বিলোনিয়া হল ভারতের অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার এক শহর। এখানেই দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সদর দফতর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের যে সমস্ত জায়গা আগে আছে, তার মধ্যে অন্যতম হল বিলোনিয়া। আর সেই কারণেই নিকট অতীতে রাজ্যের শাসনতান্ত্রিক পুনর্গঠনের সময় ত্রিপুরা দক্ষিণ জেলার সদর দফতর হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে এই বিলোনিয়াকে।
সবুজে মোড়া টিলাতে অজস্র গাছগাছালিতে ভরা দেখে কবির ভাষায় বলাই যায়―‘সবুজের বনে এত টিয়া, জায়গাটা হল বিলোনিয়া’! ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে যাঁরা প্রকৃতি প্রেমিক/প্রেমিকা, তাঁদের কাছে অবশ্য গন্তব্য হল বিলোনিয়া। সুন্দরী ত্রিপুরার এক ঝলক পেতে হলে আপনাকে যেতেই হবে বিলোনিয়ায়।
কীভাবে যাবেন?
সম্পাদনা- ভারতের যে-কোনো জায়গা থেকে রেল ও বিমানপথে এখন ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় যাওয়া যায়। আগরতলা থেকে বাসে সরাসরি বিলোনিয়া।
- বাংলাদেশ (ঢাকা) থেকে বাসে আগরতলা হয়ে বিলোনিয়া যাওয়া যায়।
- আগরতলা থেকে চার চাকার ভাড়া গাড়িতে বিলোনিয়া আনুমানিক ১০০ কিলোমিটার। আগরতলা থেকে সড়কপথে দুভাবে বিলোনিয়া যাওয়া যায়। বিশালগড়, বিশ্রামগঞ্জ হয়ে বীরচন্দ্র মনু থেকে পাইখোলা দক্ষিণ ভারতচন্দ্র নগর হয়ে বিলোনিয়া; এই পথের দূরত্বও কম। আবার আগরতলা-সাব্রুম সড়ক ধরে বিশালগড়, বিশ্রামগঞ্জ, বীরচন্দ্র মনু, শান্তির বাজার হয়েও বিলোনিয়া যাওয়া যায়। তবে এটা ঘুরপথ।
কোথায় থাকবেন?
সম্পাদনা- দক্ষিণ ত্রিপুরার হেডকোয়ার্টার হওয়ার সুবাদে বিলোনিয়ায় থাকার হোটেল সহজলভ্য। এছাড়া উদয়পুরে ত্রিপুরা ট্যুরিজমের ‘গুণবতী যাত্রীনিবাস’ কিংবা আগরতলায় যে-কোনো হোটেলে থাকতে পারেন।
কোথায় বেড়াবেন?
সম্পাদনা- 1 তৃষ্ণা অভয়ারণ্য। তৃষ্ণা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটি ত্রিপুরা একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এটি প্রায় ১৬৩.০৮ বর্গ কিলোমিটার (৬২.৯৭ বর্গ মাইল) এলাকা জুড়ে রয়েছে। এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের প্রধান প্রজাতির প্রাণী হলো বাইসন হল। এর জন্য এটি বেশি পরিচিত। আর এক আকর্ষণ হল বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রাণী ‘হুলক গিবন’।
- 2 বাটারফ্লাই পার্ক (বাটারফ্লাই ইকো পার্ক)। সকাল ৯:০০ থেকে বিকল ৫.০০ (মঙ্গলবার বন্ধ)। তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের কাছে চোত্তাখোলায় বাটারফ্লাই ইকোপার্ক অবস্থিত। উত্তর-পূর্বের প্রথম এই ধরনের পার্ক।
- বিলোনিয়া টাউন হল
- মুহুরিপুরের রাজরাজেশ্বরী মন্দির
কোথায় খাবেন?
সম্পাদনা- বিলোনিয়া বাজারের হোটেলে সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়।
কী কিনবেন?
সম্পাদনা- স্থানীয় দোকানে দক্ষিণ ত্রিপুরার তাঁতের বিভিন্ন পোশাক, ঝালর, সামিয়ানা, আর নজরকাড়া ত্রিপুরার বাঁশের হস্তশিল্পের নানা জিনিস পেয়ে যাবেন।