পলাশ ফুল
রক্তাক্ত কৃষ্ণচূড়া
শিমুল ফুল

রানিবাঁধ-ঝিলিমিলি হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যর বাঁকুড়া জেলার বনাঞ্চলের এক ইকো-পর্যটন কেন্দ্র। রানিবাঁধ এবং ঝিলিমিলি বাঁকুড়া জেলার খাতড়া মহকুমার অন্তর্গত পাশাপাশি দুটো গ্রাম। বাঁকুড়া মালভূমির বিস্তৃত চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে শাল, সেগুন, শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, খিরিশ, শিরিষ, আকাশমণি ইত্যাদি গাছের বনভূমির মধ্যে নানা পাখি এবং প্রাণীর আবাসস্থল হল রানিবাঁধ-ঝিলিমিলি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রাস্তার দুধারে কিছু মানুষের বাসস্থান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকান-বাজার আছে ঠিকই, তবে ভিতরের দিকটা বেশির ভাগই বনভূমির মধ্যে; 'জায়গাটা নিরিবিলি, রানিবাঁধ-ঝিলিমিলি'! বাংলার ঋতুবৈচিত্র্যের মধ্যে বসন্তে রানিবাঁধ-ঝিলিমিলি ভ্রমণ করলে ঢালু, ওঠা-নামা পথে যেতে মোড়ে মোড়ে ভিউ পয়েন্টে কিছুক্ষণ থেমে যেতে হবে। কেননা, শিমুল-পলাশ-কৃষ্ণচূড়া, প্রকৃতি মায়ের এই তিন আহ্বায়ক তাদের লাল ফুলের লাল গালিচা বিছিয়ে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাবেই এই রানিবাঁধ-ঝিলিমিলির বনভূমিতে। এ বলবে আমায় দ্যাখো, তো ও বলবে আমায় দ্যাখো! এককথায় রানিবাঁধ-ঝিলিমিলির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকের মন টানবেই।

কীভাবে যাবেন?

সম্পাদনা
  • কলকাতা থেকে এখন খাতড়া সরাসরি বাস পরিবহন পরিষেবা চালু হয়েছে। খাতড়া থেকে যেকোনো অটোরিকশা কিংবা চার চাকার ভাড়া গাড়িতে মাত্র দশ-বারো কিলোমিটার পথ রানিবাঁধ-ঝিলিমিলি।
  • কলকাতা (হাওড়া স্টেশন) থেকে ট্রেনে বাঁকুড়া। বাঁকুড়া থেকে চার চাকার ভাড়া গাড়িতে আনুমানিক পঞ্চাশ কিলোমিটার রানিবাঁধ-ঝিলিমিলি।
  • নিজের গাড়িতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, খাতড়া হয়ে রানিবাঁধ-ঝিলিমিলি আনুমানিক ২৭৫ কিলোমিটার পথ।
  • কলকাতা থেকে ট্রেনে ঝাড়গ্রাম। ঝাড়গ্রাম থেকে বাসেও রানিবাঁধ-ঝিলিমিলি যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন?

সম্পাদনা
  • বাঁকুড়া জেলাশহরে হোটেলে থাকতে পারেন। বাঁকুড়া থেকে ভোরে রওনা দিয়ে দেড়-দুই ঘণ্টায় রানিবাঁধ-ঝিলিমিলি পৌঁছে যাবেন।
  • খাতড়ায় বেসরকারি হোটেল কিংবা দশ-পনেরো কিলোমিটারের মধ্যে মুকুটমণিপুর সরকারি আবাসেও থাকা যায়। সরকারি আবাস বুকিং কলকাতার বিবাদী বাগের ট্যুরিস্ট ব্যুরো কার্যালয় থেকে করা যায়।

কী খাবেন?

সম্পাদনা
  • খাতড়া-রানিবাঁধ-ঝিলিমিলি-ঝাড়গ্রাম রোডের পাশে স্থানীয় খাবারের হোটেল পেয়ে যাবেন। যেখানে বাঙালি খানার পাশাপাশি রুটি-পরটা-চাউমিনও পাওয়া যায়।

বিষয়শ্রেণী তৈরি করুন