নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একটি দর্শনীয় স্থান, যা নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত। এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় অঞ্চলে স্থাপিত যা রাজধানী ঢাকা হতে প্রায় ২৫০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। বল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং চর মুরি - এই চারটি দ্বীপের মোট ১৬,৩৫২.২৩ হেক্টর এলাকা নিয়ে এই উদ্যানটি গঠিত।
বিশেষত্ব
সম্পাদনানিঝুম দ্বীপ ১৯৫০ সালের দিকে সমুদ্রবক্ষে জেগে ওঠে। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান। কথিত আছে, ওসমান নামের একজন বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে প্রথম নিঝুম দ্বীপে বসত গড়েন। তখন এই নামেই এর নামকরণ হয়েছিলো। পরবর্তীতে দ্বীপটি “নিঝুম দ্বীপ” হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যায়। ১৯৭০ -এর আগে এখানে কোনো জনবসতি ছিল না। পরে হাতিয়া, শাহবাজপুর, রামগতির নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ দ্বীপটিতে আশ্রয় নেওয়া শুরু করে। বাংলাদেশের বনবিভাগ ৭০-এর দশকে এখানে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে ১৯৭৮ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চার জোড়া হরিণ ছাড়া হয় এই দ্বীপে; পরবর্তীতে হরিণের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়।
নিঝুম দ্বীপের জীববৈচিত্র্য বেশ সম্বৃদ্ধ। শীতকালে অসংখ্য পরিযায়ী জলচর ও পানিকাটা পাখি নিঝুম দ্বীপে বেড়াতে আসে। এই উদ্যানটি বৈশ্বিক বিপদগ্রস্ত পাখি দেশি গাঙচষার অন্যতম প্রধান বিচরণস্থল। এখানকার বনভূমি মূলত প্যারাবন প্রকৃতির।
চিত্রা হরিণ নিঝুম দ্বীপের প্রধান বন্যপ্রাণী। নিঝুম দ্বীপে একর প্রতি চিত্রল হরিণের ঘনত্ব সুন্দরবনের চেয়ে তিনগুণ বেশি। বাঘের মতো কোনো মাংসাশী প্রাণী না থাকায় দ্রুতগতিতে এদের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে রয়েছে নখরবিহীন উদবিড়াল, মেছো বাঘ ইত্যাদি। বিভিন্ন প্রজাতির পাখির মধ্যে রয়েছে নিশি বক, দেশি কানিবক, গোবক, দেশি পানকৌড়ি, ধূসর বক, কাদাখোঁচা, বালিহাঁস, কালোহাঁস, কোড়া, তিলা লালপা, তিলা সবুজপা ইত্যাদি। সরীসৃপের মধ্যে রয়েছে দেশি গুঁইসাপ ও নানান জাতের সামুদ্রিক কচ্ছপ; সামুদ্রিক কচ্ছপের গুরুত্বপূর্ণ প্রজননস্থল এই নিঝুম দ্বীপ।
অক্টোবর থেকে এপ্রিল ১৫ তারিখ এখনকার আবহাওয়া অনুযায়ী নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের জন্য ভালো। অন্য সময় বর্ষা থাকে ও ঝড়ের কারনে মেঘনা নদী ও সাগর উত্তাল থাকে। বর্ষাকালে গেলে পুরা হাটু সমান কাদা থাকবে ও পুরা দ্বীপের এমাথা ও মাথা আপনাকে হেঁটে পার হতে হবে, কাঁদার কারণে রাস্তায় কিছু চলতে পারেনা। তবে মাছ খেতে পারবেন প্রচুর। শীত কালে গেলে রাস্তাঘাট সব ভালো পাওয়া যাবে, খালের মধ্যে পানি কম থাকবে, ফলে বনের মধ্যে যেকোনো জায়গায় যাওয়া যাবে, বিকেলে হরিণের পাল দেখা যাবে, সমুদ্র সৈকত শুকনো থাকবে। শরতকাল আর বসন্তকাল সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
কীভাবে যাবেন
সম্পাদনাঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও নৌ - সকল পথেই হাতিয়া দ্বীপের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। যেকোন পরিবহনের বাসে যেতে হবে নোয়াখালীর সোনাপুরে। প্রতিদিন সকাল দুপুর ও সন্ধ্যায় ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নোয়াখালীর সোনাপুর এর দিকে বাস ছেড়ে যায়। অথবা, রেলে করে নোয়াখালীর মাইজদি পর্যন্ত যাওয়া যাবে। ঢাকা কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার বাদে, প্রতিদিন বিকাল ৩.২০ মিনিট এ ৭১২ নং আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস নোয়াখালী এর দিকে ছেড়ে যায়, মাইজদি পৌঁছে রাত ৯.২২ মিনিট। নোয়াখালীর সোনাপুর/মাইজদি থেকে স্থানীয় বাস বা সিএনজিতে করে নামতে হবে বয়ার চর - চেয়ারম্যান ঘাটে। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সি-ট্রাক, ট্রলার ও স্পীড বোট ছাড়ে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে। সি-ট্রাক ছাড়ে প্রতিদিন সকাল ৮ টায়। ভাড়া জনপ্রতি - ৮০ টাকা, ট্রলার - ১২০ - ১৫০ টাকা ভাড়া প্রতিজন ও স্পীড বোট জনপ্রতি ভাড়া - ৪০০-৫০০ টাকা। যাত্রীদেরকে নামাবে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে, নলচিরা থেকে বেবিটেক্সিতে (৬০০-৭০০) করে যেতে হবে মোক্তারিয়া ঘাটে। আবার, সরাসরি নলচিরা ঘাট থেকে মোটর সাইকেল রিজার্ভ করে মোক্তারিয়া ঘাট এ যাওয়া যায়, ভাড়া দুই জন ৩৫০ - ৪৫০ টাকা; তবে দর দাম করে ঠিক করে নিতে হবে। সেখান থেকে ট্রলারে ১৫ মিনিট লাগবে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে যেতে। ভাড়া জনপ্রতি - ১০ টাকা। এরপর আপনি যদি নামার বাজার থাকেন তবে ভ্যান/রিক্সা/মোটর সাইকেল এ যেতে হবে। ভাড়া ৮০-১০০ টাকা মটরসাইকেল দুইজন। বন্দর টিলায় ও থাকতে পারেন। নলচিরা থেকে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট যাওয়ার ফিরতি সী ট্রাক ছাড়ে সকাল ১১ টায়।
লঞ্চে করে ঢাকার সদরঘাট থেকে যেতে হবে। ঢাকা থেকে হাতিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিদিন ২ টা লঞ্চ বরাদ্দ রয়েছে - মোট ৪ টা লঞ্চ ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে প্রতিদিন ২টি করে ছেড়ে যায়, প্রতিদিন বিকাল ৫.৩০ মিনিট এবং সন্ধ্যা ৬.০০ মিনিটে। লঞ্চ গুলোর নাম এম.ভি ফারহান - ৩ ও ৪ এবং এম. ভি. তাসরিফ - ১ ও ২। সেটি হাতিয়ার তমুরদ্দী ঘাটে পৌঁছবে পরদিন সকাল ৮-৯ টায়। আপনাকে নামতে হবে হাতিয়ার তমুরদ্দী ঘাটে। ঢাকায় ফেরত যাবার লঞ্চ ছাড়ে দুপুর ১২.৩০ টায় এবং ১.৩০ টায়। কোন কারনে হাতিয়ার লঞ্চে উঠতে না পারলে বিকাল ৬.৩০ মিনিটে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে চালু করা এম ভি টিপু-৫ অথবা এম ভি পানামা লঞ্চে করে তজুমুদ্দিন অথবা মনপুরা নেমে গিয়ে হাতিয়ার লঞ্চ ধরা যাবে অথবা মনপুরা থেকে ট্রলারে করে হাতিয়া যাওয়া যাবে। বিশেষ কারনে যদি এই দুটো লঞ্চ না-ধরতে পারেন তাহলে বিকাল ৬.৩০ মিনিট এম ভি ফারহান-৬ অথবা ফারহান-৭ লঞ্চ এ করে তজুমুদ্দিন গিয়ে হাতিয়ার লঞ্চ ধরতে পারবেন অথবা তজুমুদ্দিন থেকে ট্রলার এ হাতিয়া যেতে পারবেন।
তমুরদ্দী ঘাট থেকে বেবি টেক্সিতে (৫০০-৬০০ টাকা) সরাসরি মোক্তারিয়া ঘাট এ যাওয়া যায় অথবা সরাসরি মোটর সাইকেল রিজার্ভ করে মোক্তারিয়া ঘাট এ যাওয়া যায়, ভাড়া দুই জন ৩০০ - ৩৫০ টাকা। সেখান থেকে ট্রলারে ১০ মিনিট লাগবে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে; ভাড়া জনপ্রতি - ১০ টাকা। এরপর আপনি যদি নামার বাজার থাকেন তবে ভ্যান/রিক্সা/মোটর সাইকেল এ যেতে হবে; ভাড়া ৮০-১০০ টাকা দুইজন। বন্দর টিলায় ও থাকতে পারেন। প্রতিদিন সকাল ১০ টায় তমুরদ্দি থেকে মাছ ধরার ট্রলার সরাসরি নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার যায়। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হলে যেতে পারেন মেঘনা নদীর বুক চিরে ট্রলারে। নিঝুম দ্বীপে ভাড়া যার কাছে যেমন রাখে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া আপনি ট্রলার রিজার্ভ করতে পারেন নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার; ভাড়া ট্রলারের আকার অনুযায়ী ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা।
চট্রগাম থেকে হাতিয়া আসতে হলে হাতিয়াগামী জাহাজ এম ভি বার আওলিয়া অথবা এম ভি আব্দুল মতিন এ উঠে হাতিয়ার নলচিরা ঘাট এ নামতে হবে। শুক্র ও রবিবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৮.৩০ এ চট্টগ্রাম সদরঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে যায় হাতিয়ার উদ্দেশ্যে। সন্দীপ হয়ে হাতিয়া পৌছে বিকাল ৫ টায়।
ঘুরে দেখুন
সম্পাদনানিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াতে পারেন; এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো -
- কমলার দ্বীপ। সেখানের কমলার খালে অনেক ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এছাড়াও আশে পাশের দ্বীপগুলো সুন্দর। পুরো দ্বীপটা হেঁটে হেঁটে ঘুরা যাবে।
- চৌধুরী খাল ও কবিরাজের চর। যেতে হবে বিকেলে সন্ধ্যার আগে, চৌধুরীর খাল নেমে ঘণ্টা খানেক হাঁটলেই বনের মধ্যে হরিণের পালের দেখা পেতে পারেন।
- চোয়াখালি ও চোয়াখালি সমুদ্র সৈকত। চোয়াখালিতে গেলে খুব সকালে হরিণ দেখা যায়। মটর সাইকেল ওয়ালাকে বলে রাখুন খুব সকালে আপনাকে হোটেল থেকে নিয়ে হরিন দেখিয়ে আনবে।
- ম্যানগ্রোভ বন। নিঝুম দ্বীপ বনায়ন প্রকল্প।
- নামার বাজার সমুদ্র সৈকত। নামার বাজার থেকে হেঁটে যেতে ১০ মিনিট লাগে। এখান থেকে সূর্য উদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন, এখানে বারবিকিউ করে মজা পাবেন।
- দমার চর। এই চরের দক্ষিণ দিকে নতুন একটি সমুদ্র সৈকত আছে যাকে বলে “কুমারী দ্বীপ”। খুব সকালে এখানে অনেক নাম না-জানা পাখির দেখা পাওয়া যায়।
আপনি যদি হাতে সময় নিয়ে যান, তবে ট্রলার ভাড়া করে ভোলার ঢালচর, চর কুকরি - মুকরি থেকে ঘুড়ে আসতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
সম্পাদনানিঝুম দ্বীপে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের অসংখ্য রেস্ট হাউস ও বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে, যেখানে ২০০ থেকে ৫,০০০ টাকায় বিভিন্ন ধরণের রুম পাওয়া যায়। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -
- জেলা প্রশাসন ডাক বাংলো - হাতিয়া।
- নিঝুম রিসোর্ট (অবকাশ হোটেল), নামার বাজার। এটা অবকাশ পর্যটন লিমিটেডের একটা রিসোর্ট। নামার বাজার সমুদ্র সৈকতের কাছে অবস্থিত। নিঝুম রিসোর্ট নামে নিঝুম দ্বীপে থাকার জন্য একটি ভালো মানের রিসোর্ট। এখানে ২ কক্ষের ভিআইপি রুম ভাড়া ২০০০ টাকা, ২ কক্ষের রুম ভাড়া ১৫০০ টাকা, ৩ কক্ষের এক্সিকিউটিভ রুম ভাড়া ১৮০০ টাকা, ৪ কক্ষের এক্সিকিউটিভ রুম ভাড়া ২০০০ টাকা, ৫ কক্ষের পারিবারিক কক্ষ ভাড়া ৩০০০ টাকা এবং ৫ বেড এর শয়নালয় রুম ভাড়া ১৮০০ টাকা ও ১২ বেড এর শয়নালয় রুম ভাড়া ৩০০০ টাকা। যোগাযোগ: ঢাকা অফিসঃ অবকাশ পর্যটন লি., আলহাজ সামসুদ্দিন ম্যানসন (নবম তলা), ১৭ নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা। ফোন : ৮৩৫৮৪৮৫, ৯৩৪২৩৫১, ৯৩৫৯২৩০, ০১৫৫২৩৭২২৬৯, নিঝুম দ্বীপঃ মোবাইল: ০১৭২৪-১৪৫৮৬৪, ০১৮৪৫৫৫৮৮৯৯, ০১৭৩৮২৩০৬৫৫।
- হোটেল শাহিন, নামার বাজার, নিঝুম দ্বীপঃ মোবাইল: ০১৮৬৩১৫০৮৮১।
- হোটেল সোহেল, নামার বাজার, নিঝুম দ্বীপঃ মোবাইল: ০১৮৬৮৬১২১৩৫।
- মসজিদ বোর্ডিং, নামার বাজার। এটা সবচেয়ে সস্তায় থাকার ব্যবস্থা। স্থানীয় মসজিদ থেকে এই ব্যবস্থা করেছে, অতিরিক্ত দুটি একক এবং দুটি দুই কক্ষ আছে, আর সব শয়নালয়। শয়নালয় - ভাড়া ২০০ - ৩০০ টাকা। যোগাযোগ: মোঃ আব্দুল হামিদ জসিম, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, নামার বাজার, নিঝুম দ্বীপঃ মোবাইল: ০১৭২৭-৯৫৮৮৭৯।
- হোটেল দ্বীপ সম্পদ, নামার বাজার, নিঝুম দ্বীপঃ মোবাইল: ০১৭২০ ৬০১ ০২৬, ০১৭৬০ ০০৮১০৬।
- নিঝুম ড্রিম ল্যান্ড রিসোর্ট, বন্দরটিলা।
- হোটেল শেরাটন, বন্দরটিলা বাজার।
কী খাবেন
সম্পাদনাএখানকার প্রায় প্রতিটি আবাসিক হোটেল বা হোটেলের সন্নিকটে রেস্তোরাঁ বা খাবার হোটেল রয়েছে। নিঝুম দ্বীপে ভ্রমণে গিয়ে পর্যটকদের বেশি আকর্ষণ থাকে স্থানীয় আদিবাসীদের বিভিন্ন মেন্যুর প্রতি। বিশেষ করে চিংড়ি, রূপচাঁদা, লাইট্যা, ছুরি মাছসহ মজাদার শুটকি মাছের ভর্তার প্রতিই পর্যটকদের আকর্ষণ বেশি থাকে। খাবারের মেন্যু অনুযায়ী একে রেস্তোরাঁয় একেক ধরনের মূল্য তালিকা দেখা যায়। নামার বাজারের কিছু খাবারের হোটেল আছে। বিদ্যুৎ নেই বলে সব টাটকা খাবার পাওয়া যায়। দেশি মুরগি, মাছ, হাঁস, গরুর মাংস সব খড়ির চুলায় রান্না করা। যদি নিজের পছন্দের কিছু খেতে চান, তাহলে তাদের বলুন অথবা তাদেরকে কিনে দিলে তারা রান্না করে দিতে পারবে। আর প্রায় সব থাকার হোটেলে বারবিকিউর চুলা থাকে, হোটেলের বয়দের সহায়তায় অথবা আপনি নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন মাছ বা মুরগির বারবিকিউ। মাছের জন্য হোটেল সোহেলের পাশে ২টি আড়ত আছে।
সতর্কতা
সম্পাদনাযেকোনো সমস্যায় যোগাযোগ করতে পারেন -
- জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
- ওসি কোতয়ালী, হাতিয়াঃ মোবাইল: ০১৭১৩-৩৭৩ ৭৫৪।