লোহাগড়া উপজেলা, নড়াইল

লোহাগড়া উপজেলা বাংলাদেশের নড়াইল জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ২৯০.৮৩ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২৩°০৫´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩°১৯´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৯°২৯´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৯°৪৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে মহম্মদপুর উপজেলা; দক্ষিণে কালিয়া উপজেলা পূর্বে আলফাডাঙ্গা, কাশিয়ানী ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে নড়াইল সদর উপজেলা।

কীভাবে যাবেন?

রাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ৩১০ কিলোমিটার এবং জেলা সদরের দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার। এখানে সড়ক পথে আসতে হয়। তবে, রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।

স্থলপথে

ঢাকা থেকে লোহাগড়া সাধারনত সড়ক পথেই যাতায়েত করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় সড়ক পথে যাতায়েত করতে সময় লাগে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা, তবে ফেরী পারাপারের সময় যানজট থাকলে সময় বেশি লাগে। ঢাকা থেকে সড়ক পথে আরিচা ফেরী পার হয়ে কালনা ফেরি ঘাট হয়ে উপজেলা সদরে পৌছাতে হয়।

গাবতলী ও সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে বেশ কয়েকটি বাস লোহাগড়ার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এ সব বাসগুলো হলো -

হানিফ এন্টারপ্রাইজ - চৌরাস্তা, লক্ষীপাশা ও সিএমবি রোড হতে সকাল ০৯টা ৩০ মিনিটে ও রাত ০৯টায় ছাড়ে যাতে ভাড়া পড়ে নরমালে ৩০০/- এবং চেয়ারে ৪৫০/-;
এ.কে. ট্রাভেলস - চৌরাস্তা, লক্ষীপাশা ও সিএমবি রোড হতে সকাল ০৮টা ৩০ মিনিটে ও রাত ০৮টা ৩০ মিনিটে ছাড়ে যাতে ভাড়া পড়ে ৪৫০/-;
ঈগল পরিবহন - চৌরাস্তা, লক্ষীপাশা ও সিএমবি রোড হতে সকাল ০৮টা ৩০ মিনিটে ও ০৯টা এবং রাত ০৮টা ও ০৯টায় ছাড়ে যাতে ভাড়া পড়ে নরমালে ৩০০/- এবং চেয়ারে ৪৫০/-;
বিআরটিসি - চৌরাস্তা, লক্ষীপাশা ও সিএমবি রোড হতে সকাল ০৮টা ৩০ মিনিটে ও রাত ০৯টায় এসি কোচ ছাড়ে যাতে ভাড়া পড়ে ৫৫০/-।

খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থান হতে যোগাযোগের ক্ষেত্রে -

কালনা ফেরীঘাট ও লক্ষীপাশা বাসস্ট্যান্ড হতে ধলগ্রাম হয়ে যশোর মনিহার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সকাল ০৬টা হতে ১৫ মিনিট পর পর রাত ০৮টা পর্যন্ত লোকাল বাস সার্ভিস আছে;
কালনা ফেরীঘাট ও লক্ষীপাশা বাসস্ট্যান্ড হতে নোয়াপাড়া হয়ে খুলনা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সকাল ০৬টা হতে ৩০ মিনিট পর পর খুলনা এক্সপ্রেসে নামক বাস সার্ভিস আছে;
নড়াইল ফেরীঘাট হতে চৌগাছা হয়ে লাহুড়িয়া বাজার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সকাল ০৭টা হতে ৩০ মিনিট পর পর লোকাল বাস সার্ভিস আছে;
লক্ষীপাশা বাসস্ট্যান্ড হতে নড়াইল ফেরীঘাট পর্যন্ত বিভিন্ন লোকাল বাস ও সিএনজি চালিত বাহন বা অটো বাইকে।

আকাশপথ

এখানে কোন বিমানবন্দর না থাকায় সরাসরি আকাশপথে ভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে ঢাকা থেকে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোর বিমান বন্দরের নেমে ভাড়ায় চালিত গাড়ীতে তুলনামুলক স্বল্প সময়ে পৌছানো সম্ভব।

নৌপথ

পার্শ্ববর্তী এলাকা হতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে যোগাযোগ রয়েছে।

দর্শনীয় স্থানসমূহ

নলদী গাজীর দরগাহ,
রাধা গোবিন্দের মন্দির (জোড়বাংলা),
লোহাগড়া থানা জামে মসজিদ,
লক্ষ্মীপাশা কালীবাড়ি মন্দির,
ইতনা স্কুল এন্ড কলেজ (১৯০০),
লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৬),
লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয় (১৮৮৯),
নীহাররঞ্জন গুপ্তের পৈতৃক নিবাস,
‘নিরিবিলি’ পিকনিক স্পট এবং খামারবাড়ি।

খাওয়া দাওয়া

রাত্রি যাপন

লোহাগড়ায় থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -

জেলা পরিষদ ডাকবাংলো - লোহাগড়া; মোবাইল: +৮৮০১৯১২-৫০০ ৪১৩।
হোটেল আলম - লোহাগড়া।
হোটেল বৈশাখী - লোহাগড়া।
মডার্ণ আবাসিক হোটেল - লক্ষীপাশা বাস স্ট্যান্ড; মোবাইল: +৮৮০১৯১৭-৮৩৫ ০২৮।

জরুরি নম্বরসমূহ

জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য

ওসি, লোহাগড়াঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ২০৮।