চন্দনাইশ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
জানুন
সম্পাদনাচট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫/৩৬ কিলোমিটার দক্ষিণে ২২°০২´ থেকে ২২°০৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৪৯´ থেকে ৯২°০৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত চন্দনাইশ উপজেলার আয়তন ২০১.৯৯ বর্গ কিলোমিটার। চন্দনাইশ চট্টগ্রাম জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। একদা চন্দনাইশ ছিল পটিয়া উপজেলার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯৭৬ সালে পটিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে চন্দনাইশ থানার সৃষ্টি করা হয়। ১৯৮৩ সালের ২ জুলাই চন্দনাইশ থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
চন্দনাইশ উপজেলায় বর্তমানে ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে।
নামকরণ
সম্পাদনাকথিত আছে চন্দন কাঠের নামানুসারে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয় চন্দনাইশ।
জনসংখ্যা
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী চন্দনাইশ উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৩৩,০১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,১৭,৪১৮ জন এবং মহিলা ১,১৫,৫৯৯ জন। মোট পরিবার ৪৪,৪৩৮টি। মোট জনসংখ্যার ৮৪% মুসলিম, ১৩% হিন্দু এবং ৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
কীভাবে যাবেন
সম্পাদনাসড়কপথে
সম্পাদনাচন্দনাইশ উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক (পূর্বে আরাকান সড়কও বলা হত)। এছাড়া চট্টগ্রাম-আনোয়ারা সড়কের বরকল ব্রিজ এর উপর দিয়েও এই উপজেলায় যোগাযোগ করা যায়। সব ধরনের যানবাহনে যাতায়াত করা যায়। চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল বা নতুন ব্রিজ থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে যে কোন বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে চন্দনাইশ উপজেলায় যাওয়া যায়।
রেলপথে
সম্পাদনাচট্টগ্রাম নগরীর বটতলী অথবা ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে দোহাজারীগামী রেলযোগেও চন্দনাইশ উপজেলায় যেতে পারেন।
দেখুন
সম্পাদনা- বেগম গুলচেমনারা ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি লেক ও বিজিসি বিদ্যানগর এলাকা চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত। বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে বাসযোগে সরাসরি এখানে যাওয়া যায়। এছাড়া সল্প সময়ে ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিক্সা, টেম্পু ইত্যাদি যানবাহন যোগেও সহজে যাতায়াত করা যায়।
- কাঞ্চনাবাদ চা বাগান চট্টগ্রাম থেকে বাসযোগে কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নেমে সিএনজি/রিকশাযোগে এ চা বাগানে যাওয়া যায়।
- সাঙ্গু নদী চন্দনাইশ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার, চন্দনাইশ থেকে বাস অথবা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে বা চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস বা যেকোনো গাড়িযোগে দোহাজারী নেমে সামান্য হেটে সাঙ্গু নদীর তীরে যাওয়া যাওয়া যায়।
- হযরত ভূঁই খাজা (রহ.) জামে মসজিদ চন্দনাইশ থেকে রিক্সা অথবা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে বা চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস বা যেকোনো গাড়িযোগে কাঞ্চননগর বাদামতল নেমে সেখান থেকে রিকশাযোগে যাওয়া যায়।
- কাঞ্চননগর পেয়ারা বাগান চন্দনাইশ থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার, চন্দনাইশ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায় বা চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস বা যেকোনো গাড়িযোগে কাঞ্চননগর বাদামতল নেমে সেখান থেকে রিকশাযোগে যাওয়া যায়।।
- বাগিচাহাট কদম রসূল (দ.) শরীফ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে চন্দনাইশ বাগিচাহাটস্থ খাঁন শাহী জামে মসজিদের ভিতরে কদম রাসূল (দ.) অবস্থিত। চন্দনাইশ থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার, চন্দনাইশ থেকে বাস অথবা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে বা চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস বা যেকোনো গাড়িযোগে বাগিচাহাট নেমে যাওয়া যায়।
- মাটির টান পার্ক চন্দনাইশ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে বা চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস বা যেকোনো গাড়িযোগে রওশন হাট নেমে সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়। বর্তমানে এটি পর্যটকদের পছন্দের জায়গা।
- ফতেনগর সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ ফতেনগর সিকদার বাড়িতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১৫ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ফতেনগর সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ফতেনগর গ্রামে কবরস্থান, পুকুরসহ ২ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় দৃষ্টিনন্দন সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ। ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন শিকদার বাড়ি জামে মসজিদটি শুধু চন্দনাইশ উপজেলায় নয়, পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ হিসেবে স্বীকৃত বিজ্ঞমহল অভিমত ব্যক্ত করেন। মসজিদের পশ্চিমপাশে পুকুরের পানিঘেঁষে মেম্বর নির্মিত হওয়ায় পশ্চিমপাশ থেকে মসজিদটি দেখতে আরও দৃষ্টিনন্দন মনে হয়। যেন পানির ওপর ভাসছে মসজিদ। বর্তমানে এটি পর্যটকদের পছন্দের জায়গা।
চন্দনাইশ থেকে রিক্সা অথবা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে বা চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস বা যেকোনো গাড়িযোগে কাঞ্চননগর বাদামতল নেমে সেখান থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বা রিকশাযোগে যাওয়া যায়।
এছাড়াও এ উপজেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- চাগাচর খান মসজিদ
- দোহাজারী রেল স্টেশন
- খান দীঘি
- খান জামে মসজিদ
- জামিরজুরী বধ্যভূমি
- হাজারী দীঘি
- সাতবাড়িয়া শান্তি বিহার
- ঠাকুর দীঘি, বরমা
- শাহ মাহছুম ফকিরের মাজার শরীফের পুকুরের গদালী
- নবরত্ন বিহার, সাতবাড়িয়া
- বুড়িকালি মন্দির, বরমা
- আরিফ শাহ পাড়া শাহী জামে মসজিদ
- শুক্লম্বর দীঘি, ৫নং বরমা
- হযরত মামুন খালিফা (রঃ) শাহী জামে মসজিদ কানাইমাদারী ৪ নং বরকল ইউনিয়ন
- দুধপুকুরিয়া-ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
- বহরম পাড়া গাইবী আযান জামে মসজিদ
- সাতবাড়ীয়া হাফেজ নগর দরবার শরিফ
- ঠাকুর দীঘি, বরমা
- বৈলতলী খোদার হাট সেতু
- বৈলতলী সাঙ্গু নদী তীরের বিভিন্ন স্থান
- পূর্ব সাতবাড়িয়া রত্নাকুর বিহার
- বুড়ি কালি মন্দির, বরমা
- কাঞ্চননগর শাহ সূফি অলিউল্লাহ শাহ দরবার শরীফ
রাত্রিযাপন করুন
সম্পাদনাচন্দনাইশ ও দোহাজারী পৌরসভা এলাকার যে কোন হোটেলে সুলভ মূল্যে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
আহার করুন
সম্পাদনাচন্দনাইশ ও দোহাজারী পৌরসভা এলাকার যে কোন রেস্টুরেন্টে সুলভ মূল্যে খেতে পারেন।