গুরুদাসপুর বাংলাদেশের নাটোর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। গুরুদাসপুর উপজেলার উত্তরে সিংড়া উপজেলা ও তাড়াস উপজেলা, দক্ষিণে বড়াইগ্রাম উপজেলা, পূর্বে তাড়াস উপজেলা ও চাটমোহর উপজেলা এবং পশ্চিমে নাটোর সদর উপজেলা অবস্থিত।
জানুন
সম্পাদনাগুরুদাসপুর ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে একে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়। যতদূর জানা যায়, আনুমানিক ১৭৬৭ সালের দিকে 'গুরুদাস' নামক জনৈক পাটনী গুরুদাসপুর চর হতে ঝাউপাড়া পর্যন্ত খেয়া দিত। এই পাটনীর নামানুসারেই এই জায়গার নাম গুরুদাসপুর হয়েছে।
কীভাবে যাবেন
সম্পাদনাসড়ক পথেঃ ঢাকা হতে ঢাকা - রাজশাহী পথে সড়ক পথে নাটোর জেলায় নামতে হবে , আবার নাটোর হতে সড়ক পথে ডিসি অফিস । অন্যভাবেও পৌছাঁ যায় , যেমন - ঢাকা হতে রাজশাহী সড়ক পথে নাটোর জেলার বনপাড়া তিন রাস্তা মোড়ে নেমে সড়ক পথে ডিসি অফিস ।
রেলপথেঃ ঢাকা কমলাপুর রেল স্টেশন অথবা বিমান বন্দর স্টেশন হতে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর রেল স্টেশনে নেমে সরক পথে ডিসি অফিস পৌছাঁ যায়।
কী দেখবেন
সম্পাদনাচলন বিল অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার উদ্দ্যেশ্যে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চলনবিল জাদুঘর। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ব বিভাগের আওতাধীন। অন্যান্য প্রাচীন নিদর্শনের মধ্যে পিপলা গ্রামে মুঘল আমলের একটি মসজিদ উল্লেখযোগ্য। নাটোর জেলার জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান গুলো হলো, উত্তরা গণভবন, নাটোর রাজবাড়ী, দয়ারামপুর জমিদার বাড়ি, চলন বিল, চলনবিল জাদুঘর, হালতি বিল, লালপুরের পদ্মার চর, বুধপাড়া কালীমন্দির ও ধরাইল জমিদার বাড়ি।
নাটোর জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
নাটোর জেলা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক অঞ্চল, যেখানে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এখানে কিছু উল্লেখযোগ্য স্থান বর্ণনা করা হলো:
১. বুধপাড়া কালীমন্দির (Budhapara Sree Sree Kalimata Mondir) বুধপাড়া কালীমন্দির নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বুধপাড়ায় অবস্থিত। এটি প্রায় ৫৩০ বছরের পুরনো এবং এটি স্থানীয় মানুষের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কেন্দ্র। মন্দিরটি তার স্থাপত্য এবং ইতিহাসের জন্য পরিচিত।
২. চলন বিল (Chalan Beel) চলন বিল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিল, যা নাটোর, সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা জেলায় বিস্তৃত। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে বিভিন্ন পাখি ও জলজ প্রাণীর দেখা পাওয়া যায় এবং এটি পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য।
৩. রাণী ভবানী রাজবাড়ী (Rani Bhawani Rajbari) সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত এই রাজবাড়ী নাটোরের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৬ সালে এটি সংরক্ষণ করেছে। রাজবাড়ীর স্থাপত্যশৈলী এবং এর ইতিহাস দর্শকদের আকৃষ্ট করে।
৪. দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি (Dighapatia Rajbari) বর্তমানে উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত, দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী নাটোরের আরেকটি ঐতিহাসিক স্থান। রানী ভবানী তাঁর নায়েব দয়ারাম রায়কে দিঘাপতিয়া পরগনার শাসনের জন্য এই রাজবাড়ী নির্মাণ করেছিলেন।
৫. গরুদাসপুর থানার চলনবিল জাদুঘর (Chalanbil Museum) এই জাদুঘরটি চলনবিল অঞ্চলের সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে তুলে ধরে। সমাজকর্মীদের প্রচেষ্টায় ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি স্থানীয় জনগণের জন্য শিক্ষামূলক একটি কেন্দ্র।
৬. হালতির বিল (Halti Bill) হালতির বিল নাটোর সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর সুযোগ রয়েছে এবং এটি পরিবারসহ ভ্রমণের জন্য আদর্শ স্থান।
এই সব দর্শনীয় স্থানগুলি নাটোর জেলার সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বকে তুলে ধরে এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
কোথায় থাকবেন
সম্পাদনাহোটেল ভিআইপি
ঠিকানা: বড় হরিষপুর, নাটোর দিকনির্দেশিকা: এই হোটেলটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের
১ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং মাদ্রাসা মোড়ের পূর্বে অবস্থিত। ফোনঃ ০৭৭১-৬৬০৯৭, +৮৮০১৭১৮৬৭৩৭৩৫
হোটেল প্রিন্স ঠিকানাঃ রেলওয়ে স্টেশন বাজার, নাটোর সদর, নাটোর ফোনঃ ০৭৭১-৬১৩৫৬ মোবাইলঃ ০১৭৪৬০২৯৪২৯
হোটেল রাজ
ঠিকানা: মাদ্রাসা মোড়, নাটোর সদর, নাটোর ফোনঃ ০৭৭১-৬৬৬৬০ মোবাইলঃ ০১৭২৭৩৭১৫০০ হোটেল রুখসানা
ঠিকানা: কানাইখালী, পুরান বাসস্ট্যান্ড, নাটোর সদর, নাটোর ফোনঃ ০৭৭১-৬২৪৩১ মোবাইলঃ ০১৭৩৯৯৮৭০১৭
এছাড়া থাকার জন্য আরো আবাসন সুবিধা পাবেন। স্থানীয় ও লোকাল জায়গায় অনেক আবাসন সুবিধা আছে