রাঙ্গুনিয়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
জানুন
সম্পাদনাচট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার পূর্বে ২২°১৮´ থেকে ২২°৩৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৮´ থেকে ৯২°০৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আয়তন ৩৬১.৫৪ বর্গ কিলোমিটার। রাঙ্গুনিয়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬২ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়ন রয়েছে।
নামকরণ
সম্পাদনারাঙ্গুনিয়া নামের উৎপত্তি কবে কীভাবে হল এ সম্পর্কে কৌতুহলের শেষ নেই। বলা হয়ে থাকে, আরাকানী রাজশক্তি মোগল রাজশক্তির সাথে যুদ্ধে পরাজিত হলে আরাকানী মগেরা তাদের অর্জিত ধন সম্পদ পরিত্যাগ করে এ অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং এর থেকে অঞ্চলের নাম হয় রাইন্যা। রাইন্যা একটি মগী শব্দ, যার অর্থ হল পরিত্যক্ত। পরবর্তীতে রাইন্যা শব্দ থেকে রইন্যা তথা রাঙ্গুনিয়া শব্দের উৎপত্তি হয়েছে।
আরেকটি মত হচ্ছে, এককালে এ অঞ্চলের লোকজন অধিক সংখ্যায় বার্মার রেঙ্গুন শহরে চলে যেত এবং এজন্য এ অঞ্চলকে রেঙ্গুন্যা বলা হত, আর এ থেকেই রাঙ্গুনিয়া নামের উৎপত্তি।
আসলে এই দুইটি মতই ঐতিহাসিকভাবে ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। চট্টগ্রামের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক জনাব হামিদুল্লাহ খাঁ কর্তৃক ফার্সি ভাষায় রচিত চট্টগ্রামের প্রাচীন ইতিহাস আহাদিসুল খাওয়ানিন, যা ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল এবং বর্তমানে এক কপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। তাতে রাঙ্গুনিয়াকে রঙ্গীনা নামে উল্লেখ করা হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও গবেষক মরহুম সৈয়দ আহমদুল হক রচিত প্রবন্ধ 'বিচিত্রা'য় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফার্সি ভাষায় রঙ্গীনা শব্দের অর্থ হল রঙে রঞ্জিত অর্থাৎ সৌন্দর্য্য। তাঁর মতে, রাঙ্গুনিয়ার মত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমণ্ডিত মনোরম স্থান দক্ষিণ এশিয়ায় আর নেই। চিরহরিৎ অনুচ্চ শৈল শিখর ও কর্ণফুলি নদী বিধৌত এ অঞ্চল সুলতানী আমলে পরিচিত ছিল রঙ্গীনা নামে। পরবর্তীতে এই রঙ্গীনা শব্দ থেকেই রইন্যা বা রাঙ্গুনিয়া নামের উৎপত্তি হয়েছে।
জনসংখ্যা
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৩,৩৯,০০৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৬৮,৪১২ জন এবং নারী ১,৭০,৫৯২ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৯৩৮ জন।
কীভাবে যাবেন
সম্পাদনাচট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদরের দূরত্ব ২৯ কিলোমিটার।
সড়কপথে
সম্পাদনাচট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই বাস যোগে রাঙ্গুনিয়া যাওয়া যায়।
- ভাড়া: জনপ্রতি ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা।
এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগেও রাঙ্গুনিয়া যাওয়া যায়।
- ভাড়া: রিজার্ভ ১২৫ থেকে ১৭৫ টাকা অথবা জনপ্রতি ২৫ থেকে ৩৫ টাকা।
কাপ্তাই সড়ক ছাড়াও রাঙ্গামাটি সড়ক হয়ে রাঙ্গুনিয়া যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন মোড় এলাকা থেকে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি বাস যোগে রানীরহাট এলাকায় নামতে হবে।
- ভাড়া: জনপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
নৌপথে
সম্পাদনানৌপথে ভ্রমণ পিয়াসুরা ইচ্ছে করলে নৌপথেও রাঙ্গুনিয়া যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রাম শহরের কালুরঘাট এলাকা থেকে রিজার্ভ স্পীডবোট ভাড়া করতে হবে।
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- 1 আগুনিয়া চা বাগান, ৩নং ওয়ার্ড, লালানগর (উপজেলা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা করে লালানগর ইউনিয়ন বেড়িবাঁধ থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্ব দিকে যেতে হবে। অথবা চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের বড়ইছড়ি হয়ে যে কোন পরিবহনে যাওয়া যায়।)। এ চা বাগানটি ক্লোন চা পাতার জন্য বিখ্যাত।
- 2 আরব আমিরাত প্রকল্প, চেংখালী, বেতাগী (চট্টগ্রাম শহর বা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা থেকে যে কোন পরিবহনে চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের পোমরা এলাকার আরব আমিরাত প্রজেক্ট গেইট হয়ে এ প্রকল্প এলাকায় যাওয়া যায়।)। এ প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের টানে দর্শনার্থীরা এখানে ছুটে আসে, এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের অর্থায়নে এখানে বিশ্বমানের হেলথ সিটি করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।
- 3 কর্ণফুলি নদী (চট্টগ্রাম শহর বা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা থেকে যে কোন পরিবহনে চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের পোমরা, পৌরসভা, মরিয়মনগর এবং চন্দ্রঘোনা কদমতলী এলাকার যে কোন বাসস্টপ থেকে দক্ষিণ দিকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বা রিক্সাযোগে অথবা পায়ে হেঁটে গিয়ে এ নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়। চট্টগ্রাম শহর থেকে সরাসরি নৌভ্রমণের মাধ্যমেও কর্ণফুলি নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়।)। রাঙ্গুনিয়া পৌর এলাকা এ নদীর তীরে অবস্থিত, নৌপথে ভ্রমণপিয়াসুরা এ নদীতে প্রায়শঃ ভ্রমণ করে থাকে।
- 4 কোদালা চা বাগান, কোদালা (উপজেলা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা করে গোডাউন ব্রিজ হয়ে অথবা চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট পার হয়ে সরাসরি এ চা বাগানে যাওয়া যায়।)। এটি দেশের প্রথম চা বাগান।
- 5 গুমাই বিল, রাঙ্গুনিয়া (উপজেলার কাপ্তাই সড়ক হয়ে মরিয়মনগর থেকে চন্দ্রঘোনা যাওয়ার পথে গুমাই বিল দেখা যায়।)। এটি বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিল।
- 6 চাকমা রাজবাড়ি, রাজাভুবন, রাজানগর (উপজেলা সদর থেকে পারুয়া ডিসি সড়ক হয়ে সিএনজি অটোরিক্সা করে সরাসরি যাওয়া যায়।)। এটি সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত চাকমা রাজার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ।
- 7 ঠাণ্ডাছড়ি চা বাগান, রাজানগর (উপজেলা সদর থেকে পারুয়া ডিসি সড়ক হয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা করে যাওয়া যায় অথবা চট্টগ্রাম শহর থেকে রাঙ্গামাটি সড়ক হয়ে যে কোন পরিবহনে সরাসরি এ চা বাগানে যাওয়া যায়।)। এখানে চা বাগান ও রাবার বাগান উভয়ের সৌন্দর্য্য একসাথে উপভোগ করা যায়।
- 8 ঢালকাটা জগদ্ধাত্রী মন্দির, দ্বারিকোপ, পদুয়া (উপজেলা সদর থেকে গোডাউন ব্রিজ হয়ে সরাসরি পদুয়া অথবা চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট পার হয়ে বাঙ্গালহালিয়া বাজার হয়ে এ মন্দিরে যাওয়া যায়।)। এটি একটি হিন্দু মন্দির।
- 9 দুধপুকুরিয়া-ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য, দুধপুকুরিয়া, পদুয়া (চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট পার হয়ে বান্দরবান সড়ক হয়ে পদুয়ার দুধপুকুরিয়া এলাকায় যাওয়া যায়।)। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম এই ৩ জেলার সীমানায় অবস্থিত মনোমুগ্ধকর একটি অভয়ারণ্য।
- 10 দ্বিতীয় কর্ণফুলি সেতু (গোডাউন ব্রিজ), গোডাউন, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের গোডাউন এলাকায় এসে দক্ষিণ দিকে ২ মিনিট পায়ে হেঁটে এ ব্রিজে পৌঁছা যায়।)। উপজেলা সদরের সাথে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়নের সংযোগ সেতু।
- 11 ধর্মচক্র বিহার, সৈয়দবাড়ি, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক হয়ে সরাসরি সৈয়দবাড়ি এলাকায় যাওয়া যায়।)। এটি ১৭২০ সালে নবাব আলীবর্দী খানের শাসনামলে নির্মিত বৌদ্ধ বিহার।
- 12 পাগলা মামার দরগাহ, পূর্ব সৈয়দবাড়ি, মরিয়মনগর (চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের মরিয়মনগর চৌমুহনী থেকে দক্ষিণ দিকে রিক্সা যোগে বা পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়।)। উনিশ শতকের এ দরগাহটি আধ্যাত্মিক সাধক শাহ মুজিবুল্লাহ (রহ.)'র, কথিত আছে তিনি আধ্যাত্মিক সাধনার ফলে পাগল হয়ে গেলে পাগলা মামা নামে পরিচিতি লাভ করেন।
- 13 পারুয়া রাবার ড্যাম (ইছামতি রাবার ড্যাম), পারুয়া (উপজেলা সদর থেকে পারুয়া ডিসি সড়ক হয়ে কাটাখালী বাজার থেকে পূর্ব দিকে অথবা মরিয়মনগর-রানীরহাট সংযোগ সড়ক হয়ে মোগলের হাট থেকে পশ্চিম দিকে ইছামতি নদীর তীরে যাওয়া যায়।)। ইছামতি নদীর উপর নির্মিত এই বাঁধটি উত্তর রাঙ্গুনিয়ার ৫টি ইউনিয়নের চাষাবাদ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করেছে।
- 14 বাচা বাবার মাজার (কাউখালী দরবার শরীফ), বাচাশাহনগর, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের গোচরা চৌমুহনী থেকে দক্ষিণ দিকে রিক্সা, অটোরিক্সা বা পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়।)। দরগাহটি সুফি সাধক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন (রহ.)'র, তিনি বাচা বাবা নামে ভক্তদের কাছে অধিক পরিচিত।
- 15 বেতাগী বড়ুয়াপাড়া, ৫নং ওয়ার্ড, বেতাগী (চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের গোচরা চৌমুহনী থেকে দক্ষিণ দিকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে আমানউল্লাহ সড়ক হয়ে সরাসরি বড়ুয়াপাড়া যাওয়া যায়।)। ৫ম শতকের কালো পাথরের বুদ্ধমূর্তি সংরক্ষিত আছে এখানে, এটি সাগর বুদ্ধ নামে পরিচিত।
- 16 রাহাতিয়া দরবার শরীফ, পূর্ব সৈয়দবাড়ি, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া কলেজ গেইট থেকে দক্ষিণ দিকে কলেজ রোড হয়ে রিক্সা অথবা পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়।)। দরবারটি সুফি সাধক রাহাতুল্লাহ নক্সবন্দী (রহ.)'র নামে পরিচিত, এখানে ওনার পুত্রদ্বয় নুরুচ্ছাফা নঈমী (রহ.) ও বিসমিল্লাহ শাহ (রহ.)'র মাজারও রয়েছে, ওনারাও সুফি সাধক ছিলেন।
- 17 শিলক ও পদুয়া রাবার ড্যাম প্রকল্প, শিলক-পদুয়া (চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের গোডাউন থেকে দক্ষিণ দিকে ব্রিজ পার হয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে সরাসরি শিলক ও পদুয়ার আলাদা এই রাবার ড্যাম প্রকল্প দুটিতে যাওয়া যায়।)। প্রকল্প দু'টির ফলে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের এই দুই ইউনিয়নের শত শত হেক্টর অনাবাদী জমি চাষের আওতায় এসেছে।
- 18 শেখ রাসেল পক্ষিশালা ও ইকোপার্ক (শেখ রাসেল এভিয়েরী পার্ক), দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুর, হোসনাবাদ (চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান পার হয়ে ২ কিলোমিটার উত্তরে মূল সড়ক সংলগ্ন এ পার্কে যে কোন পরিবহনে যাওয়া যায়)। ০৯:০০-১৮:০০, মঙ্গলবার বন্ধ। এশিয়ার ২য় বৃহত্তম ক্যাবল কার রাঙ্গুনিয়ায় তৈরি করা হয়েছে। শেখ রাসেল এভিয়েরী পার্কে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটক আসে। বৃক্ষাচ্ছাদিত সবুজ পাহাড়ি বনে উড়ছে হাজার হাজার পাখি। পাখিদের কলতানে মুখরিত পুরো বন। মাথার সিঁথির মতো বুনো পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিনোদন পিয়াসী মানুষ। পুরো এলাকা ভরে যাচ্ছে সবুজে। এ পার্ককে ঘিরে এলাকাটিতে গড়ে উঠছে সম্ভাবনাময় বিনোদন কেন্দ্র। ঘটছে দেশি বিদেশি পর্যটকদের আগমন। প্রবেশমূল্য ৳২৩, ক্যাবল কারের টিকেটের মূল্য ৳২৩০।
- 19 সুখবিলাস, রাজারহাট, পদুয়া (উপজেলা সদর থেকে গোডাউন ব্রিজ পার হয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে সরাসরি পদুয়া রাজারহাট অথবা চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট পার হয়ে বাঙ্গালহালিয়া বাজার হয়ে যাওয়া যায়।)। আঠারো শতকের চাকমা রাজা সুখদেব রায়ের রাজধানী পদুয়ার এ অঞ্চলে নির্মিত বিলাসবহুল রাজবাড়ি নির্মাণ করে রাজার নামে নামকরণ করা হয় সুখবিলাস, এখনো সেই রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
কোথায় থাকবেন
সম্পাদনারাঙ্গুনিয়ায় থাকার জন্য সরকারি পরিচালনাধীন উপজেলা পরিষদ ডাক বাংলো ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানাধীন সুলভ মূল্যে থাকার মত হোটেল রয়েছে।
খাওয়া দাওয়া
সম্পাদনারাঙ্গুনিয়ার কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন চন্দ্রঘোনা, মরিয়মনগর, রোয়াজারহাট, ইছাখালী, গোচরা ইত্যাদি এলাকায় ও রাঙ্গামাটি সড়ক সংলগ্ন রাণীরহাট এলাকায় যে কোন রেস্টুরেন্টে সুলভ মূল্যে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।