মির্জাগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ১৭৫.৪৫ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২২°১৩´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২২°২৯´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৯০°০৮´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯০°১৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে বাকেরগঞ্জ উপজেলা; দক্ষিণে বরগুনা সদর উপজেলা; পূর্বে রাজগঞ্জ নদী ও পটুয়াখালী সদর ও দুমকি উপজেলা এবং পশ্চিমে বেতাগী উপজেলা।
কীভাবে যাবেন?
সম্পাদনারাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ২১৮ কিলোমিটার এবং জেলা সদর হতে ১৭ কিলোমিটার। এই জেলাটি একটি উপকূলীয় ও নদীবহুল অঞ্চল হওয়ায় এখানকার যেকোনো স্থানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, সড়ক পথেও এখানে আসা সম্ভব; সেক্ষেত্রে ফেরী পারাপার হতে হবে। পটুয়াখালীতে রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।
সড়কপথে
সম্পাদনাঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে যেসব গাড়ি ছেড়ে যায় সেগুলোতে বরিশাল-বাকেরগঞ্জ-মির্জাগঞ্জ-চান্দখালী-বরগুনা মহাসড়কে আসা যায়। এই রুটে গাড়িগুলো হল এসি চেয়ার কোচ, হিনো চেয়ার কোচ ও নরমাল চেয়ার কোচ। এসি চেয়ার কোস ও হিনো চেয়ার কোচগুলো গুলো ফেরী পারাপার এবং নরমাল চেয়ার কোসগুলো লঞ্চ পারাপার। এছাড়া লোকাল পথেও বরিশাল হয়ে যাওয়া যায়।
নৌপথে
সম্পাদনাঢাকা সদরঘাট নদী বন্দর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে পটুয়াখালীর লঞ্চ আছে, সেগুলোতে করে আসা যায়। এছাড়াও বরগুনা/ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে যেসব লঞ্চ ছেড়ে যায় সেগুলোতে আসা যায়; বা বরিশালগামী লঞ্চে এসে সেখান থেকে লোকাল নৌযানে আসা যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ
সম্পাদনা- মির্জাগঞ্জের ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার,
- মজিদবাড়ীয়ায় একগম্বুজ শাহী মসজিদ,
- রাধাগোবিন্দ মন্দির (কাঁঠালতলী)।
খাওয়া - দাওয়া
সম্পাদনাথাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান
সম্পাদনামির্জাগঞ্জে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -
- জেলা পরিষদ ডাকবাংলো - মির্জাগঞ্জ।
জরুরি নম্বরসমূহ
সম্পাদনা- ওসি, মির্জাগঞ্জ: মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩২৪।