মান্দারবাড়ীয়া সমুদ্র সৈকত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Abu Sayeem Mahfooz Khan (আলোচনা | অবদান)
নতুন নিবন্ধ
সংশোধন
১ নং লাইন:
'''মান্দারবাড়ীয়া''' [[সাতক্ষীরা জেলা|সাতক্ষীরা জেলায়]] অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের তীরভূমি জুড়ে ৮ কিলোমিটার লম্বা এক নয়নাভিরাম বালুকাময় সমুদ্র সৈকতসৈকত। এর নাম।এখানে একই সাথে বন এবং সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য উপভোগের একউপভোগ অসামান্যকরা উদাহরণ।যায়।
 
==কি দেখবেন ==
সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর নৌঘাট থেকে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব আনুমানিক ৭৫ কিলোমিটার। এই ৭৫/৮০ কিলোমিটার পথের পুরাটাই সুন্দরবনের বুক চিরে যাওয়া বিভিন্ন নদীর মাঝ দিয়ে যেতে হবে এবং নদীর জলরাশির গর্জন নেশা ধরিয়ে দেবার জন্যে যথেষ্ট।
 
নীলডুমুর ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে খোলপেটুয়া - কপোতাক্ষ নদের সঙ্গমস্থলের পাশ কাটিয়ে কলাগাছিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, মালঞ্চ নদী হয়ে পৌঁছতে হবে মান্দারবাড়িয়ায়। এই যাত্রাপথ পাওয়া যাবে আরো বিশাল নদী যার উভয় পাশেই দেখা যাবে চিরহরিৎ সুন্দরবন। সবুজের রাজ্য আপনার চোখ জুড়িয়ে দিবে। সুন্দরী, কেওড়া, বাইন, পশুর, গরান, গোলপাতা, সিংড়া, হেতাল, খলসী, গেওয়া গাছের সম্মিলনে এখানে ঘটেছে সবুজের মিলনমেলা। ম্যানগ্রোভ ফরেষ্টের শ্বাসমূল আর সেখানে হরিণসহ নানা প্রাণীর ছুটে চলা আপনাকে বিমোহিত করে রাখবে। নয়ন ভরে দেখার মত সে দৃশ্য। পানকৌড়ি আর বালিহাসের উড়ে যাওয়া দেখতে দেখতে পৌছে যাবেন মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে।
 
প্রায় ৮ কিলোমিটার লম্বা মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত ছবির মত সুন্দর, অসম্ভব ভালোলাগার আচ্ছন্নতায় মুগ্ধ করে দিবে। কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়া, ইনানী, সেন্টমার্টিন সহ বঙ্গপোসাগরের যেকোন সৈকত থেকে মান্দারবাড়িয়া দিবে ভিন্ন স্বাদ দেখেছেন। [[সুন্দরবন|সুন্দরবন]] এখানে সমুদ্রের সাথে মিশে গড়ে তুলেছে এক অনন্য বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য্য লীলাভূমি এবং এই কারনেই মান্দারবাড়িয়া অন্য সৈকতগুলো থেকে একেবারেই আলাদা, অপূর্ব সৌন্দর্য ঘেরা এক জায়গা। পিছনে বাঘের ভয় আর সামনে অসম্ভব ভালোলাগার হাতছানি দেয়া সমুদ্র, বিস্তীর্ণ সৈকত, সবুজ রহস্যে ঘেরা বন। পর্যটকেরা এখানে নির্জন সৈকতে নিজেকে নষ্টালজিয়ার জালে জড়িয়ে খুঁজে পাবেন ভিন্ন এক অনুভূতি। সৈকতের বুকে হরিণ আর বাঘের পায়ের ছাপ সে সম্মোহনকে আরও বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুন।
 
==কিভাবে যাবেন==
ঢাকার শ্যামলী থেকে সাতক্ষীরার বাস ধরে সাতক্ষীরা/শ্যামনগর যেতে হবে। ভাড়া এসি ১২০০, নন এসি ৫০০ টাকা। ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার দূরত্ব ৩৪৩ কিলোমিটার। সাতক্ষীরা সদর থেকে বুড়িগোয়ালীনি ৭০ কিলোমিটার। সহজে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুরস্থ নৌঘাট থেকে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা, স্টিমার বোটে করে শীত মৌসুমে (অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সময়ে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে। স্টিমার বা ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৬/৭ ঘণ্টা। স্পিড বোট যোগে বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর থেকে মান্দারবাড়িয়া পৌঁছাতে সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।
 
===নন এসি বাস===
৪৯ ⟶ ৪২ নং লাইন:
| এ কে ট্রাভেলস|| ১২০০ টাকা
|}
 
==কি দেখবেন ==
সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর নৌঘাট থেকে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব আনুমানিক ৭৫ কিলোমিটার। এই ৭৫/৮০ কিলোমিটার পথের পুরাটাই সুন্দরবনের বুক চিরে যাওয়া বিভিন্ন নদীর মাঝ দিয়ে যেতে হবে এবং নদীর জলরাশির গর্জন নেশা ধরিয়ে দেবার জন্যে যথেষ্ট।
 
নীলডুমুর ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে খোলপেটুয়া - কপোতাক্ষ নদের সঙ্গমস্থলের পাশ কাটিয়ে কলাগাছিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, মালঞ্চ নদী হয়ে পৌঁছতে হবে মান্দারবাড়িয়ায়। এই যাত্রাপথ পাওয়া যাবে আরো বিশাল নদী যার উভয় পাশেই দেখা যাবে চিরহরিৎ সুন্দরবন। সবুজের রাজ্য আপনার চোখ জুড়িয়ে দিবে। সুন্দরী, কেওড়া, বাইন, পশুর, গরান, গোলপাতা, সিংড়া, হেতাল, খলসী, গেওয়া গাছের সম্মিলনে এখানে ঘটেছে সবুজের মিলনমেলা। ম্যানগ্রোভ ফরেষ্টের শ্বাসমূল আর সেখানে হরিণসহ নানা প্রাণীর ছুটে চলা আপনাকে বিমোহিত করে রাখবে। নয়ন ভরে দেখার মত সে দৃশ্য। পানকৌড়ি আর বালিহাসের উড়ে যাওয়া দেখতে দেখতে পৌছে যাবেন মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে।
 
প্রায় ৮ কিলোমিটার লম্বা মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত ছবির মত সুন্দর, অসম্ভব ভালোলাগার আচ্ছন্নতায় মুগ্ধ করে দিবে। কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়া, ইনানী, সেন্টমার্টিন সহ বঙ্গপোসাগরের যেকোন সৈকত থেকে মান্দারবাড়িয়া দিবে ভিন্ন স্বাদ দেখেছেন। [[সুন্দরবন|সুন্দরবন]] এখানে সমুদ্রের সাথে মিশে গড়ে তুলেছে এক অনন্য বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য্য লীলাভূমি এবং এই কারনেই মান্দারবাড়িয়া অন্য সৈকতগুলো থেকে একেবারেই আলাদা, অপূর্ব সৌন্দর্য ঘেরা এক জায়গা। পিছনে বাঘের ভয় আর সামনে অসম্ভব ভালোলাগার হাতছানি দেয়া সমুদ্র, বিস্তীর্ণ সৈকত, সবুজ রহস্যে ঘেরা বন। পর্যটকেরা এখানে নির্জন সৈকতে নিজেকে নষ্টালজিয়ার জালে জড়িয়ে খুঁজে পাবেন ভিন্ন এক অনুভূতি। সৈকতের বুকে হরিণ আর বাঘের পায়ের ছাপ সে সম্মোহনকে আরও বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুন।
 
==কোথায় থাকবেন==