পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রাম

মন্দারমণি (বা মানন্ডিনী, মান্ডারবাণী) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি সমুদ্র সৈকত।

কীভাবে যাবেন সম্পাদনা

নিকটতম রেল স্টেশনটি কাঁথি। আর নিকটতম বিমানবন্দরটি কলকাতায় অবস্থিত। অতীতে, মন্দারমণির শেষ ৬ কিলোমিটারের জন্য কোন সঠিক রাস্তা ছিল না, যা আপনাকে সৈকতে নিয়ে যাবে। যাইহোক, সম্প্রতি একটি সংকীর্ণ কিন্তু সমস্ত আবহাওয়া ব্যবহারের উপযুক্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে, যা আপনাকে সরাসরি হোটেল এবং রিসর্টে নিয়ে যায়। যদি আপনি একটি গাড়ি বা জীপে ভ্রমণ করেন আপনি এখনও সৈকত বরাবর চালাতে পারেন; তবে, মনে রাখবেন যে, সমুদ্র সৈকতে ড্রাইভিংটি স্থানীয় বাস্তুসংস্থানে একটি গুরুতর প্রতিকূল প্রভাব রয়েছে, এটি সৈকতগুলির বায়ুমণ্ডলকে ক্ষতি করে। সমুদ্র সৈকতে ড্রাইভিং করার সময়, সাগরের দিক থেকে দূরে থাকা বা স্থাপন করা ট্র্যাকে গাড়ি রাখা বা আপনি কাদা বা বালির জন্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

রাস্তা ধরে সম্পাদনা

 
ধর্মতলায় মন্দারমণি যাওয়ার সরকারি বাস গুমটি

সড়কপথে মন্দারমণি যেতে গেলে নিজস্ব গাড়িতে যাওয়া যায় অথবা ভাড়া গাড়ি বা বাসে যাওয়া যেতে পারে। কলকাতা থেকে দূরত্ব মোটামুটি ১৭৩ কিমি। কলকাতার গড়িয়া, ধর্মতলা, সল্ট‌লেক করুণাময়ী ইত্যাদি জায়গা থেকে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ধরণের বাসের পরিষেবা পাওয়া যায়। তবে কলকাতার বাস যেখান থেকেই ছাড়ুক সবই সাধারণত ধর্মতলা হয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যায়। সাধারণ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত উভয় ধরণের বাসই রয়েছে। ২০২৩ সালের হিসেব অনুযায়ী ভাড়া ১৪৫ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। অধিকাংশ বাসই মন্দারমণি যাবার পথে চাউলখোলা মোড়ে নামিয়ে দিয়ে দীঘা চলে যায়। একটি দুটি বাস মন্দারমণি বাসস্ট্যাণ্ড পর্যন্ত যায়। চাউলখোলা মোড় থেকে মন্দারমণির দূরত্ব মোটামুটি ১৬ থেকে ১৮ কিমি, হোটেল বা রিসর্ট কোথায় আছে তার ওপর নির্ভর করে। এই পথে টোটো এবং অটো দুটিই চলে। ভাড়া মাথাপিছু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। পুরো বুক করে গেলে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। পুরো বুক করলে হোটেল বা রিসর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দেবে। নাহলে মন্দারমণির শুরুতে যে বিখ্যাত শীতলা মন্দির আছে সেখান পর্যন্ত নিয়ে যাবে।

থাকার জায়গা সম্পাদনা

মন্দারমণিতে বিভিন্ন বাজেটের হোটেল এবং রিসর্ট রয়েছে, প্রতিদিনের ভাড়া ১,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪,৫০০ বা ৫,০০০ টাকা অথবা তার বেশিও হতে পারে। সপ্তাহান্তে শুক্রবার থেকে রবিবার ভাড়া বেশি থাকে। অনেক রিসর্টের সঙ্গেই সুমিং পুল আছে। শীতলা মন্দির থেকে শুরু করে সোজা যে রাস্তা চলে গেছে তার বাঁদিকের হোটেলগুলি পড়ছে সমুদ্র সৈকতের ধারে। ডান দিকের হোটেলগুলি সৈকত থেকে একটু দূরে পড়বে। বাঁদিকের রিসর্টগুলি সৈকত লাগোয়া হওয়ায় সৈকতগুলি খানিকটা রিসর্টের নিজস্বই বলা চলে, অর্থাৎ খুব বেশি ভিড় থাকেনা।

দেখুন সম্পাদনা

মন্দারমণি সৈকতে রয়েছে লাল কাঁকড়ার আবাস, বিশেষ কিছু জায়গা জুড়ে দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় মানুষেরা বলে দিতে পারবেন। তবে তাদের দেখতে চাইলে কড়া সূর্যের আলোয় যেতে হবে, আলো পড়ে গেলে আর দেখা যায়না।

কিনুন সম্পাদনা

মন্দারমণির প্রবেশ মুখে অর্থাৎ শীতলা মন্দিরের কাছে ছোট একটি বাজার আছে, যেখান থেকে কিছু স্মারক সংগ্রহ করতে পারেন। ঝিনুক বা শাঁখের সামগ্রী, মুক্তোর জিনিস পাওয়া যায়। এছাড়া পাওয়া যায় মাদুর, যা অনেকেই কিনে নিয়ে যান।

আহার করুন সম্পাদনা

মন্দারমণির মুখে শীতলা মন্দির অঞ্চলে বেশ কিছু দোকানপাট এবং খাবার জায়গা রয়েছে, বেশ কিছু থাকার জায়গাও আছে। এখানে থাকলে খাবার অনেক বিকল্প পাওয়া যাবে, কিন্তু অনেকটা ভেতর দিকে চলে গেলে খাবার জন্য মূলত হোটেল বা রিসর্টের ওপরেই নির্ভর করতে হবে। খাবার খরচও একটু বেশির দিকেই।