সাজেক উপত্যকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পূর্ণাঙ্গ শ্বদের ব্যবহার
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
পরিষ্কারকরণ
৩ নং লাইন:
[[চিত্র:SajekSight 05.jpg|thumb|মেঘে আচ্ছন্ন পর্বতশ্রেণী]]
'''সাজেক ভ্যালি''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[রাঙ্গামাটি জেলা|রাঙ্গামাটি জেলার]] [[বাঘাইছড়ি উপজেলা|বাঘাইছড়ি উপজেলার]] অন্তর্গত [http://greenbelt.com.bd/sajek-valley/ সাজেক ভ্যালি] সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ। সাজেক ভ্যালি [[রাঙামাটি]] জেলার সর্বউত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা , দক্ষিণে রাঙামাটির লংগদু , পূর্বে ভারতের মিজোরাম , পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা অবস্থিত । সাজেক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন ; যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল । এখানে '''সাজেক বিজিবি ক্যাম্প''' অবস্থিত । সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচুতে অবস্থিত বিজিবি ক্যাম্প । বিজিবি সদস্যদের সুষ্ঠ পরিকল্পনায় , বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের দ্বারাই বর্তমান সাজেকের এই ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভম হয়েছে । বর্তমানে সাজেকে ভ্রমণরত পর্যটকদের জন্য প্রায় সকল ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় । সারাবছরই সাজেক যাওয়া যায়। আর সাজেকে পাহাড়ধস বা রাস্তাধস এরকম কোন ঝুকি নেই । সাজেক '''রুইলুইপাড়া ''' এবং '''কংলাক পাড়া''' এই দুটি পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত । ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত '''রুইলুই পাড়ার''' উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭২০ ফুট । আর ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত [[কংলাক পাহাড়]]-এ '''কংলাক পাড়া''' অবস্থিত । সাজেকে মূলত লুসাই ,পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা আদিবাসী বসবাস করে । সাজেকের কলা ও কমলা বেশ বিখ্যাত । রাঙামাটির অনেকটা অংশই দেখে যায় সাজেক ভ্যালি থেকে । তাই সাজেক ভ্যালিকে বলা হয় '''রাঙামাটির ছাদ''' ।
 
'''থাকার ব্যবস্থা'''
 
==যাতায়াত==
[[খাগড়াছড়ি জেলা]] সদর থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার । আর দীঘিনালা থেকে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার । রাঙামাটি থেকে নৌপথে কাপ্তাই হয়ে এসে অনেক পথ হেঁটে সাজেক যাওয়া যায় । সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও এর যাতায়াত সুবিধা খাগড়াছড়ি থেকে । [[খাগড়াছড়ি]] শহর অথবা দীঘিনালা হতে স্থানীয় গাড়িতে ( জিপ গাড়ি , সি.এন.জি , মটরসাইকেল ) করে সাজেকে যাওয়াই হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যেম । এক্ষেত্রে পথে পরবে '''১০ নং বাঘাইহাট পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্প''' । সেখান থেকে ভ্রমণরত সদস্যদের তথ্য দিয়ে সাজেক যাবার মূল অনুমতি নিতে হবে । একে '''আর্মি এসকর্ট''' বলা হয় । আর্মিগণের পক্ষ থেকে গাড়িবহর দ্বারা পর্যটকদের গাড়িগুলোকে নিরাপত্তার সাথে সাজেক পৌছে দেয়া হয় । দিনের দুইটি নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত আর্মি ক্যাম্পের পক্ষ হতে সাজেক যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না । পর্যটকদের সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই এই নিয়ম অনুসরণ করা হয় । সাজেকগামী জিপ গাড়িগুলো স্থানীয়ভাবে '''চান্দের গাড়ি''' নামে পরিচিত । সাজেক যাওয়ার পথে '''বাঘাইহাটে''' [[হাজাছড়া ঝর্ণা]] অবস্থিত । অনেক পর্যটকগণ মূল রাস্তা হতে সামান্য ট্রেকিং করে গিয়ে ঝর্ণাটির সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকেন ।
[[চিত্র:SajekSight 07.jpg|thumb|মেঘে ঢাকা সাজেকের প্রকৃতি]]
 
==সর্তকতা==
সাজেকগামী রাস্তা পাহাড়ী বলে , পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ি চালানো অভিজ্ঞতা বিহীন চালকদের নিয়ে না যাওয়াই উত্তম । এক্ষেত্রে স্থানীয় '''জিপ গাড়ি ( চান্দের গাড়ি )''' ভাড়া করার পরামর্শ দেয়া হয় । সাজেকে পানি কিছুটা অপ্রতুল এবং প্রবন্ধ সম্পাদনকালীন পর্যন্ত সাজেকে এখনো সাজেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই ; পর্যটকদের থাকার কটেজগুলোতে '''সোলার সিস্টেম''' ব্যবহার করা হয় । সাজেকের আদিবাসীগণ অত্যন্ত বন্ধুসুলভ , তাই পর্যটকদেরকেও আদিবাসীদের সাথে সুলভ আচরণ করার ও আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা , সংস্কৃতি , পোষাক ইত্যাদি নিয়ে কোনো প্রকার বিরূপ মন্তব্য না করার অনুরোধ করা হয় । নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতেই পর্যটকদের '''বিজিবি ''' প্রদত্ত পরামর্শগুলো মেনে চলা বাঞ্চনীয় ।