বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের একটি জেলা

পাবনা জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল ও জেলা।

জানুন সম্পাদনা

১৭৯০ খ্রিস্টাব্দের দিকে জেলার বেশির ভাগ অংশ রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে পাবনা স্বীকৃতি লাভ করে। প্রত্নতাত্মিক কানিংহাম অনুমান করেন যে, প্রাচীন রাজ্য পুন্ড্র বা পুন্ড্রবর্ধনের নাম থেকে পাবনা নামের উদ্ভব হয়ে থাকতে পারে। তবে সাধারণ বিশ্বাস পাবনী নামের একটি নদীর মিলিত স্রোত ধারার নামানুসারে এলাকার নাম হয় পাবনা। পাবনা জেলা ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত।

কীভাবে যাবেন? সম্পাদনা

স্থলপথে সম্পাদনা

ঢাকা থেকে পাবনায় বাসে যাওয়া যায়। এসি বাসে খরচ পড়বে ৬০০ টাকা। আর নন-এসি বাসে খরচ পড়বে ৩০০ টাকা। উল্লেখযোগ্য বাস সেবাগুলি হল:

  • সি লাইন
  • পাবনা এক্সপ্রেস
  • সিলভার লাইন
  • শ্যামোলী এক্সপ্রেস
  • কাজিরহাট এক্সপ্রেস
  • গ্রিনলাইন এক্সপ্রেস
  • লাভ এক্সপ্রেস
  • শাহজাদপুর ট্রাভেলস

আকাশ পথে সম্পাদনা

ঈশ্বরদী উপজেলায় একটি বিমানবন্দর রয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঈশ্বরদীতে সপ্তাহে দুইবার বিমান পরিচালনা করত। তবে, এই মুহূর্তে কোনও উড়োজাহাজ কোম্পানি ঈশ্বরদীতে কোন বিমান পরিচালনা করছে না।

রেলপথে সম্পাদনা

পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল কাছাকাছি পাবনা রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত। কাছাকাছি রেল স্টেশনগুলি তেবুনিয়া, চাটমোহর উপজেলা ও ঈশ্বরদী উপজেলায় অবস্থিত। ঈশ্বরদী উপজেলা উত্তর বাংলার এবং বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি রেলওয়ে শাখা। এই জেলায় নয়টি রেলওয়ে স্টেশন আছে: ঈশ্বরদী, ঈশ্বরদী বাইপাস, পাকশি, মুলাদুলী, চাটমোহর, ভঙ্গুর, বরল সেতু, শারত নগর, দিলপশার এবং গুয়াকারা।

পাবনা শহরে কোন রেললাইন না থাকলেও কিছু ট্রেন ঈশ্বরদী মূল জংশনে থামে। চাটমোহর এবং ঈশ্বরদী রেল স্টেশন থেকে বাসে চড়ে সহজেই পাবনা শহরসহ পাবনার বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া সম্ভব। যেসব ট্রেনে চড়ে চাটমোহর কিংবা ঈশ্বরদী যাওয়া যায়:

  • খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস
  • খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস
  • রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস
  • রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস
  • রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস
  • দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস

জল পথে সম্পাদনা

নৌ-পথে ঢাকা থেকে পাবনা যাওয়ার সুযোগ এখন নেই।

দেখুন সম্পাদনা

 
পাবনা জেলার মানচিত্র
  • 1 জোড় বাংলা মন্দিরএটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। জোড় বাংলা মন্দিরটি ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। উপরের পাকা ছাদটি দোচালা প্রকৃতির। মন্দিরটির সামনে তিনটি প্রবেশ পথ রয়েছে যেগুলো ২টি স্তম্ভের সাহায্য নির্মাণ করা হয়েছে।    
  • 2 চাটমোহর শাহী মসজিদ    
  • 3 তাড়াশ ভবন (তাড়াশ রাজবাড়ী), আব্দুল হামিদ রোড, পাবনা, বাংলাদেশ (আতাইকুলা রোড বরাবর (অর্থাৎ ট্রাঙ্ক রোড))। ১৮শ শতকের কোন এক সময় তাড়াশ রাজবাড়ীটি নির্মাণ করেন তাড়াশের তৎকালীন জমিদার রায়বাহাদুর বনমালী রায়। স্থাপত্যের দিক দিয়ে এটির সাথে ইউরোপীয় রেনেসাঁ রীতির সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। এই ভবনের প্রবেশপথের দুপাশে রয়েছে ২টি করে বড় স্তম্ভ ও এর মাঝখানেই রয়েছে প্রবেশপথ।    
  • 4 হান্ডিয়াল জগন্নাথ মন্দিরখ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকে নির্মিত এই মন্দিরটির প্রধান আকর্ষণ এর অঙ্গসজ্জায় ব্যবহৃত টেরাকোটার ভাস্কর্য। মন্দিরের গায়ে পাওয়া শিলালিপি অনুসারে জানা যায়, ১৫৯০ সালে ভবানীপ্রসাদ নামে জনৈক এক ব্যক্তি মন্দিরটি সংস্কারের কাজ করেছিলেন।[    
  • লালন শাহ সেতু - ঈশ্বরদী;
  • হার্ডিঞ্জ ব্রিজ - ঈশ্বরদী;
  • পাবনা মানসিক হাসপাতাল;
  • পাকশী রিসোর্ট;
  • জোড় বাংলা মাজার - ভাঙ্গুড়া;
  • সমাজ শাহী মসজিদ
  • আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি (দুলাই)
  • শাহী মসজিদ (ভাড়ারা)
  • শ্রী শ্রী অনুকৃল চন্দ্র ঠাকুরের আশ্রম (হেমায়েতপুর)
  • নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস
  • বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র - ঈশ্বরদী;
  • পাবনা সুগার মিল্স - ঈশ্বরদী
  • সাঁড়া ঘাট;
  • ঈশ্বরদী বিমানবন্দর;
  • রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র;
  • নগরবাড়ী/নটাখোলা ঘাট (বেড়া)
  • স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল (শহর/বিসিক শিল্পনগরী)
  • পাকশী;
  • কাঞ্চন পার্ক - সুজানগর;
  • খয়রান ব্রীজ - সুজানগর)
  • প্রশান্তি ভুবন বিনোদন পার্ক (জালালপুর)
  • দুবলিয়া মেলা (দুর্গা পুজার সময়)
  • বড়াল ব্রীজ;
  • দীঘিরপিঠা - ফরিদপুর;
  • রাজা রায় বাহাদুরের বাড়ি - ফরিদপুর;
  • বেরুয়ান জামে মসজিদ - আটঘরিয়া;
  • বেড়া পাম্প স্টেশন - বেড়া;
  • বেড়া পোর্ট।

খাওয়া দাওয়া সম্পাদনা

এখানে জলযোগের খিঁচুড়ি আর শিঙাড়ার অনেক সুনাম রয়েছে। এছাড়া কিছু জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান রয়েছে, এখানের বনলতা সুইটসের দই, প্যারাডাইসের প্যাড়া সন্দেশ বিখ্যাত। বিরিয়ানি হাউজের বিরিয়ানির নামকরা।

রাত্রিযাপন সম্পাদনা

এখানে বেশ কিছু হোটেল রয়েছে। প্রথমত শীলটন, স্বাগতম রেস্তোরার দোতলায় হোটেল সুবিধা রয়েছে, আর পাবনা শহরের সবগুলো হোটেলই হামিদ রোড আর রুপকথা রোডে অবস্থিত। ভালো রিসোর্টের মধ্যে রয়েছে রত্নদ্বীপ রিসোর্ট। পাবনা জেলার অন্যান্য উপজেলায় হোটেলের মধ্যে রয়েছে:

  • উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলো, পাবনার সুজানগর বাজারের পূর্ব পার্শে সুজানগর থানা সংলগ্ন
  • হোটেল ফায়সাল, হোটেল ফায়সাল ঈশ্বরদী, পাবনা
  • প্রগতি রেস্তোঁরা, প্রগতি রেস্তোঁরা ঈশ্বরদী, পাবনা
  • জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, ভাঙ্গুড়া উপজেলার উপাজেলা পরিষদ ভবনের পাশে অবস্থিত দু'তলা ডাক বাংলো
  • উপজেলা ডাকবাংলো, বেড়া উপজেলা
  • ওয়াবদা গেষ্ট হাউজ, বেড়া উপজেলা
  • শাহীন আবাসিক হোটেল, বেড়া উপজেলা

পরবর্তীতে যান সম্পাদনা