আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত আরব রাষ্ট্র
আফ্রিকা > মিশর
রাজধানী কায়রো
মুদ্রা মিশরীয় পাউন্ড (EGP)
জনসংখ্যা ৯৪.৭ মিলিয়ন (2017)
বিদ্যুৎ ২২০ ভোল্ট / ৫০ হার্জ (ইউরোপ্লাগ, Schuko)
দেশের কোড +20
সময় অঞ্চল ইউটিসি+০২:০০, ইউটিসি+০৩:০০
জরুরি নম্বর 122 (পুলিশ), 123 (জরুরি চিকিৎসা সেবা), 180 (দমকল বাহিনী)
গাড়ি চালানোর দিক ডান
উইকিউপাত্তে সম্পাদনা করুন

মিশর উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ। তবে এর সিনাই উপদ্বীপ এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত। মিশরের উত্তর-পূর্বদিকে ইসরাইল, দক্ষিণ দিকে সুদান এবং পশ্চিম দিকে লিবিয়া অবস্থিত।

মিশর সবচেয়ে বেশি পরিচিত প্রাচীন মিশরীয় নগরায়ন, মিশরীয় শিল্পকলা, হায়ারোগ্লিফ এবং আরও বেশি পরিচিত এর পিরামিডসমূহের জন্য। এই দেশটি ইসলাম ও খ্রিষ্টান ধর্মের বিভিন্ন মধ্যযুগীয় ঐতিয্যের জন্যও পরিচিত। বরাবরই মিশর ভ্রমণকারীদের জন্য একটি অকর্ষণীয় স্থান।

অঞ্চল সম্পাদনা

শহর সম্পাদনা

পর্যটন সম্পাদনা

বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা

মিশর পিরামিডের জন্যই ভ্রমণকারীদের নিকট বেশি জন্যপ্রিয়। এই দেশটি আরবি-ভাষাভাষী দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তম এবং আফ্রিকার শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্য অন্যতম।

ইতিহাস সম্পাদনা

মিশরের পূর্ব এবং পশ্চিমের মরুভূমিতে হওয়া নীল নদের বন্যা একে পৃথিবীর অন্যতম একটি নগরায়নের দিকে এগিয়ে দেয়। ৩২০০ খৃষ্টপূর্বে একদল শাসক মিশরে দীর্ঘদিন পর্যন্ত রাজত্ব করে। সর্বশেষ রাজত্বের পতন হয় ৩৪১ খ্রিষ্টপূর্বে এবং তাদের পরিবর্তে আসে গ্রিক এবং রোমানরা। সপ্তম শতাব্দীতে আরবরা মিশরে ইসলাম ধর্ম ও আরবি ভাষার প্রসার ঘটায় এবং পরবর্তী ছয় শতাব্দী ব্যাপী শাসন করে। ১২৫০ সালের দিকে স্থানীয় মিলিটারিরা দেশটির নিয়ন্ত্রন নেয় এবং ১৫১৭ পর্যন্ত তা চলে। ১৮৬৯ সালে সুইজ খাল তৈরি হলে মিশর বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্য নগরিতে পরিণত হয় এবং একই সাথে হুমকির সম্মুখিন হয়। নিজেদের বিনিয়গ রক্ষার জন্য ১৮৮২ সালে বৃটেন এটি নিয়ন্ত্রণ করে। ১৯২২ সালে মিশর যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয় এবং স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৭০-এর দশকে মিশরীয়রা নীলনদকে ব্যবহার করে কৃষিকাজ শুরু করে। দ্রুতগতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি এবং নীলনদের উপরে নীর্ভরশীলতা মিশরে সমাজ তৈরি বাধ্যতামূলক করে। মিশরের সরকার ও প্রশাসন যোগাযোগ খাতসহ বিভিন্ন খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়গের মাধ্যমে ও অনেক কষ্ট করে মিশরের অর্থনীতিকে একুশ শতকের যোগ্য করে তোলে।

আবহাওয়া সম্পাদনা

ছুটির দিনসমূহ সম্পাদনা

নিম্নোক্ত দিনসমূহে মিশরের ব্যাংক, দোকান ইত্যাদি বন্ধ থাকে:

  • ৭ জানুয়ারি- Eastern Orthodox Christmas
  • ২৫ জানুয়ারি- মিশরীয় বিপ্লব দিবস
  • ২৫ এপ্রিল- সিনাই মুক্তি দিবস
  • ১ মে- শ্রমিক দিবস
  • ২৩ জুলাই- জুলাই বিপ্লব দিবস
  • ৬ অক্টবর- সশস্ত্র বাহিনী দিবস
  • ১ শাওয়াল (হিজরী ১০ম মাস)- ঈদুল ফিতর
  • ১০ যিলহজ (হিজরী ১২তম মাস)- ঈদুল আজহা
  • রমযান (হিজরী ৯ম মাস) মাসব্যাপী শ্রমিকরা অল্পসময় কাজ করে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পাদনা

আকাশপথ সম্পাদনা

স্থলপথ সম্পাদনা

নৌপথ সম্পাদনা

খাদ্য সম্পাদনা

পানীয় সম্পাদনা

পানি সম্পাদনা

মিশরের সব স্থানেই বোতলের পানি পাওয়া যায়। স্থানীয় ব্রান্ডের পাশাপাশি বিদেশি ব্রান্ডের বোতলের পানিও পাওয়া যায় যদিও তা কম পাওয়া যায় এবং দাম কিছুটা বেশি।

এটা কোনো ব্যাপার নয় যে আপনি কোন স্থান থেকে পানি কিনেছেন, সেটি নেওয়ার পূর্বে দেখে নিন যে বোতলের মুখ প্লাস্টিকের সীল দিয়ে বন্ধ করা রয়েছে। কারণ খালি বোতল সংগ্রহ করে ট্যাপের পানি দ্বারা তা ভর্তি করা খুবই সাধারণ ব্যাপার এবং যা আপনাকে অসুস্থ করতে পারে। যদিও সব ব্রান্ডের পানির বোতলই প্লাস্টিকের সীল দিয়ে বন্ধ করা হয় না কিন্তু বেশীরভাগ ভালো ব্রান্ডই এই কাজটি করে।

ফলের রস সম্পাদনা

মদ জাতীয় পানীয় সম্পাদনা

রাত্রিযাপন সম্পাদনা

মিশরে রাত্রিযাপন করার জন্য সাধারণ হোস্টেল থেকে পাঁচ-তারা হোটেল সবই রয়েছে। দেশটির ভালো হোটেলগুলোর অধিকাংশই কাইরো, শের্ম এল শেখ, লুক্সর ইত্যাদি শহরে অবস্থিত। রাত্রিযাপনের জন্য হোটেলগুলোর অধিকাংশই অনলাইনে ভাড়া করা সম্ভব। এছাড়াও স্থানীয় কোনো লোকের সাহায্য নিয়েও সেখানে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করা সম্ভব।