এই পাতাটি অপসারণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। অপসারণ নীতিমালাটি পড়ে, উইকিভ্রমণ:অপসারণ ভোটাভুটি পাতায় আপনার মতামত দিন। আলোচনাটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দয়া করে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলবেন না। আপনি যদি এই নিবন্ধের লেখক হন তবে মনে রাখবেন, এই মনোনয়নটি আপনার কাজের সমালোচনা নয়, বরং এটি আপনার নিবন্ধের শিরোনাম বা বিষয় উইকিভ্রমণের নিবন্ধের মানদণ্ড পূরণ করতে পারে কিনা তার একটি বিজ্ঞপ্তি। |
দিনাজপুর মাটির বাড়ি বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার রুদ্রপুরে অবস্থিত। স্থপতি অ্যানা হেরিঙ্গারের পরিকল্পনায় মাটির দোতলা বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। স্থাপনাটি সত্যিকার অর্থেই অনন্য।
জানুন
সম্পাদনাসম্পূর্ণ বাঁশ এবং কাদামাটি দিয়ে তৈরি মাটির এই দোতলা বাড়ির সংখ্যা দুইটি। ২০০৬ সালে একটি প্রকল্পের আওতায় বাড়িটি তৈরি হয়, প্রকল্পের নাম ছিল রুদ্রপুরের METI - Handmade School। দোতলা এই স্কুলটির নিচতলায় তিনটি কক্ষ এবং উপরের তলা দুইটি কক্ষ রয়েছে। এই বাড়ি দুটি বানানো হয়েছে মূলতঃ দ্বীপশিক্ষা এনজিও’র দুটি শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম - Education and Training Institute (METI) এবং Dipshikha Electrical Skill Improvement (DESI) project-এর জন্য। এগুলোর মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সৃজনশীলতার চর্চা করা হয়। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাড়িটি তৈরির কাজ শুরু হয় ও ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে শেষ হয়।
কী দেখবেন
সম্পাদনাদুইতলা বিশিষ্ট এই বাড়িটির মূল নক্সা করেছেন বিখ্যাত স্থপতি অ্যানা হেরিঙ্গার। নীচতলায় ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের জন্য একটি ক্লাসরুম, দুটি অফিস কক্ষ, স্যানিটারি ইউনিট টেকনিক্যাল রুম এবং স্টোর রুম রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় একটি ক্লাসরুম, বারান্দা, শিক্ষকদের থাকার দুটি রুম এবং দুইটি টয়লেট রয়েছে।
কীভাবে যাবেন
সম্পাদনাপ্রথমে যেতে হবে দিনাজপুর। বাস ও ট্রেন দুই ভাবেই যাওয়া যায়। দিনাজপুর শহর হতে মোটরসাইকেল কিংবা বেবিট্যাক্সি কিংবা সিএনজি অটোরিক্সা করে চলে যাওয়া যাবে কাহারোল উপজেলায়, সেখান থেকে রুদ্রপুরে যেতে হবে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। স্থানটি বিরল উপজেলার মধ্যেই পড়ে। কিন্তু যেতে হবে কাহারোল উপজেলা হয়ে রুদ্রপুরে।
রেল
সম্পাদনাট্রেনে যাওয়া আরামদায়ক। ঢাকার কমলাপুর থেকে ২টি আন্তঃনগর ট্রেন দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। দ্রুতযান এক্সপ্রেস কমলাপুর থেকে সন্ধ্যা ৭.৫০ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং দিনাজপুর গিয়ে পৌছায় সকাল ৫.১০ মিনিটে। অপরদিকে একতা এক্সপ্রেস সকাল ৯.৫০ মিনিটে কমলাপুর থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭.২০ মিনিটে দিনাজপুর গিয়ে পৌছায়।
- দ্রুতযান এক্সপ্রেস > বুধবার > ঢাকা থেকে ছাড়ে ১৯:৫০ মি. > দিনাজপুর পৌছায় ০৫:১০ মিনিটে
- দ্রুতযান এক্সপ্রেস > বুধবার > দিনাজপুর থেকে ছাড়ে ০৮:২০ মি. > ঢাকায় পৌছায় ১৮:১৫ মিনিটে
- একতা এক্সপ্রেস > মঙ্গলবার > ঢাকা থেকে ছাড়ে ০৯:৫০ মি. > দিনাজপুর পৌছায় ১৯:২০ মিনিটে
- একতা এক্সপ্রেস > সোমবার > দিনাজপুর থেকে ছাড়ে ২২:০০ মি. > ঢাকায় পৌছায় ০৭:৩৫ মিনিটে
বাস
সম্পাদনাঢাকা থেকে দিনাজপুরে বাসে করেও যাওয়া যায়। ঢাকার গাবতলী হতে নাবিল পরিবহন, হানিফ পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন সহ বেশ কয়েকটি বাস সার্ভিস রয়েছে। তাছাড়া উত্তরা হতেও কিছূ পরিবহন দিনাজপুর যায়।
কোথায় থাকবেন
সম্পাদনাদিনাজপুর শহরে থাকাটা ভালো। দিনাজপুর শহরে থাকার জন্য বাংলাদেশ পর্যটন কপোর্রেশন এর মোটেল সহ অনেকগুলো ব্যাক্তিমালিকানাধীন হোটেল রয়েছে। হোটেল ডায়মন্ড, পূর্নভবা, হোটেল আল রশিদ উল্লেখযোগ্য।
হোটেল ভাড়ার জন্য নিচের নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেনঃ
- পর্যটন মোটেলঃ ০৫৩১- ৬৪৭১৮
- হোটেল তিলত্তমাঃ ০৫৩১- ৬১২৭৯
- হোটেল আল রশিদঃ ০৫৩১-৬৫৬৫৮, ৬৪২৫১
- হোটেল গোল্ডেন টাওয়ানঃ ০৫৩১- ৬৫৯২০
- হোটেল ইউনিকঃ ০৫৩১-৫২২০৩, ০১৭৩৬৩৩৫২৬৪।