হিসেবে কিনতে পারে, তবে তারা খুব সাহায্য করবে এবং আপনাকে ছোট উপহার (ওসেত্তাই) দিয়ে আপনার যাত্রায় অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করবে, যা আপনাকে সর্বদা গ্রহণ করতে হবে।
আবহাওয়া পরিবর্তন সময়ে সময়ে বিপজ্জনক হতে পারে; বসন্ত এবং শরৎ এর সর্বাধিক উপযুক্ত আবহাওয়াতেও কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে—বিশেষত দক্ষিণে। সঠিক প্রস্তুতি এবং আবহাওয়ার খবর রাখা অপরিহার্য। তবে, জরুরী অবস্থায় আপনি কখনই মানব সভ্যতার থেকে দূরে নন।
কোচি-তে হাঁটার সময় সাবধান থাকুন, কারণ এটি সবচেয়ে কম জনবহুল। প্রধান শহরগুলি একে অপরের থেকে দূরে অবস্থিত, এবং উপকূল ছোট মাছ ধরার শহরগুলির সলগ্ন, যা সন্ধ্যা আটটা বা নয়টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়, ফলে থাকার ব্যবস্থা খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়।
শিকোকুতে অনেক সাপ রয়েছে, যার মধ্যে মারাত্মক পিট ভাইপারও রয়েছে। ঝোপঝাড় বা ঘাসের মধ্যে হাঁটার সময়, পা মেরে বা অন্যভাবে শব্দ করলে বেশিরভাগ সাপ আপনার পথ থেকে সরে যাবে।
জুলাই এবং আগস্ট তীব্র গরম, এবং এই তীব্র গরমে তীর্থযাত্রা করার চেষ্টা করা এক ধরনের হিটস্ট্রোক এর জন্য আহ্বান জানানো। এপ্রিল এবং অক্টোবর যাওয়ার জন্য সেরা সময়, যদিও থাকার ব্যবস্থা বিশেষভাবে ভিড় থাকবে।
পরবর্তী ভ্রমণ
সম্পাদনাঐতিহ্য অনুসারে, আপনি ৮৮তম মন্দিরে পৌঁছালেও আপনার যাত্রা শেষ হয় না—কিছু লোক বিশ্বাস করে যে আপনার তীর্থযাত্রা সম্পূর্ণ করতে আপনাকে আবার ১ম মন্দিরে ফিরে যেতে হবে! অন্য একটি ঐতিহ্য অনুসারে, সকল মন্দিরে তীর্থযাত্রা সম্পূর্ণ করা প্রয়োজনীয় নয় এবং এটি অসম্পূর্ণ রেখে দেওয়াই ভালো।
এছাড়া, যদি আপনি এতদূর পৌঁছাতে পেরেছেন, তবে কোবো ডাইশির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আপনার মাউন্ট কয়া ফিরে যাওয়া কেবল শিষ্টাচার মাত্র।
জাপানে অন্যান্য তীর্থযাত্রার পথ
সম্পাদনা- চুগোকু ৩৩ ক্যানন মন্দির তীর্থযাত্রা - যদি আপনার শক্তি থাকে, আপনি সহজেই শিকোকু তীর্থযাত্রার ঠিক পরেই এই তীর্থযাত্রা শুরু করতে পারেন।
- গভীর উত্তরে সংকীর্ণ পথ - বিখ্যাত কবি মাতসুো বাশোর পদক্ষেপ অনুসরণ করুন।
{{#assessment:ভ্রমণপথ|ব্যবহারযোগ্য}}