ঘাটাল হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটা মহকুমা শহর। ঐতিহ্যবাহী এই শহরের অদূরেই বীরসিংহ গ্রাম, বাংলার ‘বর্ণপরিচয়’ স্রষ্টা পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান। কতশত মন্দির ধারণ করে আছে এখানকার মেদিনী তার ইয়ত্তা নেই! সিংহবাহিনী, শ্রীধরজিউ, নবরত্ন বৃন্দাবন মন্দির ইত্যাদি। এই অঞ্চলের বিশেষত্ব হল ‘মেদিনীপুর’ নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এখনও বহু, এমনকি তিনতলা মাটির বাড়ি দেখতে পাওয়া যাবে। ঘাটাল শহরের বুক চিরে বয়ে গিয়েছে শিলাবতী নদী। তবে ঘন বর্ষার সময় অনেক ঘাটালবাসীরই শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই নদী। ঘাটাল পশ্চিম বাজার থেকে কোন্নগরে যাবার জন্যে শিলাবতী নদীর ওপর আছে কয়েকটা নৌকো জুড়ে ভাসমান সেতু। পাশ দিয়ে যদিও প্রধান সড়কের ঢালাই সেতু আছে, তবে শর্টকাট রাস্তার সুবিধে কে না চায়? সব মিলিয়ে ঘাটাল বেড়াবার মজা অনেক!

ঘাটালে শিলাবতীর বুকে নৌকো জুড়ে ভাসমান সেতু

আসবেন কীভাবে? সম্পাদনা

  • কলকাতা (হাওড়া স্টেশন) থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পাঁশকুড়া স্টেশনে নেমে বাসে ঘাটাল।
  • কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে সাধারণ/বাতানুকূল কলকাতা-ঘাটাল, কলকাতা-চন্দ্রকোণা, কলকাতা-মনসুকা বাসে সরাসরি ঘাটাল।
  • কলকাতা থেকে নিজ/ভাড়া চার চাকা গাড়িতে বিদ্যাসাগর সেতু, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, ছ-নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে উলুবেড়িয়া, বাগনান, কোলাঘাট, মেচোগ্রাম, গৌরা, দাসপুর হয়ে ঘাটাল আনুমানিক দেড়শো কিলোমিটার পথ।

খাওয়া-থাকা সম্পাদনা

  • মহকুমা শহর হওয়ার সুবাদে ঘাটালের কুশপাতা থেকে মহকুমা হাসপাতাল, রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় হয়ে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত একাধিক লজ এবং খাওয়া-থাকার অনেক হোটেল পাওয়া যায়।
  • কোন্নগরে আছে ঘাটাল পুরসভা পরিচালিত অতিথিশালা।