গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র বাংলাদেশের শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এ পর্যটন কেন্দ্র থেকে একই সাথে পাহাড়, হ্রদ, বন-জঙ্গলের অপূর্ব সমাবেশ ঘটেছে।

জানুন সম্পাদনা

 
গজনী অবকাশ কেন্দ্রের একটি দৃশ্য

ভারতের মেঘালয়ের কোল ঘেঁষে ও বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে অরণ্যরাজি আর গারো পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড়ী নদী ভোগাই, চেল্লাখালি, মৃগী, সোমেশ্বরী, মালিঝি, মহারশীর ঐশ্বরিক প্রাচুর্যস্নাত অববাহিকায় সমৃদ্ধ হয়েছে শেরপুর জনপদটি। জেলার বিশাল অংশ জুড়ে গাড়ো পাহাড়ের বিস্তৃতি ঘটেছে। লাল মাটির উঁচু পাহাড়। গহীন জঙ্গল, টিলা, মাঝে সমতল ভূমি। দুই পাহাড়ের মাঝখানে ছন্দ তুলে বহমান পাহাড়ি ঝর্ণা এগিয়ে গেছে। এতোসব প্রাকৃতি সৌন্দর্য্যের মধ্যেও কৃত্রিম সৌন্দর্য্যের অনেক সংযোজন ঘটেছে এখানে।

কীভাবে যাবেন সম্পাদনা

ঢাকা হতে ২২০ কিলোমিটার উত্তরে শেরপুর জেলা শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনীতে এই অবকাশ কেন্দ্রটি অবস্থিত। ঢাকা থেকে শেরপুরগামী যে-কোন বাসে শেরপুর শহরে যাওয়া যায়। শহর থেকে গজনী যাবার জন্য মাইক্রোবাস, টেম্পোসহ অন্যান্য ছোট ধরনের যানবাহন রয়েছে।

ঘুরে দেখুন সম্পাদনা

পাহাড়ের ঢালে, গায়ে অথবা পাহাড় চূড়ায় সারি সারি শাল, সেগুন, মহুয়া, গজারি, আকাশমনি, ইউকেলিপটাস, মিলজিয়ামসহ আরও নাম না জানা শত শত পাহাড়ি গাছ, বনফুল রয়েছে। যাবার পথে রাংটিয়া ছেড়ে কিছুদূর এগুলে দুপাশে গজারি গাছের ছাউনিতে ঢাকা কালো পিচঢালা পথটি সবর নজর কাড়বে। পথটি হ্রদের সামনের গিয়ে শেষ হয়েছে। দুই পাহাড়ের মাঝে পাহাড়ি ঝর্ণা একে-বেঁকে এগিয়ে চলেছে। ঝর্ণার পানি এসে ফুলে ফেঁপে উঠছে। সেখানে বাঁধ দিয়ে তির করা হয়েছে কৃত্রিম হ্রদ। হ্রদের মাঝে কৃত্রিম পাহাড় ও পাহাড়ের উপরে লেক ভিউপেন্টাগন। সেখানে যাতায়াতের জন্য রয়েছে দোদুল্যমান ব্রিজ। নৌ-ভ্রমণের জন্য পদচালিত নৌকাসহ ময়ূরপঙ্খী নাও। পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে। এখান থেকে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের সীমানা চোখে পড়ে। চারদিকে সবুজের সমারোহ। পাহাড় চূড়ায় মেঘের মিতালি দেখা যায়। কৃত্রিম পাতাল পথটি পাতালপুরী নামে পরিচিত।

কোথায় থাকবেন সম্পাদনা

৬ কক্ষবিশিষ্ট বৈদ্যুতিক সুযোগ-সুবিধাসহ আধুনিক দুতলা রেস্ট হাউজ আছে। পাদদেশে নামার জন্য আঁকা-বাঁকা পদ্মাসিড়ি রয়েছে। অবকাশের পাদদেশে সান বাঁধানো বেদীসহ বট চত্বর আছে।