কর্ণফুলি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
জানুন
সম্পাদনাচট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে কর্ণফুলির দক্ষিণ পাড়ে ২২°১৪′ থেকে ২২°১৯′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৪৭′ থেকে ৯১°৫৩′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত কর্ণফুলি উপজেলার আয়তন ৮৩.৩৩ বর্গ কিলোমিটার। ২০০০ সালের ২৭ মে বোয়ালখালী উপজেলার ১টি ইউনিয়ন, পটিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও আনোয়ারা উপজেলার ১টি ইউনিয়নের আংশিক নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কর্ণফুলি থানা গঠন করা হয়। ২০১৬ সালের ৯ মে পটিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নকে আলাদা করে কর্ণফুলি উপজেলায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার)।
নামকরণ
সম্পাদনাকর্ণফুলি নদী তীরবর্তী হওয়ায় কর্ণফুলি নদীর নামানুসারে এ উপজেলার নামকরণ করা হয়।
জনসংখ্যা
সম্পাদনা২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কর্ণফুলি উপজেলার জনসংখ্যা ১,১১,৪৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৯,৩৫৭ জন এবং মহিলা ৫২,১৩৫ জন।
কীভাবে যাবেন
সম্পাদনাদর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- কর্ণফুলি ইপিজেড কর্ণফুলী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইংরেজি: Karnaphuli Export Processing Zone) সংক্ষেপে কেইপিজেড নামে পরিচিত এই রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শহরের উত্তর পতেঙ্গা ও হালিশহর এলাকার ২২২.৪২ একর এলাকা জুড়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- শাহ আমানত সেতু বা তৃতীয় কর্ণফুলি সেতু কর্ণফুলি নদীর উপর নির্মিত তৃতীয় সেতু। এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালের ৮ আগস্ট ও শেষ হয় ২০১০ সালে।
- শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্র শিকলবাহা ইউনিয়নে অবস্থিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০১২ সালে নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি একনেক অনুমোদন দেয় প্রকল্পটি। আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করলে ভারতীয় লারসেন এন্ড টাব্রু লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ পায়। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় কোম্পানিটির সাথে পিডিবির চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট এবং কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল।
- কর্ণফুলি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) অ্যামোনিয়া/ইউরিয়া সার প্রস্তুতের রপ্তানিমুখী কারখানা যা বাংলাদেশ তথা এ অঞ্চলে এ ধরণের একমাত্র প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে আরও ৬টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অ্যামোনিয়া/ইউরিয়া সার উৎপাদন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা অাভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা পূরণ করে। কাফকো হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ বহুজাতিক যৌথ উদ্যোগ প্রকল্প।
- কালারপুল ব্রীজ শিকলবাহা ইউনিয়নে অবস্থিত।
কোথায় থাকবেন
সম্পাদনাচট্টগ্রাম মহানগরীর যে কোন হোটেলে সুলভ মূল্যে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
খাওয়া দাওয়া
সম্পাদনাশিকলবাহাসহ উপজেলার যে কোন এলাকায় অথবা চট্টগ্রাম মহানগরীর যে কোন রেস্টুরেন্টে সুলভ মূল্যে খেতে পারেন।