লামা উপজেলা

লামা বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।

জানুন

বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রায় ৯২ কিলোমিটার দক্ষিণে ২১°৩৬´ থেকে ২১°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৪´ থেকে ৯২°২৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত লামা উপজেলার আয়তন ৬৭১.৮৪ বর্গ কিলোমিটার। ১৯২৩ সালে লামা থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে।

নামকরণ

মূলত আহলামা রোয়া বা পাড়া থেকে লামা নামের উৎপত্তি। মাতামুহুরী নদী বিধৌত অঞ্চলে অবস্থিত লামা এর নামকরণ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কারো কারো মতে লামা শব্দটির অর্থ নিচের দিক বা ভাটি এলাকা। এটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক শব্দ। পার্বত্য অঞ্চলে মাতামুহুরী নদীর ভাটি এলাকায় অবস্থিত বলেই এ অঞ্চলের নাম লামা। আবার উপজাতীদের কিংবদন্তি অনুসারে জানা যায়, বর্তমানে লামামুখ এলাকায় আহলামা নামক (যার অর্থ পরমা সুন্দরী) এক সভ্রান্ত মার্মা উপজাতি বসবাস করত। ঐ সময়ে তার আর্থিক স্বচ্ছলতার ও প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে আহলামা রোয়া বা পাড়া নামকরণ করা হয়। পরবর্তীকালে লামা খাল, লামা বাজার, মৌজা ইত্যাদি তার নামে নামকরণ করা হয়। লামায় অবস্থানরত সকল উপজাতি ও অউপজাতির বয়োজ্যেষ্ঠ লোকেরা শেষোক্ত মতটি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন।

জনসংখ্যা

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লামা উপজেলার জনসংখ্যা ১,১৩,৪১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৮,৯০৪ জন এবং মহিলা ৫৪,৫০৯ জন। মোট জনসংখ্যার ৭০.৫২% মুসলিম, ০.৩১% হিন্দু, ১৯.৬৬% বৌদ্ধ এবং ৯.৫১% খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এ উপজেলায় মার্মা, ত্রিপুরা, মুরং, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা ও খেয়াং উপজাতির বসবাস রয়েছে।

কীভাবে যাবেন

ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে প্রথমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল নেমে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে লামা যাওয়া যায়। এছাড়া বান্দরবান সদর থেকেও সরাসরি পূর্বাণী চেয়ারকোচ বা জীপগাড়ি যোগে লামা যেতে পারেন।

দর্শনীয় স্থান

মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স
ভিউ পয়েন্ট অফ লামা উপজেলা
সাবেক বিলছড়ি বৌদ্ধ বিহার
নুনার বিলপাড়া পালিটুল বৌদ্ধ বিহার
মাতামুহুরী নদী ও সেতু
শীলের তুয়া স্থিত চংবট ম্রো পাড়া ও পাহাড়
কোয়ান্টাম শিশু কানন, সরই
ফাঁসিয়াখালী রাবার বাগান

থাকার ব্যবস্থা

লামা পৌরসভা এলাকায় সুলভে থাকার মত বেশ কিছু হোটেল রয়েছে।

খাওয়া দাওয়া

লামা পৌরসভা এলাকায় যে কোন মানের রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন।