বিজয়নগর উপজেলা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ২৩°৫১´ উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৪°০৬´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৯১°২০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ হতে ৯২°১০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত এই উপজেলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হতে ৩৫ কিলোমিটার দূরে জেলার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এর উত্তরে নাসিরনগর উপজেলা; দক্ষিণে আখাউড়া উপজেলা; পূর্বে মাধবপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা।
বর্ণনা
সম্পাদনাবিজয়নগর উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি নবসৃষ্ট উপজেলা এবং সুপ্রাচীন জনপদ। ২০১০ সালের ৩রা আগস্টে ৪৮২তম উপজেলা হিসেবে এর প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, পূর্বে উপজেলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
কীভাবে যাবেন
সম্পাদনাবাসে করে
সম্পাদনাবিজয়নগর উপজেলায় যেতে হলে দেশের যেকোন স্থান হতে চান্দুরা এসে সেখান থেকে স্থানীয় বাহনে উপজেলা সদর যেতে হবে।
রেলে করে
সম্পাদনাঢাকা-সিলেট বা ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ট্রেনে আখাউড়া বা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া এসে এবং লোকাল ট্রেনে মুকুন্দপুর ও হরষপুর যেয়ে সেখান হতে চান্দুরা দিয়ে স্থানীয় বাহনে উপজেলা সদর যেতে হবে।
লঞ্চে করে
সম্পাদনাদেশের যেকোন স্থান হতে জেলা সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে সেখানকার গোকর্ণ ঘাট হতে লঞ্চযোগে উপজেলা সদর যেতে হবে।
ঘুরে দেখুন
সম্পাদনাদর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা
সম্পাদনা- শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভূপেশ চৌধুরী গণগ্রন্থাগার - ইছাপুরা;
- তোফায়েল মোহাম্মদ স্মৃতিসৌধ - পাহাড়পুর;
- তিতাস নদীর তীর।
খাওয়া-দাওয়া
সম্পাদনাবিজয়নগরে-এ স্থানীয় পর্যায়ের বিশেষ কোনো বিখ্যাত খাদ্য নেই। তবে স্থানীয় লেবু, কাঠাল, লিচু এবং লটকনের বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। হাওড় এলাকা বলে প্রচুর মাছ পাওয়া যায় এবং খামার ভিত্তিক হাঁস পালন করা হয়। এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়।
থাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান
সম্পাদনাবিজয়নগরে-এ থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সরকারি ব্যবস্থাপনাধীনের আবাসন ব্যবস্থা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- জেলা পরিষদ ডাক বাংলো - সরকারি ব্যবস্থাধীন।