এই পাতাটি অপসারণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। অপসারণ নীতিমালাটি পড়ে, উইকিভ্রমণ:অপসারণ ভোটাভুটি পাতায় আপনার মতামত দিন। আলোচনাটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দয়া করে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলবেন না। আপনি যদি এই নিবন্ধের লেখক হন তবে মনে রাখবেন, এই মনোনয়নটি আপনার কাজের সমালোচনা নয়, বরং এটি আপনার নিবন্ধের শিরোনাম বা বিষয় উইকিভ্রমণের নিবন্ধের মানদণ্ড পূরণ করতে পারে কিনা তার একটি বিজ্ঞপ্তি। |
জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর হলো চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থিত দেশের একমাত্র জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর। এশিয়া মহাদেশে দুইটি জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর রয়েছে, যার মধ্যে চট্টগ্রামের জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর অন্যতম, অন্যটি রয়েছে জাপানে। এই জাদুঘরে বাংলাদেশের উপজাতি গোষ্ঠীর ইতিহাস সমন্বিত উপকরণের প্রদর্শন করা হয়েছে। মূলত বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবনপ্রণালী, এবং পারষ্পরিক বোঝাপড়া ও সহকর্মী-অনুভূতি লালনের জন্য প্রতিষ্ঠিত।
এই জাদুঘরটির তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আছেন মোহাম্মদ আমিরুজ্জামান।
অবস্থান
সম্পাদনাজাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় বাদামতলী মোড় সংলগ্ন ১.২৫ একর (০.৫১ হেক্টর) স্থানের ওপর ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
কী দেখতে পাবেন
সম্পাদনাসাঁওতালদের রান্না করার পদ্ধতি, চাকমাদের জীবনযাত্রা ব্যবস্থা, কিংবা গারোদের উৎসব ও আয়োজন এসব কিছু নিয়েই সাজানো হয়েছে জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর।
জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরটিতে ২৯টি বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জীবনধারা প্রদর্শন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন আদি জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবনধারায় প্রতিফলিত প্রত্ন সংস্কৃতির পরিচয়কে মানচিত্র, আলোকচিত্র, মডেল, কৃত্রিম পরিবেশ, দেওয়ালচিত্র, সংক্ষিপ্ত আলোকচিত্র, মডেল, কৃত্রিম পরিবেশ, সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ফলক প্রভৃতি মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়বস্তুর প্রদর্শন করা হয়েছে।
সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, স্নো, বম, খিয়াং, খুমি, চাক ; ময়মনসিংহ অঞ্চলের গারো, হাজং, দালু, মান্দাই, কোচ; রাজশাহী-দিনাজপুর অঞ্চলের সাঁওতাল, ওরাঁও, রাজবংশী, পলিয়া, কোচ; এবং যশোর-ঝিনাইদহ অঞ্চলের বুনো, বা বোনা, বাগদি প্রভৃতি জাতিগোষ্ঠী অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।পাশাপাশি পাকিস্তানের পাঠান, সিন্ধি, পাঞ্জাবী, কাফির, সোয়াত; ভারতের আদি, ফুওয়া, মুরিয়া, মিজো; কিরগিজস্থানের (প্রাক্তন রাশিয়া) কিরগিজ; অস্ট্রেলিয়ার অষ্ট্রাল জাতিগোষ্ঠীর বিভিন্ন নির্দশন। এছাড়াও দুই জার্মানীর মিলন প্রাচীরের ভগ্নাংশের কিছু নির্দশন জাদুঘরে প্রদর্শিত আছে।
জাদুঘরে রয়েছে একটি ছোট গ্রন্থাগার এবং ভবনের সামনে রয়েছে সবুজ বাগান।
কিন্তু জাদুঘরে পার্কিং ব্যবস্থা নেই।
খোলার সময়-সূচি
সম্পাদনাযে সময়ে খোলা থাকে-
১. মঙ্গলবার থেকে শনিবার সকাল
- ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা,
২. সোমবার বেলা দেড়টা থেকে
- বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা।
রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ হিসেবে থাকে।
প্রবেশমূল্য
সম্পাদনা- ৩০ টাকা (শিক্ষার্থীদের জন্য ছাড় রয়েছে)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- মহানগর, প্রথম আলো
- উইকিপিডিয়া